মালয়েশিয়ায় হিন্দুধর্ম

মালয়েশিয়ান হিন্দু
মোট জনসংখ্যা
২০.৬ লাখ (২০২০ আনু.) বৃদ্ধি []
1.79 million (2011 census)
ধর্ম
হিন্দুধর্ম
ভাষা
পবিত্র
সংস্কৃত এবং পুরাতন তামিল
প্রধান
তামিল (প্রধান/সংখ্যাগরিষ্ঠ)
অন্যান্য
তেলুগু , মালায়ালাম , পাঞ্জাবি , নেপালি , বালিনিজ , চীনা , ইবান , চিট্টি মালয়
জাতীয় ভাষা

মালয়েশিয়ান ভাষা

হিন্দুধর্ম মালয়েশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম । ২০১০ সালের আদমশুমারি অনুসারে মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৭.৮ লাখ হিন্দু বসবাস করে যা মোট জনসংখ্যার 6.3% ।[][]

হিন্দুদের উপর নির্যাতন

[সম্পাদনা]

অপমানজনক শব্দ

[সম্পাদনা]

মালয়েশিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের অপমানজনক শব্দ "কেলিং" নামে ডাকা হয়।[]

ইসলামের প্রতি পক্ষপাতিত্ব

[সম্পাদনা]

ইসলাম মালয়েশিয়ার সরকারি ধর্ম। মালয়েশিয়ার সংবিধান "ইসলামই প্রকৃত মালয় জনগণের ধর্ম এবং স্থানীয় জনগণকে মুসলিম হতে হবে" - এরুপ ঘোষণা করে।[] ইসলাম থেকে হিন্দু ধর্ম (বা অন্য কোনো ধর্ম) গ্রহণ করা আইনত নিষিদ্ধ, কিন্তু হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের ইসলাম গ্রহণকে স্বাগত জানানো হয়। সরকার দেশে ইসলামের প্রসারকে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করে।[]

আইন অনুযায়ী, কোনো হিন্দু (বা বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান) যদি কোনো মুসলিমকে বিয়ে করতে চান, তবে তাকে প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় সেই বিয়ে অবৈধ এবং বাতিল বলে গণ্য হবে। যদি হিন্দু পিতামাতার একজন ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে দ্বিতীয় জনের সম্মতি ছাড়াই সন্তানেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুসলিম হয়ে যাবে।[]

মালয়েশিয়ার আদালতগুলোতে হিন্দুদের উপর সরকারি নির্যাতনের বহু ঘটনা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০ সালের আগস্ট মাসে সিতি হাসনাহ বাঙ্গারমা নামে এক মালয়েশিয়ান নারীকে আদালত হিন্দু ধর্মে পুনরায় ধর্মান্তরিত হওয়ার অধিকার অস্বীকার করে। জন্মসূত্রে হিন্দু বাঙ্গারমাকে ৭ বছর বয়সে তাকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তিনি পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরে আসতে চান এবং আদালতে তার পুনঃধর্মান্তরকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।[]

হিন্দু মন্দির ধ্বংস

[সম্পাদনা]

১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে পেনাং-এ হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে এক সহিংস সংঘর্ষের পর, সরকার লাইসেন্সবিহীন দোহাই দিয়ে হিন্দু মন্দির ও উপাসনালয়ের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে পুনর্মূল্যায়ন করার ঘোষণা দেয়। তবে এই কার্যক্রম কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি এবং এটি জনসমক্ষে আলোচনা হয়নি।[]

২০০৬ সালের ২১ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে মালাইমেল শ্রী সেলভা কালিয়াম্মান মন্দিরটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।[১০]

মালয়েশিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইসলামীকরণ অনেক সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বীদের, বিশেষত হিন্দুদের, উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।[১১]

২০০৬ সালের ১১ মে, কুয়ালালামপুরের সিটি হলের সশস্ত্র কর্মকর্তারা একটি ৯০ বছর পুরনো উপশহরের মন্দিরের একটি অংশ জোরপূর্বক ধ্বংস করে, যা ৩,০০০ এরও বেশি হিন্দুর সেবা দিত। বেশ কয়েকটি এনজিওর সমন্বয়ে গঠিত, হিন্দু রাইটস অ্যাকশন ফোর্স (হিন্দ্রাফ) এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে।[১২]

হিন্দ্রাফ-এর চেয়ারম্যান, ওয়াইথা মূর্তি পন্নুসামী বলেন:[১২]

...মালয়েশিয়ার হিন্দু সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও অবহেলিত অংশের বিরুদ্ধে বর্বরতা করা হচ্ছে। আমরা আবেদন জানাই যে এই হিন্দু মন্দির এবং মালয়েশিয়ার সকল হিন্দু মন্দিরকে নির্বিচারে এবং বেআইনিভাবে ধ্বংস করা না হয়।

অনেক হিন্দু অধিকার সংগঠন 'মালয়েশিয়ায় পরিকল্পিত উপায়ে মন্দির ধ্বংস কার্যক্রম চলছে" বলে অভিযোগ করেছে। মালয়েশিয়ার সরকার মন্দিরগুলিকে "অবৈধভাবে নির্মিত" হিসেবে চিহ্নিত করে এই ধ্বংসযজ্ঞের পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। তবে অনেক মন্দির শতাব্দী প্রাচীন।[১২]

