মার্শা মেসন | |
---|---|
Marsha Mason | |
![]() ২০১৮ সালে মেসন | |
জন্ম | সেন্ট লুইস, মিজুরি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৩ এপ্রিল ১৯৪২
পেশা | অভিনেত্রী, পরিচালক |
কর্মজীবন | ১৯৬৬-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | গ্যারি ক্যাম্পবেল (বি. ১৯৬৫; বিচ্ছেদ. ১৯৭০) নিল সিমন (বি. ১৯৭৩; বিচ্ছেদ. ১৯৮৩) |
মার্শা মেসন (জন্ম ৩ এপ্রিল ১৯৪২) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও পরিচালক। তিনি সিন্ডরেলা লিবার্টি (১৯৭৩), দ্য গুডবাই গার্ল (১৯৭৭), চ্যাপ্টার টু (১৯৭৯), ও অনলি হোয়েন আই লাফ (১৯৮১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন। প্রথম দুটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার নিল সিমনের স্ত্রী ছিলেন। সিমন তার চারটি অস্কার মনোনীত কর্মের তিনটির রচয়িতা।
মেসনের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ১৯৬৬ সালের হট রড হুলাবালু চলচ্চিত্র দিয়ে। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল ব্লুম ইন লাভ (১৯৭৩), দ্য চিপ ডিটেকটিভ (১৯৭৮), ম্যাক্স ডুগান রিটার্নস (১৯৮৩), হার্টব্রেক রিজ (১৯৮৬), স্টেলা (১৯৯০) ও ড্রপ ডেড ফ্রেড (১৯৯১)। টেলিভিশনে তিনি সোপ অপেরা লাভ অব লাইফ (১৯৭১-৭২)-এ অভিনয় করেছেন এবং সিটকম ফ্রেজিয়ার (১৯৯৭-৯৮)-এ তার কাজের জন্য একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
মেসন ১৯৪২ সালের ৩রা এপ্রিল মিজুরির সেন্ট লুইসে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা জ্যাকলিন হেলেনা (রাকোভ্স্কি) এবং পিতা জেমস জোসেফ মেসন।[১][২][৩] তিনি ও তার ছোট বোন লিন্ডা (জ. ১৯৪৩) ক্যাথলিক ধর্ম পালন করে বেড়ে ওঠেন। তাদের শৈশব কাটে মিজুরির ক্রেস্টউডে। মেসন ওয়েবস্টার গ্রোভসের নেরিনক্স হল হাই স্কুলে ও পরে ওয়েবস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ওয়েবস্টার অধ্যয়নকালে তিনি একাধিক মঞ্চনাটকে কাজ করেছেন।[৪]
মেসনের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে নিল সিমনের লেখা ব্লুম ইন লাভ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এবং তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে সিমনের দ্য গুড ডক্টর নাটকে কাজের জন্য নির্বাচিত হন।[৫] এর কিছুদিন পর সম্প্রতি বিপত্নীক সিমন ও মেসন প্রণয় ও বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন। একই বছর মেসন জেমস কানের সাথে টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সিন্ডরেলা লিবার্টি চলচ্চিত্রের অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে সিমনের দ্য গুডবাই গার্ল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি তার দ্বিতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৭৯ সালে সিমন তার সফল মঞ্চনাটক চ্যাপ্টার টু-এর চলচ্চিত্রায়নে মেসনকে জেনি ম্যাকলেইন চরিত্রে কাজের সুযোগ দেন। এটি মূলত বিবাহের পর সিমনের সাথে মেসনের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে লেখা গল্প। চলচ্চিত্রটি ব্যাপক সফলতা লাভ করে এবং মেসন তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৮১ সালে মেসন ক্রিস্টি ম্যাকনিকোল, জেমস কোকো ও জোন হ্যাকেটের সাথে অনলি হোয়েন আই লাফ (১৯৮১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি সিমনের ব্রডওয়েতে মঞ্চস্থ হাস্যরসাত্মক নাট্যধর্মী দ্য জিঞ্জারব্রেড লেডি নাটকের চলচ্চিত্রায়ন। এটিই বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করে। মেসন জর্জিয়া হাইন্স চরিত্রে তার কাজের জন্য প্রশংসিত হন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার চতুর্থ একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।