মালিক কাফুর | |
---|---|
অন্য নাম | তাজ আল দীন ইজ্জত আল দৌলা, মালিক নায়েব, হজর দিনারী, আল-আলফি |
মৃত্যু | ফেব্রুয়ারি ১৩১৬ দিল্লী |
আনুগত্য | দিল্লি সুলতান |
পদমর্যাদা | নায়েব (ভাইসরয়) |
যুদ্ধ/সংগ্রাম |
|
মালিক কাফুর (১৩১৬ সালে মৃত্যু) দিল্লি সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির একজন সেনাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন খোঁজা করা দাস, খিলজির দাসী সেনাপতি হিসেবেই তিনি ছিলেন সম্যধিক পরিচিত। ১২৯৯ সালে আলাউদ্দিন খিলজি গুজরাত দখল করেন এবং তার সেনাপতি নুসরাত খান এই মালিক কাফুরকে নিজের দাস বানান। কাফুর ১৩০০ শতাব্দীর শুরুর দিকে খ্যাতিমান হয়ে ওঠেন।
১৩০৬ সালে ভারতে মঙ্গলীয়রা আক্রমণ করলে কাফুর আলাউদ্দিনের সেনাবাহিনী পরিচালনা করে মঙ্গোলীয়দেরকে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন। কাফুরের খ্যাতি আরো ভালো করে ছড়ায় যখন তিনি আলাউদ্দিন খিলজির দেবগিরি বিজয়তে সেনাবাহিনী পরিচালনা করেন ১৩০৮ সালে, ১৩১০ সালে ওয়ারাঙ্গাল এলাকা দখল কাফুরই করেন এবং দ্বৈরাসমুদ্রা ১৩১১ সালে বিজিত করেন তিনি। কাফুর পান্ড্য রাজবংশের সেনাবাহিনীকেও পরাজিত করেছিলেন, তিনি সব যুদ্ধ থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমনঃ সোনাগয়না, হাতি এবং ঘোড়া নিজের সেনাদের অধীনে নিয়ে ওগুলো দিল্লি সুলতানকে দিতেন।
১৩১৩-'১৫ সাল কাফুর দেবগিরিতে আলাউদ্দিনের গভর্নর হিসেবে কাজ করেন। ১৩১৫ সালে আলাউদ্দিন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে কাফুরকে দিল্লিতে ডাকা হয় এবং কাফুর নায়েব (ভাইস রয়) এর দায়িত্ব পান। আলাউদ্দিন মারা গেলে তার ছেলে শিহাবউদ্দিন ওমরকে তার জায়গায় বসান কাফুর। মাত্র এক মাস শিহাব সিংহাসনে ছিলেন এবং তাকে আলাউদ্দিনের সাবেক দেহরক্ষীরা মেরে ফেলে, সঙ্গে সঙ্গে কাফুরও খুন হন। আলাউদ্দিনের বড় পুত্র মোবারক শাহ এরপর রাজার পদে বসেন।
কাফুরের আসল নাম জানা যায়না, ভারতে মুসলিম শাসকদের দাপট বাড়লে নির্যাতিত হয়ে বহু হিন্দু ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়, মালিক কাফুর তাদেরই একজন ছিলেন, তাকে খোঁজা করা হয়েছিলো যাতে তিনি নারীদের দেখাশোনা করতে গিয়ে কোনো যৌনকর্ম না করতে পারেন।
১২৯৯ সালে আলাউদ্দিন খিলজি (দিল্লি সুলতান) তার সেনাপতি নুসরাত খানকে গুজরাত দখলের জন্য পাঠান এবং নুসরাতের সেনাবাহিনী অনেক মানুষকে আটকায় যাদের মধ্যে কাফুরও ছিলেন, পরে কাফুর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এবং তাকে দিল্লিতে আলাউদ্দিনের কাছে আনা হয়।