মাহালী

মাহালী
মোট জনসংখ্যা
৪,০০০,০০
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
ভারত২,৭৮,০০০[]
বাংলাদেশ৪০,০০০[]
নেপাল২০,০০০[]
ভাষা
মাহালী
ধর্ম
সনাতন  • খ্রিস্টান
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
অস্ট্রোরয়েড  • মুন্ডারী  • খেরওয়ার

মাহালী ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী একটি আদিবাসী জনজাতি। সুপ্রাচীন কাল থেকেই এরা এই ভূখন্ডে বসবাস করে আসছে। এরা মূলত অস্ট্রালয়েড নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ঝাড়খণ্ড ও বাংলাদেশে এদের বসবাস। বাংলাদেশে এদের জনসংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ এর মতো। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে এরা বাস করে যেমন তানোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগা, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ইত্যাদি। নৃ-তাত্ত্বিক দিক থেকে এরা সাঁওতালদের কাছাকাছি হলেও এদের একটি পৃথক জাতিসত্তা সৃষ্টি হয়েছে নিজস্ব ভাষা-সংস্কৃতি, সামাজিক আচার-বিধান ও ধর্মীয় বিশ্বাস। সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে অন্যান্য সংখ্যালঘু জনজাতির মতই এরা একটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং ক্রমাগত অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে সংগ্রামরত। বাংলাদেশে অন্য অনেক জনজাতির অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়া হলেও সরকারিভাবে মাহালী জনজাতির মানুষ আজও স্বীকৃতি পায়নি। বাংলাদেশে মাহালীদের সাঁওতালদের একটি গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও অধিকাংশ মাহালীর দাবি তারা সাঁওতালদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। [][] তবে নৃতাত্ত্বিক পর্যালোচনায় তাদের এ দাবির স্বপক্ষে কোন প্রমাণ মেলে না, বরং সাঁওতালদের সঙ্গে প্রচুর সাদৃশ্য প্রতীয়মান হয়।

শারীরিক গঠনের দিক থেকে মাহালীরা মূলত এ ভূখন্ডের অস্ট্রিক গোত্রভুক্ত। এদের গায়ের রং তামাটে,কম উচ্চতা,কালো চুল (কোকড়ানো),নাক ছোট ও সুঠাম দেহ এগুলোই এদের শারীরিক বৈশিষ্ট। মাহালী জাতিসত্তা খুবই শান্তিপ্রিয়, এদের প্রধান পেশা বাশ ও বেতের দ্বারা নির্মিত বিভিন্ন কুটিরশিল্পজাত দ্রব্য তৈরী, পাশাপাশি এরা কৃষিকাজের সঙ্গেও যুক্ত। তবে বর্তমানে তা অনেক কমে গিয়েছে। বাশ ও বেতের কুটিরশিল্পের কাজ মাহালীরা সুপ্রাচীনকাল থেকেই করে আসছে। এটি অনেকটা তাদের সংস্কৃতির অংশ। []

মাহালী জাতিসত্তার মাতৃভাষা মাহালী, তবে এ ভাষার কথ্য রূপ থাকলেও এর লেখ্যরূপ নেই। তবে রোমান হরফে মাহালী ভাষা লেখার প্রচলন রয়েছে। মাহালী জাতিগোষ্ঠী অতীতে সনাতন ধর্মের অনুসারী ছিলো তবে বররতমানে তারা খ্রিস্টান হয়েছে। মাহালী জাতিসত্তার পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পুরুষদের জন্য ছিলো ধুতি আর মেয়েরা পাঞ্চি পারহাট(লুংগি ও ওড়নার সংমিশ্রিত পোশাক) নামক পোশাক পরিধান করতো।

মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের গহনা ব্যবহার করতো যা সাধারণত রূপার তৈরী হত যেমন, হাতে বালা বা বাজু,মিশি(এক ধরনের প্রসাধনী যা দাঁতে লাগানো হতো, এটি দাঁত সাদা ও এর চারপাশে কালো রং করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতো।), পায়ে বাক এবং পায়ের আংগুলে বাটরী ব্যবহার করা হতো, এছাড়াও মাজায় বিছা,মাথায় পানপাতা স্লোক(পান পাতার মতো দেখতে দুটি কাটা যুক্ত গহনা),কানে টানা দুল, গলায় হাসুলি।

মাহালীদের সামাজিক উতসবের মধ্যে রয়েছে লুবান,জিতিয়া এছাড়াও সনাতনী প্রকৃতি পূজা।[]

মাহালীদের মূলত যে সমস্থ পদবি বা গোত্রে হয়ে থাকে সেগুলি হল কারকুশা, তুমরাঁং, ডুংরি, কাউরিয়া, বালে, খাংগের, মানড্রি ইত্যাদি ।

বাসস্থান ও পোশাক

[সম্পাদনা]

খাদ্যাভ্যাস

[সম্পাদনা]

এরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খায়।

মাহালীদের অন্যজাতী গুলো থেকে আলাদা করার একটাই পন্থা রয়েছে , সেটি হল ঐতিহ্যগত ভাবে চলে আসা মাহালীদের পেশা ,যেটি সম্পর্কিত বাঁশের শিল্প কর্মের সাথে । এই জনজাতীর প্রধান ও জাতিগত পেশাই হল বাঁশের শিল্প সামগ্রী তৈরি করা । মাহালী পেশা হিসাবে বাঁশের টুপি , ডালা , কুলা ইত্যাদি সামগ্রী তৈরি করে থাকেন । কিন্তু বর্তমানে মাহালীদের অনেকে কৃষিকাজ আর শ্রমিকের কাজ করে থাকেন । এছাড়াও কিছু মাহালী চাকুরি করে থাকেন ।

সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান

[সম্পাদনা]
বিবাহ প্রথা
[সম্পাদনা]

আচার অনুষ্ঠান

[সম্পাদনা]

শিল্পকলা

[সম্পাদনা]

অন্য বাসস্থান

[সম্পাদনা]

প্রতিপালিত দিবস

[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. https://www.ethnologue.com/language-of-the-day/2016-09-21
  2. https://www.sil.org/
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৭ 
  4. মাসাউস

বিষয়শ্রেণীঃবাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠী