মালতো | |
---|---|
পাহাড়িয়া | |
অঞ্চল | বাংলাদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিম বঙ্গ |
জাতি | মালতো জনগোষ্ঠী সাউরিয়া পাহাড়িয়া জনগোষ্ঠী |
মাতৃভাষী | ৭৪,০০০ (২০০৩)[১] to ১,১৭,০০০ (২০১৫)[২] |
দ্রাবিড়
| |
বাংলা লিপি, দেবনাগরী লিপি | |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | 639-3 – সমেত কোডপৃথক কোডসমূহ: kmj – কুমারভাগ পাহাড়িয়াmjt – সাউরিয়া পাহাড়িয়া |
গ্লোটোলগ | malt1248 [৩] |
মালতো /ˈmæltoʊ/[৪] বা পাহাড়িয়া /pəˈhɑːriə/[৫] পূর্ব ভারতে প্রচলিত উত্তর দ্রাবিড় ভাষা। অঞ্চল ভেদে এই ভাষার লেখ্যরূপ বাংলা লিপি অথবা দেবনাগরী লিপিতে লেখা হয়
মালতো ভাষার দুটি রূপ প্রচলিত আছে। কুমারভাগ পাহাড়িয়া (দেবনাগরি: कुमारभाग पहाड़िया) এবং সাউরিয়া পাহাড়িয়া (দেবনাগরি: सौरिया पहाड़िया)। অনেক সময় এই ভাষা দুটিকে পৃথক ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই ভাষার মধ্যে ৮০% ভাগ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ঝাড়খণ্ড, পশ্চিম বঙ্গে এবং উড়িষ্যার অল্প কিছু অংশে কুমারভাগ সাউরিয়া ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের কিছু অংশে এবং বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে সাউরিয়া পাহাড়িয়া ভাষার ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
মালতো জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার হার খুবই কম। তাই মালতো ভাষাটি ঐতিহ্যগতভাবে লিখিত ভাষা নয়। ১৮৮৪ সালে আর্নেস্ট ড্রোয়েসে দেবনাগরি লিপি ব্যবহার করে প্রথম এই ভাষায় লেখেন। বাংলাভাষী অঞ্চলে মালতো জনগোষ্ঠী বাংলা লিপিতে তাদের ভাষা লিখে থাকেন।