মাহভাশ معصومه عزيزى بروجردى | |
---|---|
![]() মাহভাশ | |
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | মাসুমেহে আজিজি বুরুজার্ডি |
উপনাম | Mahvash Akram, Banu Mahvash, Ma'sumeh Azizi Borujerdi, Akram Ābgūshtī |
জন্ম | ১৯২০ বুরুজার্ড, ইরান |
উদ্ভব | তেহরান, ইরান |
মৃত্যু | ১৯৬১ (বয়স ৪০–৪১) আরাক, মার্কাজি, ইরান |
পেশা |
|
কার্যকাল | ১৯৫০–১৯৬১ |
মাসুমেহে আজিজি বুরুজার্ডি (ফার্সি: معصومه عزيزى بروجردى), যিনি মাহভাশ (ফার্সি: مهوش) নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন একজন ইরানি গায়িকা, নৃত্যশিল্পী, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ অভিনেত্রী।[১][২] বুরুজার্ড শহরের দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে তিনি ১৯৫০-এর দশকে গায়িকা (পরিবেশনকারী) হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিলেন। তিনি ফার্সি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ইংরেজি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন।
মাসুমেহে আজিজি বুরুজার্ডি ইরানের বুরুজার্ড শহরের একটি দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেন। ছেলেবেলায় তার পরিবার তেহরানে চলে আসে। অল্প বয়সেই, মহাভাশ তার মাকে হারিয়েছিল। পরে তিনি তেহরানের ক্যাবারেট এবং ক্যাফেতে নাচ-গান, অভিনয় বা সংগীত পরিবেশন করতে যান এবং শ্রমজীবী মানুষের কাছ থেকে প্রচুর সমর্থন পান। তবে তার জীবনী সম্পর্কে বিভ্রান্তি রয়েছে এবং সেই বয়সে তিনি কোথায় কি অর্থাৎ নাচ-গান, অভিনয় বা সংগীত পরিবেশন করেছিলেন তার বিভিন্ন বিবরণ রয়েছে।[৩] সর্বাধিক প্রচলিত গল্পটি হল তিনি ক্যাবারেটে, রেডিওতে এবং চলচ্চিত্রে রিস্কো গান গেয়েছিলেন। এবং প্রাথমিকভাবে তিনি ব্যক্তিগত জমায়েত এবং বিবাহের পরিকল্পনা করতেন। তবে "মুরাদাদ" অভ্যুত্থানের পরে প্রথম আধুনিক তেহরান ক্যাফে জামশিদ মঞ্চে পরিবেশন করতেন। তার গানে সাধারণ মানুষের সমস্যা, অসুবিধা এবং হতাশার লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি জনসাধারণের প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।[১] তার পুরুষ দর্শকদের সাথে গাওয়া সর্বাধিক বিখ্যাত গানে একটি কল এবং প্রতিক্রিয়া জড়িত-শৈলী বিদ্যমান।[৪]
১৯৫৭ সালে তিনি একটি বই প্রকাশ করেছিলেন যা তিনি "আত্মজীবনী" নামে অভিহিত করেন। বইটির শিরোনাম ছিল যৌন পূর্ণতার অন্ধিসন্ধি (ফার্সি: রাজ-কামিয়াবি-ই জেনসি)। যৌন সারগ্রন্থের অতিরিক্ত বইটিতে সাতারের পোশাকে তার চিত্রগুলি আলোচিত হয়েছিল। প্রকাশের পর ১৯৬০ সালের জুনে বইটির পক্ষে মামলা করা সত্ত্বেও ব্যাপকভাবে তা পরিবেশিত হয়েছিল।[৪] প্রান্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠদের সাথে কথা বলার মত মহাভাশের দক্ষতা তাকে গণিকাবৃত্তি ও অন্যান্য প্রকাশ্য অশ্লীল আচরণের ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে।
১৯৬১ সালে যখন মহাভাশ একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল, তখন তার সর্বজনীন শেষকৃত্যাসুষ্ঠান ইরানের ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। হাজার-হাজার ইরানি রাস্তায় নেমে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে। ইরানের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষরা তাকে মুসলিম কবরস্থানে সমাধিস্থ করতে রাজি হয় নি, কারণ বিনোদনের জন্য তাকে "অপরিষ্কার" এবং "অশুদ্ধ" মনে করা হত।[৪] তবে যখন বিপুল পরিমাণ মানুষ তাদের পাশ কাটিয়ে শোক উদ্যাপন করেছিল তখন তারা বিরক্তি প্রকাশ করেছিল। তাকে তেহরানের রে জেলার ইবনে বাবাওয়াহ সমাধিস্থানে দাফন করা হয়।[৫]
শিরোনাম | বছর | চরিত্র | টীকা |
---|---|---|---|
দ্য সান শাইন্স | ১৯৫৬ | পরিচালক সর্দার সাকেরের সাথে[৪] | |
লেলি ভি মজনুন | পরিচালক আলী-মোহাম্মদ নূরবাখশ[৬] | ||
ডটার অব ইসফাহান | ১৯৫৯ | ||
ডু আরস বড়য়ে সে বড়দার | পরিচালক রেজা আব্বির সাথে | ||
কি বি কিয়েহ | ১৯৬১ | পরিচালক রেজা করিমির সাথে |