হিন্দ্রাফ-এর একজন আইনজীবীর মতে, মালয়েশিয়ায় প্রতি তিন সপ্তাহে একটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা হয়।

২০০৭ সালে, মালয়েশিয়ার হিন্দু সংগঠনগুলো মালয়েশিয়ান সরকারের দ্বারা হিন্দু মন্দির ধ্বংসের প্রতিবাদ করে। ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর, পদাং জাওয়া-এ ১০০ বছর পুরনো মহা মারিয়াম্মান মন্দিরটি মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ ধ্বংস করে। ওই ধ্বংসযজ্ঞের পর, ভারতের বংশোদ্ভূত ও মালয়েশিয়ান ইন্ডিয়ান কংগ্রেস (MIC)-এর প্রধান এবং কর্মমন্ত্রী সামি ভেলু বলেন যে, সরকারী জমিতে নির্মিত হিন্দু মন্দিরগুলো তার আবেদন সত্ত্বেও এখনও ধ্বংস করা হচ্ছে।

এই ধরনের মন্দির ধ্বংসের ঘটনা হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন (HAF) দ্বারা রিপোর্ট করা হয়েছে।

HAF উল্লেখ করেছে যে মালয়েশিয়ান সরকার ১৯৪৮ সালের ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অফ হিউম্যান রাইটস-এর ২০ নং অনুচ্ছেদ এবং মালয়েশিয়ার ফেডারেল সংবিধানের ১০ নং অনুচ্ছেদের বিরুদ্ধে ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা’র অধিকার সীমিত করেছে। মালয়েশিয়ান হিন্দুদের জমায়েতের আবেদন পুলিশ দ্বারা নির্বিচারে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

সরকার হিন্দ্রাফের ১০০,০০০ স্বাক্ষরের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি দেওয়ানি মামলা সমর্থনের প্রচারণাকে দমন করার চেষ্টা করেছে।

হিন্দ্রাফ মালয়েশিয়ান সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি এবং সন্ত্রাসের সৃষ্টি করার অভিযোগ এনেছে।

২০০৭ সালে হিন্দ্রাফের প্রতিবাদ সমাবেশ মালয়েশিয়ান সরকারকে ভারতীয় ও হিন্দু সংগঠনগুলো যেমন মালয়েশিয়া হিন্দু কাউন্সিল, মালয়েশিয়া হিন্দুধর্ম মামান্দ্রাম এবং মালয়েশিয়ান ইন্ডিয়ান ইয়ুথ কাউন্সিল (MIYC)-এর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে উদ্বুদ্ধ করে। তবে হিন্দ্রাফকে এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এবং আলোচনার পর উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।[১৩][১৪]

গরুর মাথা বিতর্ক

[সম্পাদনা]

গরুর মাথা প্রতিবাদ ছিল ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট মালয়েশিয়ার শাহ আলমে সুলতান সালাহউদ্দিন আবদুল আজিজ শাহ ভবনে সেলাঙ্গর রাজ্য সরকারের সদর দপ্তরের সামনে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদের নামকরণ এমনটা করা হয়েছিল কারণ কিছু অংশগ্রহণকারী একটি গরুর মাথা নিয়ে আসে, যা পরে তারা "মাথায় পা দিয়ে মাড়ায় এবং তাতে থুতু ফেলে প্রতিবাদস্থল ত্যাগ করে।" গরু হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র প্রাণী।

প্রতিবাদটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কারণ সেলাঙ্গর রাজ্য সরকার শাহ আলামের সেকশন ১৯ আবাসিক এলাকা থেকে একটি হিন্দু মন্দির সেকশন ২৩-এ স্থানান্তর করার প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রতিবাদকারীরা মূলত মুসলিম চরমপন্থী ছিল এবং তারা সেকশন ২৩-এ মন্দির স্থানান্তরের বিরোধিতা করেছিল।[১৫]

প্রতিবাদ নেতারা এ-ও বলেছিলেন যে শাহ আলামে যদি মন্দির নির্মাণ করা হয়, তাহলে "রক্তপাত হবে।" এই প্রতিবাদের ভিডিও মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালয়েশিয়াকিনি ধারণ করেছিল।[১৬]

রেবাথি মাসোসাই ধর্মান্তর মামলা

[সম্পাদনা]

মুসলিম পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করা রেবাথি মাসোসাই হিন্দু ধর্মে বেড়ে উঠেছিলেন এবং ২০০৪ সালে একজন হিন্দু পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু মালয়েশিয়ার সরকার তার বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়নি, কারণ শরিয়া আইনের অধীনে একজন হিন্দু পুরুষ মুসলিম নারীর সাথে বিবাহ করতে পারে না।[১৭]

