মিডনাইট'স চিলড্রেন | |
---|---|
পরিচালক | দীপা মেহতা |
প্রযোজক | ডেভিড হ্যামিলটন ডগ ম্যানকফ স্টিভেন সিলভার নীল তাবাতজনিক অ্যান্ড্রু স্পলডিং |
চিত্রনাট্যকার | ম্যাথিউ ব্রাউন |
শ্রেষ্ঠাংশে | সত্যভাভা শ্রিয়া সরান শাবানা আজমী অনুপম খের রণিত রায় সিদ্ধার্থ নারায়ণ শাহানা গোস্বামী সম্রাট চক্রবর্তী রাহুল বোস সীমা বিশ্বাস দরশিল সাফারি |
মুক্তি | ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২ |
দেশ | কানাডা যুক্তরাজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত |
ভাষা | ইংরেজি বাংলা |
মিডনাইটস চিলড্রেন ইন্দো-কানাডীয় নির্মাতা দীপা মেহতা পরিচালিত ২০১২ সালের একটি চলচ্চিত্র। [১] মিডনাইট'স চিলড্রেন ১৯৮১ সালে প্রকাশিত সালমান রুশদির একই নামে রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত।
চলচ্চিত্রে মূল গল্প আবর্তিত হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে অর্থাৎ ব্রিটেনের কাছে থেকে ভারতের স্বাধীনতা প্রাপ্তির মুহূর্তে জন্ম নেওয়া দুই সন্তানের ভাগ্য বা নিয়তিকে ঘিরে। জাদু-বাস্তব এই চলচ্চিত্রে নিজ দেশের স্বাধীন হওয়ার রাতে জন্ম নেওয়া এই শিশুরা অতিলৌকিক বিশেষত্ব সম্পন্ন হয়, তাদের কেউ কেউ উড়তে পারে, অদৃশ্য থাকতে পারে, জাদু করার ক্ষমতাসম্পন্ন হয়, ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে কিংবা রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে। চলচ্চিত্রে সেই মধ্যরাতে জন্ম নেয়া দুই শিশুকে নার্স বাবা মা বদল করে দেয়। ধনীর ঘরের সন্তানকে বদলে দেওয়া হয় অতি দরিদ্র ঘরের সন্তানকে। আর দরিদ্র সন্তানটিকে দেওয়া হয় ধনী পিতামাতার কাছে। পরবর্তীতে টেলিপ্যাথিক ও অতিলৌকিক যোগে এই দুই শিশুর জীবন একের সঙ্গে অন্যের যুক্ত হয়ে পড়ে। চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে ৬০ বছরেরও বেশি সময়ব্যাপী ভারত-পাকিস্তানের উত্তাল ও অশান্ত ইতিহাসকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে শুরু করে ৭০ দশকের শেষার্ধে ইন্দিরা গান্ধীর সময়কালে জরুরি অবস্থা জারি পর্যন্ত ইতিহাসের নানান বাঁক তুলে ধরা হয়েছে এতে। হিন্দু ও মুসলিম মৌলবাদীদের প্রতিরোধের আশঙ্কায় চলচ্চিত্রটির দৃশ্যায়ন পাকিস্তান বা ভারতে না করে শ্রীলঙ্কায় সম্পন্ন হয়। নির্মাণকালে ইরানের রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে আপত্তি উত্থাপিত হয়। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে সম্ভব হয় দৃশ্যায়ন শেষ করা।[২]