মার্লিয়ন উদ্যান | |
---|---|
ধরন | উদ্যান |
অবস্থান | সিঙ্গাপুর |
আয়তন | ২,৫০০ বর্গমিটার (০.২৫ হেক্টর) |
প্রতিষ্ঠিত | ২৫ এপ্রিল ২০০২ |
অবস্থা | খোলা |
মার্লিয়ন উদ্যান (মালয়: Taman Merlion, চীনা: 鱼尾狮公园, তামিল: மெர்லயன் பூங்கா) সিঙ্গাপুরের একটি বিখ্যাত স্থাপনা এবং একটি প্রধান পর্যটক আকর্ষণ, সিঙ্গাপুরের ওয়ান ফুলারটন, সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি)-এর নিকটে অবস্থিত। মার্লিয়ন একটি সিংহের মাথা এবং একটি মাছের দেহযুক্ত একটি পৌরাণিক প্রাণী যা সিঙ্গাপুরের মাসকট এবং জাতীয় প্রতীক হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। উদ্যানে দুটি মার্লিয়ন মূর্তি অবস্থিত। আসল মার্লিয়ন কাঠামোটি ৮.৬ মিটার লম্বা এবং এর মুখ থেকে পানি বয়ে যায়। পরবর্তীকালে একটি মার্লিয়ন শাবক এর সাথে যুক্ত হয়েছে, এটি মূল প্রতিমার কাছে অবস্থিত এবং মাত্র ২ মিটার লম্বা।
আসল মার্লিয়ন উদ্যানটি প্রথম সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ড (এসটিবি) কর্তৃক নকশাকৃত এবং ১৯৬৪ সালে সিঙ্গাপুরের প্রতীক হিসাবে সিঙ্গাপুর নদীর উৎসের কাছে তৈরী করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মিঃ লি কুয়ান ইয়ে তার প্রতিষ্ঠিত মূর্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্যানটি উদ্বোধন করেন।[১] মার্লিয়নের আসল মূর্তিটি সিঙ্গাপুর নদীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকত। মার্লিয়নের ভবনটির কাজ ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৭২ সালের আগস্টে এর কাজ সম্পন্ন হয়। এটি সিঙ্গাপুরের প্রয়াত ভাস্কর মিঃ লিম নাং সেনং এবং তার ৮ শিশু এর কারুকার্য করেছিলেন।[২] ভাস্কর্যটি ৮.৬ মিটার উঁচু এবং ওজন ৭০ টন।[৩][৪]
১৯৯৭ সালে এসপ্ল্যানেড ব্রিজের কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরে, মূল মার্লিয়ন উদ্যানের অবস্থানটি আর সিঙ্গাপুরের প্রবেশ দ্বারে ছিল না এবং মেরিনা বে ওয়াটারফ্রন্ট থেকে মূর্তিটি আর পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছিল না।[৩] ২৩শে এপ্রিল ২০০২-এ, ফুলারটন হোটেল সংলগ্ন এসপ্ল্যানেড ব্রিজের অপর পাশে বিশেষভাবে নির্মিত একটি নতুন স্তম্ভবেদিতে প্রতিমূর্তিটি স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ, যার ব্যয় $৭.৫ মিলিয়ন, ২৫ এপ্রিল ২০০২-এ সম্পন্ন হয়েছিল।[৫] ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০০২-এ তৎকালীন-প্রবীণ মন্ত্রী লী কোয়ান ইয়ু মার্লিয়নকে তার নতুন অবস্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানায়, বর্তমানের মার্লিয়ন উদ্যান, আগের চেয়ে চারগুণ বড়।[৬]
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯, বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে, মার্লিয়ন মূর্তির উপর বজ্রপাত হয়েছিল। আশেপাশের কর্মীরা জানিয়েছেন, ভাঙা টুকরোটি মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে তারা একটি বিস্ফোরণ শুনতে পেয়েছিল।[৭] সে বছরের মার্চ মাসে মেরামত কাজ সম্পন্ন হয়েছিল, মার্লিয়ন নিজে আবার পানি ছোড়া শুরু করে ১৮ মার্চ ২০০৯ সালে।
পুনরুদ্ধারের সময়, পুরো পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া জুড়ে মার্লিয়ন মূর্তিটি বন্ধ থাকে। ভাস্কর্যটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করা হয় এবং মার্লিয়নকে উজ্জ্বল এবং পরিচ্ছন্ন দেখানোর জন্য নতুন প্লাস্টার বা পেইন্ট লাগানো হয়। কখনও কখনও ভাস্কর্যের ফাটল এবং ফাঁকা জায়গাগুলো বন্ধ করতে ফিলার ব্যবহৃত হয়।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)