মিগেল আলকুবিয়েরে | |
---|---|
![]() ২০১৩ সালে আলকুবিয়েরে। | |
জন্ম | মিগেল আলকুবিয়েরে মোয়া মার্চ ২৮, ১৯৬৪ |
জাতীয়তা | মেক্সিকান |
মাতৃশিক্ষায়তন | মেক্সিকো জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (পেশাগত অনুজ্ঞাপত্রধারী, এমএসসি) কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি) |
পেশা | তাত্ত্বিক এবং গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী |
পরিচিতির কারণ | আলকুবিয়েরে গতি ইঞ্জিন |
পুরস্কার | গ্যাবিনো বারেদা পদক বিজ্ঞান মেধা পদক[১] কুও-ডিসকভারি মাইন্ড[২] |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | মাক্স প্লাংক অভিকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট মেক্সিকো জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | সংখ্যাবাচক আপেক্ষিকতার তত্ত্বানুসন্ধান[৩] (১৯৮৮) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | বার্নার্ড এফ. শুটজ |
মিগেল আলকুবিয়েরে মোয়া (জন্ম ২৮ মার্চ ১৯৬৪) একজন মেক্সিকান তাত্ত্বিক পদার্থবিদ।[৪] আলকুবিয়েরে কর্মশক্তি প্রস্তাবের জন্য আলকুবিয়েরে বিখ্যাত, এটি একটি অনুমানমূলক গতি ইঞ্জিন যার মাধ্যমে কোনও মহাকাশযান আলোর চেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করতে পারে।
আলকুবিয়েরে মেক্সিকো সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মিগেল আলকুবিয়েরে অর্টিজ একজন স্প্যানিশ শরণার্থী ছিলেন, তিনি তার বাবা মিগেল আলকুবিয়েরে পেরেজের সাথে স্পেনীয় গৃহযুদ্ধের কিছু দিন পরে মেক্সিকো পৌঁছেছিলেন।[৫] আলকুবিয়েরের তিন জন ছোট ভাইবোন রয়েছে তাদের মধ্যে একজন হলেন ইতিহাসবিদ বেয়াত্রিজ আলকুবিয়েরে ময়া।[৬]
অ্যালকুবিয়েরে কলেজিও সিউদাদ দে মেক্সিকো থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু করেন। বৈজ্ঞানিক পেশা অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করার জন্য ১৩ বছর বয়সের সময় তার বাবা তাকে একটি ছোট টেলিস্কোপ কিনে দেন এবং বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নির্ভর ছবি স্টার ট্রেক দেখাতেন।[৭] ১৫ বছর বয়সে প্যাট্রিক মুর এবং ডেভিড হার্ডির চ্যালেঞ্জ অব দ্য স্টার পড়ার পর আলকুবিয়েরে সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হবেন। তিনি জানতেন যে এই লক্ষ্য পূরণের জন্য তাকে প্রথমে পদার্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন করতে হবে।[৮]
অ্যালকুবিয়েরে ১৯৮৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে লিসেনশিয়েট ডিগ্রি এবং ১৯৯০ সালে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন, উভয় ডিগ্রিই তিনি মেক্সিকো জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএনএএম) থেকে অর্জন করেন। ১৯৯০ সালের শেষের দিকে আলকুবিয়েরে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্কুলে পড়াশোনা করতে ওয়েলসে চলে যান এবং সেখান থেকে ১৯৯৪ সালে সংখ্যাগত সাধারণ আপেক্ষিকতা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৪][৯][১০][১১] ১৯৯৬ এর পরে তিনি জার্মানির পোট্সডামের মাক্স প্লাংক অভিকর্ষীয় পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কাজ করেন এবং কৃষ্ণগহ্বরের বর্ণনায় ব্যবহৃত নতুন সংখ্যাগত কৌশল উদ্ভাবন করেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি মেক্সিকোর জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ইউএনএএম) এর নিউক্লিয়ার সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে কাজ করছেন, সেখানে তিনি আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রস্তাবিত প্রাকৃতিক সমীকরণ তৈরি ও সমাধানের জন্য কম্পিউটার যুক্ত করেছেন।