মাল্যুক | |
---|---|
![]() ২০২১ 'জব্রোয়া তা বেজপেকা' সামরিক মেলায় মাল্যুক প্রদর্শন করা হচ্ছে | |
প্রকার | বুলপাপ অসল্ট রাইফেল |
উদ্ভাবনকারী | ইউক্রেন |
ব্যবহার ইতিহাস | |
ব্যবহারকাল | ২০১৭–বর্তমান |
ব্যবহারকারী | ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী |
যুদ্ধে ব্যবহার | ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ |
উৎপাদন ইতিহাস | |
নকশাকারী | ইন্টারপ্রোইনভেস্ট (আইপিআই) |
উৎপাদনকারী | ক্র্যাসিলিভ অ্যাসেম্বলি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট |
উৎপাদনকাল | ২০১৫–বর্তমান |
তথ্যাবলি | |
ওজন | ৩.৮ কেজি (৮.৩৮ পা) |
দৈর্ঘ্য | ৭১২ মিমি (২৮ ইঞ্চি) |
ব্যারেলের দৈর্ঘ্য | ৪১৫ মিমি (১৬ ইঞ্চি) |
কার্টিজ | 5.45×39mm 7.62×39mm 5.56×45mm NATO |
গুলির হার | ৬৬০ রাউন্ড/মিনিট |
কার্যকর পাল্লা | ৫০০ মিটার |
ফিডিং | ১০/৩০/৪৫ বৃত্তাকার বিচ্ছিন্নযোগ্য বাক্স ম্যাগাজিন |
সাইট | লোহার দর্শনীয় স্থান এবং পিকাটিনি রেল, অন্যান্য ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুসারে। |
মাল্যুক (যা ভলকান-এম নামেও পরিচিত[১][২]) হল একটি অ্যাসল্ট রাইফেল। এটি ইউক্রেনীয় অস্ত্র কোম্পানি ইন্টারপ্রইনভেস্ট (আইপিআই) তৈরি করেছে।[৩] মাল্যুক রুশ কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে উদ্ভূত। এটিকে উন্নত করে বুলপাপ লেআউটে পুনরায় সজ্জিত করা হয়।
আইপিআই-এর ভাইস সিইও সেরহি লুহোভস্কির মতে ২০০৫ সালে মালিউক রাইফেলের উন্নয়ন শুরু হয় । এটি বেপ্র নামে পরিচিত এবং একটি আগের বুলপাপ রাইফেলের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছিল। যার বিভিন্ন ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন নকশা করা হয়।[৪] এই উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয় ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা -এর একটি চুক্তির আওতায়, যার অধীনে প্রোটোটাইপ রাইফেল সরবরাহ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা গার্ড বিভাগ রাইফেলটির বিষয়ে মতামত প্রদান করেন। ইলেকট্রন কর্পোরেশন-এর সহযোগিতায় উৎপাদন কাজ পরিচালিত হয় কারণ তাদের আধুনিক কারখানাগুলো দ্রুত মালিউক রাইফেল তৈরি করতে সক্ষম।[৫] এছাড়া ক্রাসিলিভ অ্যাসেম্বলি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট-ও এই উৎপাদন প্রক্রিয়ার অংশ ছিল।[৬]
২০১৫ সালে কিয়েভে অনুষ্ঠিত আর্মস অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-তে মালিউক রাইফেলটি প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়।[৭] এরপর এটি ২০১৫ সালে মে মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্পমেলা[৮] এবং ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত আজারবাইজান আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে প্রদর্শিত হয়।[৯] ২০১৬ সালে জানা যায় যে ২০০টি মালিউক রাইফেল ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে সরবরাহ করা হয়েছিল।[১০] একই বছরে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সীমিত পরিসরে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।[১১]
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের সময় মালিউক রাইফেলটি ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী,[১২] জাতীয় গার্ড (আজভ ব্যাটালিয়নসহ) এবং ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছে।[১৩] দ্রুত অভিযানের প্রতিক্রিয়া ইউনিট-ও এই অস্ত্রটি যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে।[১৪]
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ইউক্রেনের রাজ্য সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও জাতীয় পুলিশ এক যৌথ অভিযানে ওডেসা শহরে একজন সন্দেহভাজন নাশকতাকারীকে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি লোড করা মালিউক রাইফেল, একটি মাকারভ পি এম পিস্তল, একটি আর পি জি–২২ রকেট লঞ্চার এবং দুটি টি–৬২ এম অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন উদ্ধার করা হয়।[১৫]
এই অস্ত্রটি ইন্দোনেশিয়া[১৬] এবং শ্রীলঙ্কায় প্রদর্শিত হয়েছে, যেখানে সম্ভাব্য ক্রয় চুক্তির জন্য আলোচনা হয়েছে।