মার্সিয়া গে হার্ডেন | |
---|---|
Marcia Gay Harden | |
![]() ২০১৩ সালে ফ্রোজেন-এর উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে হার্ডেন | |
জন্ম | লা জোলা, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ১৪ আগস্ট ১৯৫৯
জাতীয়তা | মার্কিন |
মাতৃশিক্ষায়তন | অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় টিশ স্কুল অব দি আর্টস |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭৯-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | টাডেউস শিল (বি. ১৯৯৬; বিচ্ছেদ. ২০১২) |
সন্তান | ৩ |
ওয়েবসাইট | theofficialmarciagayharden |
মার্সিয়া গে হার্ডেন (ইংরেজি: Marcia Gay Harden; জন্ম: ১৪ আগস্ট ১৯৫৯)[১] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তার প্রথম আলোচিত চলচ্চিত্র হল কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়ের মিলার্স ক্রসিং (১৯৯০)। পরবর্তীকালে তিনি ইউজড পিপল (১৯৯২), দ্য ফার্স্ট ওয়াইভস্ ক্লাব (১৯৯৬) ও ফ্লাবার (১৯৯৭) ছবিতে কাজ করেন। ২০০০ সালের পোলক চলচ্চিত্রে চিত্রশিল্পী লি ক্র্যাজনার চরিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি মিস্টিক রিভার (২০০৩) ছবিতে সেলেস্ট বয়েল চরিত্রে কাজ করে অপর একটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল আমেরিকান গান (২০০৫), দ্য মিস্ট ও ইনটু দ্য ওয়াইল্ড (২০০৭)।
১৯৯৩ সালে অ্যাঞ্জেলস ইন আমেরিকা মঞ্চনাটক দিয়ে তার ব্রডওয়েতে অভিষেক হয়। এই কাজের জন্য তিনি একটি টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি আবার ব্রডওয়েতে গড অব কার্নেজ নাটকে ভেরোনিকা চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি তার এই কাজের জন্য মঞ্চনাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার লাভ করেন।
হার্ডেন ১৯৫৯ সালের ১৪ই আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা টেক্সাসের নিবাসী বেভারলি হার্ডেন (জন্মনাম: বুশফিল্ড) একজন গৃহিণী এবং পিতা টাড হ্যারল্ড হার্ডেন (১৯৩২-২০০২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন।[২] হার্ডেনের তিন বোন ও এক ভাই রয়েছে। তার ভাইয়ের নাম টাডেউস, তার প্রাক্তন স্বামীর নামও টাডেউস ছিল। হার্ডেনের পিতার চাকরির জন্য তাদের স্বপরিবারে জাপান, জার্মানি, গ্রিস, ক্যালিফোর্নিয়া ও ম্যারিল্যান্ডে বসবাস করতে হয়েছে।[৩]
১৯৭৬ সালে হার্ডেন ম্যারিল্যান্ডের ক্লিনটনের সুরাটসভিল হাই স্কুল থেকে পাস করেন। ১৯৮০ সালে তিনি অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাট্যকলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিশ স্কুল অব দি আর্টস থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪]
হার্ডেনে প্রথম চলচ্চিত্র ছিল টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন ১৯৭৯ সালে শিক্ষার্থীদের নির্মিত একটি ব্যবহারিক চলচ্চিত্র। ১৯৮০-এর দশকে তিনি কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে কাজ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে সিমন অ্যান্ড সিমন, কোজাক এবং সিবিএস চ্যানেলের সামার প্লেহাউজ। তিনি দি ইমেজমেকার (১৯৮৬) চলচ্চিত্রে প্রথম বড়পর্দায় অভিনয় করেন। পরে ১৯৩০-এর দশকের পটভূমিতে কোয়েন ভ্রাতৃদ্বয়ের মবস্টার নাট্যধর্মী মিলার্স ক্রসিং (১৯৯০) ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন।
১৯৯০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় চালিয়ে যান। এসময়ে তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হল ইউজড পিপল (১৯৯২), দ্য ফার্স্ট ওয়াইভস্ ক্লাব (১৯৯৬) ও ডিজনির বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক হাস্যরসাত্মক ফ্লাবার (১৯৯৭)। এছাড়া তিনি ব্র্যাড পিটের বিপরীতে অতিপ্রাকৃত নাট্যধর্মী মিট জো ব্ল্যাক (১৯৯৮) ছবিতে এক ধনাট্য ব্যক্তির (অ্যান্থনি হপকিন্স) কন্যা চরিত্রে; ডেভিড মার্শাল গ্র্যান্টের বিপরীতে লেবার অব লাভ (১৯৯৮) টেলিছবিতে, এবং রোমাঞ্চকর নাট্যধর্মী স্পেস কাউবয়েজ (২০০০) ছবিতে অভিনয় করেন।
২০০০ সালের পোলক চলচ্চিত্রে চিত্রশিল্পী লি ক্র্যাজনার চরিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন।[৫] তিনি মিস্টিক রিভার (২০০৩) ছবিতে সেলেস্ট বয়েল চরিত্রে কাজ করে অপর একটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল আমেরিকান গান (২০০৫), দ্য মিস্ট ও ইনটু দ্য ওয়াইল্ড (২০০৭)।