ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্সি ম্যাথুস-কুট্টান | |||||||||||||||||||||||
জাতীয়তা | ভারতীয় | |||||||||||||||||||||||
জন্ম | কেরল, ভারত | ১ জানুয়ারি ১৯৬০|||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | ||||||||||||||||||||||||
দেশ | ভারত | |||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড | |||||||||||||||||||||||
বিভাগ | ৪০০ মিটার, লং জাম্প | |||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
মার্সি কুট্টান (জন্ম ১লা জানুয়ারী ১৯৬০) হলেন একজন প্রাক্তন ভারতীয় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেট। তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা লং জাম্পার যিনি ছয় মিটার দৈর্ঘ্য অতিক্রম করেছিলেন।[১] ১৯৮৯ সালে, মার্সি ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে তাঁর অবদানের জন্য অর্জুন পুরস্কার পান।[২] তিনি বর্তমানে কেরালা রাজ্য ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি।[৩]
মার্সির জন্ম কেরালায়। তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে ১৯৮১ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ অ্যাথলেটিক্সে, যখন তিনি দীর্ঘ লাফ এবং ৪ x ৪০০ মিটার রিলে এই দুটি প্রতিযোগিতায় দুটি ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। পরের বছর ১৯৮২ এশিয়ান গেমসে তিনি লং জাম্পে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[৪] তিনি অ্যাথলেটিক্সে ১৯৮৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে লং জাম্পে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, কিন্তু চূড়ান্ত রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি।[৫] কেরলের প্রথম মহিলা হিসেবে এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড মিটে পদক জেতার গৌরব রয়েছে মার্সির।[৪] লম্বা লাফে তাঁর ব্যক্তিগত সেরা ৬.২৯ মিটার।[৬] তাঁর খেলোয়াড় জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি স্প্রিন্ট শুরু করেন এবং ৪০০ মিটার দৌড় বিভাগে অংশ নেন। তিনি ১৯৮৮ সিউল অলিম্পিকে ৪০০ মিটারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছাতে সক্ষম হন।[৭]
মার্সি মুরলী কুট্টানকে বিয়ে করেছেন, মুরলী একজন প্রাক্তন ৪০০ মিটার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। তাঁদের দুই ছেলে, সুরজ কুট্টান এবং সুজিত কুট্টান। মার্সি এবং মুরলী হলেন প্রথম ভারতীয় অ্যাথলেটিক দম্পতি যাঁরা জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ছিলেন এবং এশীয় পদক জিতেছিলেন।[৮] মুরলী প্রশিক্ষকের ভূমিকা নিয়েছিলেন এবং মার্সিকে দীর্ঘ লাফ থেকে ৪০০ মিটার দৌড়ে স্থানান্তরিত করতে প্রভাবিত করেছিলেন। মার্সি এবং মুরলী দুজনেই জামশেদপুরে টাটা স্টিলে কাজ করতেন। তাঁরা বর্তমানে কোচিতে "মার্সি কুট্টান অ্যাথলেটিক্স একাডেমি" চালাচ্ছেন।[৯]