Malinithan | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | নিম্ন সিয়াং জেলা |
অবস্থান | |
অবস্থান | Likabali |
রাজ্য | অরুণাচল প্রদেশ |
দেশ | ভারত |
Malinithan in Likabali | |
স্থানাঙ্ক | ২৭°৩৯′২৪″ উত্তর ৯৪°৪২′২১″ পূর্ব / ২৭.৬৫৬৬৭° উত্তর ৯৪.৭০৫৮৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
সৃষ্টিকারী | শুতীয়ার রাজা |
সম্পূর্ণ হয় | ১৩শ - ১৪শ শতাব্দী |
মালিনী থান এক মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থাকা একটি স্থান। প্রতি বছর এই পবিত্র স্থানে অনেক পর্যটকের ভিড় দেখা যায়৷ এই স্থানে অরুণাচল প্রদেশএর পশ্চিম সিয়াং জেলার দক্ষিণ সীমান্তের চিলাপথার নামক স্থান থেকে কয়েক মাইল উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এই থানের ধ্বংসাবশেষসমূহ একে ১৪-১৫ শতকের বলে প্রতীয়মান করে৷[১]
মালিনী থানে প্রধানত দেবী দুর্গা ও শিবএর নামে উপাসনা করা হয়৷ এই থানের সঙ্গে কৃষ্ণ ও রুক্মিণীর নামও জড়িত হয়ে থাকা দেখা যায়৷ কাহিনী অনুসারে, কৃষ্ণ ও রুক্মিণী বিবাহএর পর এই স্থানে আসেন। তারপর পার্বতী এখানে মালিনীর রূপে তাদের সেবা করেন৷ তারপর থেকেই এই স্থানের নাম মালিনী হয়৷ অন্য মতে, এই স্থানটি এটি শক্তি পীঠ৷
এই থানের নির্মাণ কার্যে উড়িষ্যার বিভিন্ন মন্দিরের সঙ্গে মিল দেখা যায়৷[১] মালিনী থানের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে যে কয়টি হাতীর মূরের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, সেই মূর্তির চানেকীর সঙ্গে বর্মন বংশীয় রাজাদের রাজকীয় তামার ফলকসমূহের সীল-মোহরের সাদৃশ্য আছে। এই হাতীর মূর উরিষ্যা ও দাক্ষিণাত্যের মন্দিরের গায়ে দেখতে পাওয়া যায়। উড়িষ্যার বিখ্যাত কোনারক মন্দিরটিতে হাতী ও সিংহের ’মোটিফ’ দেখা যায়। মালিনী থানের ভাস্কর্যসমূহে খ্রিস্টীয় নবম-দশম শতকে নির্মিত অসমএর অন্যান্য স্থানে আবিষ্কৃত ভাস্কর্যসমূহের সঙ্গে মিল দেখা যায়।[২]