নীতিবাক্য | Ilmu Puncha Kemajuan |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | জ্ঞানই অগ্রগতি উৎস |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯০৫[১][২] |
আচার্য | সুলতান নাজরিন মুজিউদ্দিন শাহ |
উপাচার্য | ডক্টর আব্দুর রহিম হাসিম |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২২৭০ (জুন ২০১৮) [৩] |
শিক্ষার্থী | ২১৫০০ (জুন ২০১৮) [৩] |
স্নাতক | ১২১২৮ (জুন ২০১৮) [৩] |
স্নাতকোত্তর | ৮৯২৭ (জুন ২০১৮) [৩] |
অবস্থান | , ৩°০৭′১৫″ উত্তর ১০১°৩৯′২৩″ পূর্ব / ৩.১২০৮৩° উত্তর ১০১.৬৫৬৩৯° পূর্ব |
পোশাকের রঙ | লাল, গোল্ডেন এবং ব্লু |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ,[৪] APUCEN |
ওয়েবসাইট | www |
মালয় বিশ্ববিদ্যালয় (মালয়: Universiti Malaya) কুয়ালালামপুরে অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়।[৫][৬]
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি অনুষদ, ২টি পরিষদ এবং ৩টি কেন্দ্র, রয়েছে যথা: আইন অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, দন্তচিকিত্সা, মেডিসিন অনুষদ, পরিবেশ নির্মিত অনুষদ , অর্থনীতি অনুষদ ও ব্যবসা প্রশাসন অনুষদ এবং হিসাববিদ্যা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, ভাষা ও ভাষাতত্ত্ব, কলা অনুষদ ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি, অ্যাকাডেমি অফ এশিয়ান স্টাডিজ, ইসলামিক স্টাডিজ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, খেলার জায়গা এবং সেন্টার ফর স্টাডিজ ফাউন্ডেশন (ইউনিভার্সিটি অব মালায়া)।[৭]
মালায়া বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ার একটি প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়, এটি মালয়েশিয়া রাজধানী কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পশ্চিমে ৯২২ একর জমির উপর অবস্থিত।
১৯০৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে কিংডম এডওয়ার্ড কলেজ এবং ৮ অক্টোবর ১৯৪৯ সালে কিংডম এডওয়ার্ড মেডিকেল কলেজ এবং ১৯২৮ সালে রাফেলস কলেজের সাথে মিলিয়ে মালয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি 'মালয়' শব্দটি থেকে এসেছে, যা দেশটি মালায়ায় নামে তখন পরিচিত ছিল। মালয়ায়র শিক্ষা বিষয়ে উচ্চ কমিশন ১৯৪৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন। মালয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মত একটি সাধারণ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে জাতি, ধর্ম ও অর্থনৈতিক আগ্রহ যৌথ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। মালায়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবশ্যম্ভাবীভাবে বুঝতে হবে যে এটি মালায়ায়দের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠার প্রথম দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব দ্রুত উন্নয়ন করে ছিল, এর ফলে ১৫ জানুয়ারী ১৯৫৯ সিঙ্গাপুরে অবস্থিত এবং অন্যটি ১৯৬০ সালে কুয়ালালামপুরে দুটি স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ স্থাপিত হয়েছিল । দুইটি অঞ্চলে সরকার ১৯৬১ সালে আইন পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা পরিবর্তন করে একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশ করে এবং ১লা জানুয়ারি ১৯৬২ সালে মালয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬ জুন ১৯৬২ সালের মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য তুনকু আবদুল রহমান পুত্র আল-হাজ এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, তিনিই মালয়েশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস ছিলেন আচার্য বিশিষ্ট গণিতবিদ প্রফেসর ওপেনহেইম।
বর্তমানে সুলতান নাজরিন মুজিউদ্দিন শাহ মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং ১ নভেম্বর ২০১৭ সালে এইচ ডা: আব্দুল রহিম মালাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস আচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মালায়া বিশ্ববিদ্যালয় ৮৭ তম স্থান অর্জন করেছে। মার্কিন নিউজ ও ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় মালায় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান | |
---|---|
বিশ্বব্যাপি | |
এ.আর.ডব্লি. ইউ ওয়ার্ল্ড[৮] | ৩০১-৪০০ |
টাইমস ওয়ার্ল্ড[৯] | ৩০১-৩৫০ |
ইউ.এস.এন.ডব্লিউ.আর ওয়ার্ল্ড[১০] | ৩০১ |
কিউ.এস ওয়ার্ল্ড[১১] | ৮৭ |
আঞ্চলিক | |
বার এশিয়া[১২] | ৪৩ |
কিউ.এস এশিয়া[১৩] | ১৯ |
বছর | মান | মুল্যায়নকারি প্রতিষ্ঠান |
---|---|---|
২০১১ | ৪০১-৫০০ | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
২০১২ | ৪০১-৫০০ | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
২০১২ | ১৫৬ | কিউ.এস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং |
২০১৩ | ৪০১-৫০০ | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
২০১৩ | ১৬৭ | কিউ.এস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং |
২০১৪ | ৩০১-৪০০ | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
২০১৪ | ১৫১ | কিউ.এস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং |
২০১৫ | ৩০১-৪০০[১৪] | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
২০১৫ | ১৪৬[১৫] | কিউ.এস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং |
২০১৬ | ৪০১-৫০০[১৬] | অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
২০১৭ | ১১৪[১৭] | কিউ.এস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং |
২০১৮ | ৮৭[১৮] | কিউ.এস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং |
২০১৯ | ৩০১-৩৫০[১৯] | টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং |
গবেষণা, উদ্ভাবন, প্রকাশনা এবং শিক্ষণ উচ্চতর শিক্ষার একটি আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান তৈরী করাই প্রধান লক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য দেশের জন্য এবং মানবতার জন্য মান গবেষণা এবং শিক্ষা মাধ্যমে জ্ঞান এবং শেখার অগ্রগতি।
ইউনিভার্সিটি অফ মালায় থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছে অনেক উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্রসহ দুই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সহ আরও অনেক ছাত্রছাত্রী মালয়েশিয়া ও বিদেশে অবদান আছে।