![]() | |
ডেভলপার | শাওমি |
---|---|
প্রোগ্রামিং ভাষা | সি, সি++, জাভা |
ওএস পরিবার | এন্ড্রয়েড ৫-১০ (ইউনিক্স-সদৃশ) |
কাজের অবস্থা | সক্রিয় |
সোর্স মডেল | ওপেন সোর্স (অ্যান্ড্রয়েড বেস এবং প্রধান ফ্রেমওয়ার্ক) সাথে মালিকানাধীন উপাদান (মিইউআই এপ ও কিট) |
প্রাথমিক মুক্তি | ০.৮.১৬ / ১৬ আগস্ট ২০১০ |
সর্বশেষ মুক্তি | ১২.০.৩.০ (চীন) ১২.০.২.০ (বৈশ্বিক) |
সর্বশেষ প্রাকদর্শন | ২৩ জুলাই ২০২০ | / ২০.৭.২৩ (চীনে)
মার্কেটিং লক্ষ্য | অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রের বিকল্প ফার্মওয়্যার প্রতিস্থাপন; শাওমি ফোনের স্টক ফার্মওয়্যার |
ভাষাসমূহ | ৭৭টি (দেশ ভেদে কম বেশি হতে পারে) |
প্যাকেজ ম্যানেজার | গুগল প্লে (বৈশ্বিক) মি এপ স্টোর (চিন) এপিকে |
প্ল্যাটফর্ম | ৩২-বিট এআরএম, এমআইপিএস, এক্স৮৬, এক্স৬৪ |
কার্নেলের ধরন | মনোলিথিক (মোডিফাইড লিনাক্স কার্নেল) |
লাইসেন্স | অ্যাপাচি লাইসেন্স ২.০ গ্নু জিপিএল সংস্করণ ৩ মালিকানাধীন |
ওয়েবসাইট | en |
মিইউআই (ইংরেজি: MIUI, মি ইউজার ইন্টারফেসের সংক্ষিপ্ত রূপ)[১] স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের জন্যে শাওমি কর্তৃক ডেভেলপকৃত একটি স্টক ও আফটারমার্কেট ফার্মওয়্যার।[২] ফার্মওয়্যারটি গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।[৩] মিইউআইয়ে থিমিং সমর্থনের মত বাড়তি কিছু সুবিধা রয়েছে।[৪]
শাওমি অনেকগুলো স্মার্টফোনই এপর্যন্ত বাজারে ছেড়েছে, যার মধ্যে শাওমি মি এ১, মি এ২ এবং মি এ২ লাইট ছাড়া সবগুলো যন্ত্রেই মিইউআই প্রি-ইন্সটলকৃত অবস্থায় থাকে। [৫] শাওমির নিজস্ব যন্ত্রে ব্যবহৃত সফটওয়্যারে এমন কিছু এপ্লিকেশন ও সুবিধা রয়েছে যা আফটারমার্কেট সংস্করণে সাধারণত থাকে না। তাদের নিজস্ব যন্ত্র ছাড়াও শাওমি অন্যান্য স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে মিইউআই ফ্ল্যাশের সুযোগ প্রদান করে। ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬ সালে শাওমি জানায় বিশ্বব্যাপী ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে, এবং প্রায় ৩৪০ এর অধিক স্মার্টফোনে এর সমর্থন রয়েছে। শাওমি বিভিন্ন স্মার্টফোন তৈরি করেছে, কিছু অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান এবং অন্যদের অ্যান্ড্রয়েডের বর্তমান সংস্করণের উপর ভিত্তি করে মিইউআই তৈরি করা হয়েছে।
প্রথমদিককার শাওমি রমগুলো অ্যান্ড্রয়েড ফ্রয়ো ২.২ ভিত্তিক ছিলো এবং শাওমি টেক কর্তৃক চায়নিজ ভাষায় ডেভেলপ করা হয়েছিলো।[৬] প্রাথমিক ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়নের জন্যে শাওমি একাধিক এপ্লিকেশন সংযুক্তকরে; যার মধ্যে নোটস, ব্যাকআপ, মিউজিক এবং গ্যালারি ছিলো।[৭] মিইউআই তারপর স্বাধীন ডেভেলপার ও ফ্যান গ্রুপ কর্তৃক অনুবাদ ও পোর্ট করা হতো। এখনও এমন অপ্রাতিষ্ঠানিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়, তবে শাওমি নিজস্ব স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার পর এর জনপ্রিয়তা কমে যায়। প্রতি বৃহস্পতিবার সাধারণত ওটিএ আপডেটগুলো প্রদান করা হয়।
চায়নিজ সরকারের সাথে গুগলের কিছু মতবিরোধ রয়েছে এবং গুগলের অনেকগুলো সেবা প্রবেশ ব্লক করা হয়েছে। তাই চায়নায় মিইউআই গুগল প্লে সেবা সহযোগে আসে না। তবে চায়নার বাইরেও শাওমির বিশাল বাজার রয়েছে, যেখানে মিইউআই গুগলের সেবাসহিত আসে। মিইউআইয়ের বৈশ্বিক সংস্করণ গুগল কর্তৃক অনুমোদনকৃত।
যদিও মিইউআই অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে নির্মিত, এর ডিফল্ট ইউজার ইন্টারফেস অনেকটা দেখতে আইওএসের মত, যেখানে এপ্লিকেশন ট্রে নেই, তার বদলে আইকনগুলো হোম প্যানেলে সাজানো। অন্যান্য সাদৃশ্যের মধ্যে রয়েছে এর এপ্লিকেশন আইকনগুলোর ইউনিফর্ম গঠনপ্রকৃতি, ডায়ালার ও ইন-কল ইন্টারফেস, সেটিংস এপ, এবং টোগলগুলোর ভিজুয়াল এপিয়ারেন্স। অনেকের মতে যেসব আইওএস ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েডে আসতে চায় তাদের জন্যে এটি বাড়তি একটি কারণ হিসেবে থাকে। তবে ইদানীং মিইউআই স্টক এন্ড্রয়েডের মত তবে নিজস্ব একটি ডিজাইন পদ্ধতি অনুসরণ করছে। মিইউআই ১০ এর অনেকগুলো বিষয়ই অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাইয়ের মত, যার মধ্যে রয়েছে মাল্টিটাস্কিং মেনু, ভলিউম রকার ও জেসচার কন্ট্রল। [৮] মিইউআই ১০ এখন দেখতে অনেকটা অ্যান্ড্রয়েড পাইয়ের মতই।
অন্য একটি প্রধান পার্থক্য হলো, মিইউআইয়ে থিমিং সাপোর্ট রয়েছে, স্টক অ্যান্ড্রয়েডে যা নেই। এমনকি এডভান্স ব্যবহারকারীরা এর মাধ্যমে তাদের মুঠোফোনের হার্ড-কোডেড ফার্মওয়্যারেও পরিবর্তন আনতে পারে।[৯]