ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | পাবুলাগে মালিন্দা পুষ্পকুমারা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ২৪ মার্চ ১৯৮৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৭০ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪১) | ৩ আগস্ট ২০১৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৩ নভেম্বর ২০১৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৮৪) | ৩১ আগস্ট ২০১৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ - ২০১০ | মুরস স্পোর্টস ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ - ২০১৫ | সারাসেন্স স্পোর্টস ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ - বর্তমান | চিল মারিয়ান্স ক্রিকেট ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ |
পাবুলাগে মালিন্দা পুষ্পকুমারা (সিংহলি: මලින්ද පුෂ්පකුමාර; জন্ম: ২৪ মার্চ, ১৯৮৭) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কান পেশাদার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে চিল মারিয়ান্স ক্রিকেট ক্লাব, মুরস স্পোর্টস ক্লাব, সারাসেন্স স্পোর্টস ক্লাব, সিংহ স্পোর্টস ক্লাব, শ্রীলঙ্কা পোর্টস অথরিটি ক্রিকেট ক্লাব ও কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন।[১] দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করেন মালিন্দা পুষ্পকুমারা।
কলম্বোর লাম্বিনি কলেজে অধ্যয়ন করেছেন মালিন্দা পুষ্পকুমারা। এখানে থাকাকালীন ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ গড়ে উঠে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যথেষ্ট পরিপক্ব অবস্থায় থাকলেও শ্রীলঙ্কা এ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা এ, নিউজিল্যান্ড এ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে খেলে কিছুটা সফলতার স্বাক্ষর রাখেন।
২০০৬ সাল থেকে মালিন্দা পুষ্পকুমারা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। বলে বিপজ্জ্বনকভাবে ভিন্নতা আনয়ণে চতুরতার সাথে বামহাতে স্পিন বোলিং করে থাকেন মালিন্দা পুষ্পকুমারা। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম সেরা উইকেট শিকারীতে পরিণত হয়েছেন তিনি। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রথম-শ্রেণীর উপযোগী মাঠগুলো স্পিনারদের অনুকূলে তৈরী করা হয় ও পুষ্পকুমারা তার ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করা সত্ত্বেও জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি।
২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৪-১৫ মৌসুমের প্রিমিয়ার প্রতিযোগিতায় সেরা বোলারের সম্মাননা লাভ করেছেন তিনি। ২০১২-১৩ ও ২০১৪-১৫ প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন। মাঝের বছরগুলোয়ও তিনি সেরা ছন্দে অবস্থান করেন। কিন্তু, ২০১৬-১৭ মৌসুমে তিনি অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। ১৩.৭৯ গড়ে ৭৭ উইকেট পান যা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় ২০ উইকেট বেশি ছিল। এ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টে নয় খেলার আঠারো ইনিংসে সর্বাধিক উইকেট শিকারীতে পরিণত হন।[২]
২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টে সর্বাধিকসংখ্যক উইকেট লাভের অধিকারী হন। ১০ খেলার ২০ ইনিংসে তিনি ৭০টি ডিসমিসাল ঘটিয়েছলেন।[৩] মার্চ, ২০১৮ সালে সুপার ফোর প্রভিন্সিয়াল টুর্নামেন্টে গালের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[৪][৫] পরের মাসেও তিনি সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে একই দলের পক্ষে খেলার জন্যে নামাঙ্কিত হন।[৬] ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি শীর্ষস্থানীয় উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। ছয় খেলায় অংশ নিয়ে পনেরোটি ডিসমিসাল ঘটান।[৭]
আগস্ট, ২০১৮ সালে এসএলসি টি২০ লিগে ক্যান্ডির পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[৮] মার্চ, ২০১৯ সালে সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে ক্যান্ডির পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[৯] জানুয়ারি, ২০২০ সালে এসএলসি টুয়েন্টি২০ টুর্নামেন্টে শীর্ষস্থানীয় উইকেট শিকারী ছিলেন। নয় খেলায় অংশ নিয়ে আঠারো উইকেট পান।[১০]
অবশেষে ২৯ বছর বয়সে তাকে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলে রাখা হয়। এ পর্যায়ে তিনি ৫৫৮টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট নিজ নামের সাথে যুক্ত করেন। এরজন্যে অবশ্য দলে রঙ্গনা হেরাথের ন্যায় বোলারের উপস্থিতি তাকে প্রতিবন্ধকতায় ফেলেছিল। দল নির্বাচকমণ্ডলী কেবলমাত্র একজন বামহাতি স্পিনারকে দলে রাখতে আগ্রহ বোধ করেন।
চলমান খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন মালিন্দা পুষ্পকুমারা। ৩ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখে একই মাঠে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০১৬-১৭ মৌসুমে বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা গমন করে। সফরকারীদের বিপক্ষে খেলার জন্যে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সালে তাকে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলে রাখা হয়। তবে, তাকে ঐ সিরিজে খেলানো হয়নি।[১১] জুলাই, ২০১৭ সালে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য হন।[১২] ৩ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[১৩] ২০ ওভার পর অজিঙ্কা রাহানেকে স্ট্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে প্রথম উইকেট লাভে সক্ষম হন। ঐ খেলায় ১৫৬ রান খরচায় ২ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। ভারত দল প্রথম ইনিংসে রেকর্ডসংখ্যক ৬১৯ রান তুলে। দ্বিতীয় ইনিংসে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে খেলেন। ১৬ রান করেছিলেন তিনি। তবে, শ্রীলঙ্কা দল ঐ খেলায় ইনিংস ও ৫৩ রানের বিরাট ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।
পরের মাসে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে শ্রীলঙ্কার ওডিআই দলের সদস্য করা হয়।[১৪] ৩১ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত ভারতের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির চতুর্থ ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ৬৫ রান খরচ করলেও তিনি কোন উইকেটের সন্ধান পাননি ও কেবলমাত্র ৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।[১৫]
জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে প্রথম-শ্রেণীর একটি খেলায় এক ইনিংসে দশ উইকেটের সবকটিই লাভ করেন তিনি।[১৬] নভেম্বর, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃক ২০১৬-১৭ মৌসুমের ঘরোয়া ক্রিকেটকে ঘিরে বার্ষিক পুরস্কার হিসেবে সেরা বোলার হিসেবে পুরস্কৃত হন।[১৭] মে, ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ ২০১৮-১৯ মৌসুমকে ঘিরে ৩৩জন ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে রাখে।[১৮][১৯]
জানুয়ারি, ২০১৯ সালের প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টে কলম্বো বনাম সারাসেন্স ক্লাবের মধ্যে ষষ্ঠ খেলায় তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে দশ উইকেটের সবকটি ঝুলিতে পুড়েন।[১৬] ২০০৯ সালের পর এটিই কোন ইনিংসে দশ উইকেট লাভের প্রথম ঘটনা ছিল ও ১৯৯৫ সালের পর সেরা বোলিং পরিসংখ্যান।[২০] একই খেলায় তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার ৭০০তম উইকেট লাভের অধিকারী হন।[১৬] শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ইনিংসে সবকটি উইকেট লাভের কৃতিত্ব অর্জন করেন।[২১] ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। নয় খেলায় অংশ নিয়ে ৬৩টি ডিসমিসাল ঘটান। তন্মধ্যে, ইনিংসে সাতবার পাঁচ-উইকেট পেয়েছিলেন।[২২]