মালিন্দাং পর্বত | |
---|---|
![]() মালিন্দাং পর্বতের অঞ্চলের আলোকচিত্র (ল্যান্ডস্যাট কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা) | |
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ২,৪০৪ মিটার (৭,৮৮৭ ফুট) [১][২][৩] |
সুপ্রত্যক্ষতা | ২,২৯০ মিটার (৭,৫১০ ফুট) [২] |
তালিকাভুক্তি | |
স্থানাঙ্ক | ৮°১৩′০৩″ উত্তর ১২৩°৩৮′১২″ পূর্ব / ৮.২১৭৫০° উত্তর ১২৩.৬৩৬৬৭° পূর্ব [১][২] |
ভূগোল | |
দেশ | ফিলিপাইন |
অঞ্চল | উত্তর মিন্দানাও |
প্রদেশ | মিসামিস ওক্সিদেন্তাল |
মূল পরিসীমা | মালিন্দাং পর্বতশ্রেণী |
ভূতত্ত্ব | |
পর্বতের ধরন | [১] |
আগ্নেয়গিরিতুল্য চাপ/বলয় | সুলু-জামবোঙ্গা আর্ক |
আরোহণ | |
প্রথম আরোহণ | মেজর ই.এ. মিয়ার্ন্স, ডাব্লিউ.আই. হাচিনসন, এবং তাদের দল। মে ১৯০৬[৫] |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:মানচিত্রের_কাঠা এর 318 নং লাইনে: attempt to perform arithmetic on local 'lat_d' (a nil value)। |
মালিন্দাং পর্বত একটি জটিল আগ্নেয়গিরি যা ফিলিপাইনের দক্ষিণ দ্বীপ মিন্দানাওয়ের মিসামিস ওসিডেন্টাল প্রদেশে অবস্থিত। এটি প্রদেশের সর্বোচ্চ পর্বত। স্বল্প অধ্যয়নরত পর্বতশ্রেণীটি বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে গঠিত হয়েছিল, এতে দুটি ক্যালডেরার উপস্থিতি স্পষ্ট, উঁচু পাথরের প্রাচীর, সিন্ডার কোণ, আগ্নেয়গিরি প্লাগ, দুটি সালফারযুক্ত উষ্ণ প্রস্রবণ, এবং ডুমিনাগাট হ্রদ নামে একটি ক্রেটার হ্রদ দ্বারা বেষ্টিত। অ্যাম্ফিথিয়েটার গঠনগুলোতে আগ্নেয় শিলা, কার্বন কাঠের পাইকারোক্লাস্টিক ডিপোজিটে প্রচুর বণ্টন রয়েছে। পর্বতশ্রেণীটিকে বিভিন্ন উপত্যকার মাধ্যমে বিভাগ করা হয়।
মালিন্দাংয়ের কোনো পরিচিত ঐতিহাসিক অগ্ন্যুৎপাত নেই এবং এটি ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানো এবং সিসমোলজি দ্বারা নিষ্ক্রিয় হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।[৪]
মালিন্দাং পর্বত এবং সমগ্র মালিন্দাং পর্বতশ্রেণীর আকর্ষণীয় গুণাবলী তার জলপ্রপাত, ক্রেটার লেক এবং ঘন কুমারী বন যা বিভিন্ন বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বাসস্থান। ১৯৭১ সালের ১৯শে জুন এলাকাটিকে প্রজাতন্ত্র আইন ৬২৬৬ এর মাধ্যমে মালিন্দাং পর্বত জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৬] ১৯৯২ সালে ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেটেড প্রোটেকটেড এরিয়া সিস্টেম (নিপস) প্রতিষ্ঠার অধীনে পার্কটি পুনরায় শ্রেণীবদ্ধ করা হয় এবং ২রা আগস্ট, ২০০২ তারিখে ঘোষণা নং ২২৮ এর মাধ্যমে মালিন্দাং পর্বত প্রাকৃতিক উদ্যান নামে নামকরণ করা হয়।[৭]
পার্কটি তিনটি প্রদেশ পরিবেষ্টিত - মিসামিস অকসিডেন্টাল, জাম্বোঙ্গা দেল সুর এবং জাম্বোঙ্গা দেল নর্তে - ৫৩,২৬২ হেক্টর (১৩১,৬১০ একর) এলাকা জুড়ে যার মধ্যে প্রায় ৩৩,০০০ হেক্টর (৮২,০০০ একর) বা ৬২% বন অবশিষ্ট রয়েছে। প্রায় ২০,০০০ হেক্টর (৪৯,০০০ একর) আদিবাসীদের দ্বারা চাষাবাদ এবং বসবাসের জায়গা; বেশিরভাগ সুবান উপজাতি।[৮][৯]
জাতীয় উদ্যানটি একটি সমৃদ্ধ এবং অনন্য জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত যা এখনো সম্পূর্ণ অনুসন্ধান করা হয়নি। পাহাড় এবং এর বাইরের এলাকা, কিছু অনাবিষ্কৃত, যা ফিলিপাইনের কিছু এনডেমিক এবং বিপন্ন প্রজাতির বাসস্থান, যার মধ্যে রয়েছেঃ
মালিন্দাং পর্বত এবং এর পার্শ্ববর্তী পর্বতশ্রেণী, দাপিতান পিক এবং ব্লিস পর্বত সহ, একটি ক্যাচমেন্ট এলাকা যা ৪৯টি নদী এবং অসংখ্য খালের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করে। এটি মিসামিস অকসিডেন্টাল, জাম্বোঙ্গা ডেল নর্তে এবং জাম্বোঙ্গা ডেল সুরের পূর্ব অংশের ১০ লক্ষেরও বেশি বাসিন্দাকে দেশীয়, কৃষি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য পানি সরবরাহ করে।[১০]
১৩ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত পরিবেশ বিষয়ক ১৩তম অনানুষ্ঠানিক আসিয়ান মন্ত্রীসভার বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) মালিন্দাং পর্বতকে ঐতিহ্যবাহী উদ্যান তথা হেরিটেজ পার্ক (এএইচপি) হিসেবে ঘোষণা করে। ফিলিপাইনের অন্য তিনটি ঐতিহ্যবাহী উদ্যান হল মিন্দোরোর ইগলিট-বাকো পর্বত জাতীয় উদ্যান, বুকিননের কিতানগ্লাড পর্বত এবং দাভাও-এর আপো পর্বত প্রাকৃতিক উদ্যান।[১১]
৪ঠা আগস্ট, ২০১২ তারিখে ওরোকুতে আসিয়ান সেন্টার ফর বায়ো-ডাইভার্সিটি (এসিবি) এর পৃষ্ঠপোষকতায় ২য় জাতীয় আসিয়ান হেরিটেজ পার্ক (এএইচপি) সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।[১২]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)