[১২] আইনস্টাইন ক্ষেত্র সমীকরণের জন্য অ্যালকুবিয়েরে প্রস্তাবিত বিচ্ছিন্ন তরঙ্গ সমাধান সম্ভবত পরীক্ষামূলকভাবে যাচাইকৃত অ-স্থানীয় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাধারণ আপেক্ষিকতা প্রমাণ করতে পারে। এই কাজটি কোয়ান্টাম অ-স্থানীয় শেষ পর্যন্ত সাধারণ আপেক্ষিকতার গাণিতিক কাঠামো পরিত্যাগ করা প্রয়োজন এই ধারণার বিরুদ্ধাচারণ করে।
২০১২ সালের ১১ জুন আলকুবিয়েরে মেক্সিকো জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএনএএম) পরমাণু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিযুক্ত হন।
১৪ জুন ২০১৬ ইউএনএএম-তে পরমাণু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক পদে চার বছরের মেয়াদ শেষে মিগেল আলকুবিয়েরে ইউএনএএমের গভর্নিং বোর্ড কর্তৃক আরও চার বছরের মেয়াদে পরমাণু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক নির্বাচিত হন।
ক্লাসিক্যাল এবং কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি বিজ্ঞান সাময়িকিতে প্রকাশিত "দ্য ওয়ার্প ড্রাইভ: হাইপার-ফাস্ট ট্র্যাভেল উইথিন জেনারেল রিলেটিভিটি" এর প্রস্তাবের জন্য আলকুবিয়েরেে সবচেয়ে বেশি খ্যাতি লাভ করেন।[১৩] এতে তিনি আলকুবিয়েরে ইঞ্জিনের বর্ণনা দিয়েছেন, যা আলোর চেয়ে দ্রুত ভ্রমণের একটি তাত্ত্বিক উপায় কিন্তু তা প্রাকৃতিক নীতি লঙ্ঘন করে না যেখানে স্বাভাবিকভাবে কোন কিছুই আলোর চেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করতে পারে না। এই প্রবন্ধটিতে তিনি এমন একটি মডেল তৈরি করেছিলেন যা সম্ভবত বাঁকানো জায়গার "বুদ্বুদ" এর অভ্যন্তরে সমতল স্থানের বল পরিবহন করতে পারে। হাইপার-রিলেটিভিস্টিক লোকাল-ডায়নামিক স্পেস নামে পরিচিত এই বুদ্বুদটিকে এর পিছনে স্থান-কাল স্থানীয় সম্প্রসারণ দ্বারা চালিত করা হয় এবং এর সামনে একটি বিপরীত সংকোচনের মাধ্যমে চালিত করা হয় যাতে তাত্ত্বিকভাবে স্থান-কাল পরিবর্তনের ফলে উৎপন্ন শক্তি দ্বারা একটি মহাকাশযান গতিতে স্থাপন করা যায়।
মিগেল আলকুবিয়েরের টিভি প্রযোজনায় হাও উইলিয়াম শাটনার চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড[১৪] এবং মিশিও কাকুর বিজ্ঞান কল্প কাহিনী: ফিজিক্স অব দি ইম্পসিবল এর মাধ্যমে একটি বিশেষ উপস্থিতি তৈরি হয়েছে,[১৫][১৬] সেখানে তাঁর বিকৃত বুদ্বুদ তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আলকুবিয়েরেকে রেডিও স্টেশন রেডিও এডুক্যাসিয়ন এক্সইইপি (১০৬০ এএম) -এ সাক্ষাত্কারের জন্য দুইবার আমন্ত্রণ জানানো হয়, প্রথমবার ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং পরে ২০১১ সালের ৪ মার্চ, প্রযুক্তি সম্পর্কিত টক শো ইন্টারফেসে তিনি মেক্সিকোতে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তি গবেষণার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তার মতামত ব্যাখ্যা করেন এবং তার বিকৃত কর্মশক্তি মডেল এবং এটি কীভাবে আসল তার একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দেন।[১৭][১৮]
৩+১ সংখ্যার আপেক্ষিকতার পরিচিতি (পদার্থবিজ্ঞানের প্রকরণগ্রন্থের আন্তর্জাতিক সিরিজ, পেপারব্যাক, ২০১২, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৯৬৫৬১৫৮)