মিউনিখ গণহত্যা

২০তম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের সময় ২১ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ পর্যন্ত ইসরায়েল রাষ্ট্রের দল এই ভবনে অবস্থান করেছিল। ৫ সেপ্টেম্বর [শহীদদের তালিকা] নির্মমভাবে নিহত হন। তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা।

মিউনিখ অলিম্পিক ২১ আগস্ট, ১৯৭২ সালে ১৯৫ টি পর্ব এবং ১৯৫ টি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ৭,১৭৩ ক্রিয়াবিদ নিয়ে উদ্বোধন করে। ইংরেজি মাসের সেপ্টেম্বর এর ৫ তারিখ সকালে মুখোশধারী কিছু প্যালেস্টাইনী সন্ত্রাসীরা ইসরায়েলের দলকে আক্রমণ করে।সন্ত্রাসীরা ২ জন কে হত্যা এবং ৯ জন ইসরাইলিকে জিম্মি করে।[]

তাদের মুক্তির দাবিতে ২৩০ জন আরব আসামি এবং ২ জন জার্মান জঙ্গিকে মুক্ত করা হয়,যারা কিনা তখন ইসরাইলি কারাগার এ বন্দি ছিল।

দাবি আদায়ের পরে সন্ত্রাসীরা মিউনিখে বিমান বন্দরে ৯ জন ইসরাইলি বন্দীদের নিয়ে যায় মুক্ত করার জন্য। সেখানে জার্মান পুলিশ ছাদ থেকে গুলিবর্ষণ করে এবং তিনজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করে।এবং সে সময় একটি গোলা বিস্ফোরিত হয়ে দুই ফিলিস্তিনি এবং একজন পুলিশ মৃত্যুবরণ করেন।

এই ঘটনার পর প্রধান অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি স্মারক সেবা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি এভরি ব্রান্ডেজ আদেশ দেন যে,সন্ত্রাসীরা জয়ী হবেনা বলে গেমগুলি অব্যাহত থাকবে।

এই নির্মম ঘটনা অলিম্পিক আয়োজনকে গভীরভাবে ঘিরে ফেললেও, মার্কিন সাঁতারু মার্ক স্পিৎসের সাতটি স্বর্ণপদক এবং কিশোর রাশিয়ান জিমন্যাস্টিকস ওলগা কোরবুত দুটি নাটকীয় স্বর্ণপদক জিতেছেন এবং এমন দর্শনীয় অ্যাথলেটিক কৃতিত্বের অনেক মুহূর্ত ছিল।

১৯৭২ সালের অলিম্পিকে হত্যার পর গোল্ডা মেইয়ারের নেতৃত্বে ইসরায়েলি সরকার ব্ল্যাক সেপ্টেম্বরের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে হত্যা করার জন্য মোসাদ এজেন্টদের একটি দল ভাড়া করে।

২০০৫ সালে স্টিফেন স্পিলবার্গের সিনেমা মিউনিখ এই ঘটনাগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Massacre begins at Munich Olympics - Sep 05, 1972 - HISTORY.com"HISTORY.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৮ 
  2. "Munich (film)"Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-১৭।