ইসলাম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের চেষ্টা করার কারণে তাকে ছয় মাসের জন্য একটি ইসলামিক পুনঃশিক্ষা শিবিরে আটক রাখা হয়। সেখানে তাকে গরুর মাংস খেতে বাধ্য করা হয় (যা অনেক হিন্দু ধর্মীয় কারণে এড়িয়ে চলে), মুসলিম প্রার্থনা করতে এবং মাথায় স্কার্ফ পরতে বাধ্য করা হয়। ইসলামিক কর্মকর্তারা রেবাথির ১৮ মাস বয়সী মেয়েকে তার হিন্দু পিতা সুরেশের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে রেবাথির মুসলিম দাদির কাছে দিয়ে দেন। রেবাথিকে তার মায়ের সাথে থাকার এবং ইসলামিক ‘পরামর্শ’ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।[১৭]

যোগব্যায়ামের বিরুদ্ধে ফতোয়া

[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে, মালয়েশিয়ার জাতীয় ফতোয়া কাউন্সিল যোগব্যায়ামের বিরুদ্ধে একটি ফতোয়া জারি করে। কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল শুকুর হুসিম বলেন:[১৮][১৯][২০]

আমরা মনে করি হিন্দু ধর্ম থেকে উদ্ভূত যোগব্যায়াম শারীরিক অনুশীলন, ধর্মীয় উপাদান, মন্ত্রোচ্চারণ এবং উপাসনার সমন্বয়ে অভ্যন্তরীণ শান্তি অর্জন এবং ঈশ্বরের সাথে একাত্ম হওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়। আমাদের মতে, যোগব্যায়াম একজন মুসলিমের বিশ্বাসকে ধ্বংস করে।

ইন্দিরা গান্ধি ধর্মান্তর মামলা

[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে, ইন্দিরা গান্ধির স্বামী পাথমানাথন ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মুহাম্মদ রিদুয়ান আবদুল্লাহ নাম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি একতরফাভাবে তার তিন সন্তানকে তার স্ত্রীর সম্মতি ছাড়াই (যার মধ্যে একজন ছিল মাত্র ১১ মাস বয়সী) ইসলামে ধর্মান্তরিত করেন। শরিয়া আদালত সন্তানদের হেফাজতও রিদুয়ানকে প্রদান করে।[২১]

২০১৬ সালে ফেডারেল কোর্ট ইন্সপেক্টর-জেনারেল অফ পুলিশকে রিদুয়ানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার আদেশ দেয়। কারান এবং তেভি নিজেদের হিন্দু বলে ঘোষণা করেছেন। তবে রিদুয়ান তার সন্তান প্রসানাকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং তাদেরকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।[২২][২৩]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Malaysia Demographics Profile"। ২৭ নভেম্বর ২০২০। 
  2. 2010 Population and Housing Census of Malaysia (Census 2010) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে Department of Statistics Malaysia, Official Portal (2012)
  3. Saw, Swee-Hock (২০০৭)। The Population of Malaysiaআইএসবিএন 9789812304438 
  4. PANDIYAN, M. VEERA (২০১৬-০৮-১০)। "'Keling' and proud of it"The Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  5. S., Lemière, (২০০৭)। "Apostasy & Islamic Civil Society in Malaysia"ISIM Review (ইংরেজি ভাষায়)। 20 (1)। 
  6. JOURNAL OF SOCIAL SCIENCES। Kamla Raj Enterprises। 
  7. "2011 Report on International Religious Freedom - Malaysia"Refworld (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  8. "US-based HAF calls Banggarma verdict 'religiously discriminatory'"web.archive.org। ২০১০-০৮-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  9. Relations, United States Congress House Committee on International (২০০১)। Annual Report on International Religious Freedom 2001: Report Submitted to the Committee on International Relations, U.S. House of Representatives and the Committee on Foreign Relations, U.S. Senate (ইংরেজি ভাষায়)। U.S. Government Printing Office। 
  10. Team, DNA Web। "Malaysia demolishes century-old Hindu temple"DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  11. "Pressure on multi-faith Malaysia" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৬-০৫-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  12. "Hindu group protests 'temple cleansing' in Malaysia"web.archive.org। ২০০৭-০৭-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  13. "Protect Hindus in Malaysia: BJP"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-১২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  14. "- Nation | The Star Online"web.archive.org। ২০১২-১০-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  15. "The Associated Press: Malaysia Muslims protest proposed Hindu temple"web.archive.org। ২০০৯-০৯-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  16. KiniTV (২০০৯-০৮-২৮)। "Temple demo: Residents march with cow's head" 
  17. "Malaysia 'convert' claims cruelty" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-০৭-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  18. "Malaysia bans Muslims from practicing yoga"The Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  19. MacKinnon, Ian; correspondent, south-east Asia (২০০৮-১১-২৪)। "Islamic ruling bans Malaysia's Muslims from practising yoga"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  20. Staff, Reuters। "Malaysia backs down from yoga ban amid backlash"U.S. (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  21. Hamdan, Nurbaiti Hanim Binti (২০২০-১০-২৯)। "Indira Gandhi files RM100mil lawsuit"The Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  22. GHAZALI, RAHMAH (২০১৮-০১-২৯)। "Indira Gandhi: Grateful for decision, but where is my daughter?"The Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬ 
  23. "No more excuses, find my daughter, Indira Gandhi tells police"www.malaymail.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০১-২৬