মিডর্যান্ড | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৯′৫৭″ দক্ষিণ ২৮°৭′৩৫″ পূর্ব / ২৫.৯৯৯১৭° দক্ষিণ ২৮.১২৬৩৯° পূর্ব | |
দেশ | দক্ষিণ আফ্রিকা |
প্রদেশ | গুটেং |
পৌরসভা | সিটি অফ জোহানেসবার্গ |
আয়তন[১] | |
• মোট | ১৫২.৮৭ বর্গকিমি (৫৯.০২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৮৭,৩৮৭ |
• জনঘনত্ব | ৫৭০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল) |
জাতিগত বিন্যাস (২০১১)[১] | |
• কৃষ্ণবর্ণ আফ্রিকান | ৫৪.৫% |
• শ্যামবর্ণ | ৩.৩% |
• ভারতীয়/এশীয় | ১৭.০% |
• গৌরবর্ণ | ২৪.২% |
• অন্যান্য | ১.০% |
মাতৃভাষা (২০১১)[১] | |
• ইংরেজি | ৫০.১% |
• জুলু | ১০.২% |
• আফ্রিকান্স | ৬.৯% |
• খোসা | ৫.৪% |
• আন্যান্য | ২৭.৪% |
সময় অঞ্চল | SAST (ইউটিসি+২) |
পোস্ট কোড | ১৬৮২ |
মিডর্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্য গুটেং প্রদেশের একটি শহর। এটি সেঞ্চুরিয়ন এবং স্যান্ডটনের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত এবং জোহানেসবার্গ মেট্রোপলিটন পৌরসভা শহরের অংশ।
১৯৮১ সালে মিডর্যান্ড একটি পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় (প্রিটোরিয়া এবং জোহানেসবার্গের মধ্যে অবস্থানের পর হাফওয়ে হাউস নামে পরিচিত একটি অঞ্চলে), তবে ১৯৯৪ সালে বর্ণবৈষম্য বন্ধের পর স্থানীয় সরকার পুনর্গঠনে একটি স্বাধীন শহরে পরিণত হয়। ২০০০ সালে একে জোহানেসবার্গ মহানগর পৌরসভা শহরের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মিডর্যান্ড প্রথমে অঞ্চল-২ এর অংশ ছিল এবং ২০০৬ সাল অনুযায়ী, অঞ্চলগুলোর সংখ্যা হ্রাস পেয়ে সাতটিতে নেমে আসলে এটি জোহানেসবার্গ মহানগর পৌরসভা শহরের অঞ্চল-এ এর অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০১০ সালে একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, তুশওয়ান মহানগর পৌরসভা তাদের আয় বাড়ানোর জন্য মিডর্যান্ডকে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যা খুবই আন্তরিকতাশূন্য ছিল।[২]
শহরটি তুলনামূলক আধুনিক এবং গত দশকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। হাইওয়ে সংযোগের নিকটবর্তী এবং গুটেং প্রদেশের অর্থনৈতিক কেন্দ্রে এর অবস্থান হওয়ায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ[৩], রেলওয়ে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক (আরএসআর)[৪] এবং জাতীয় ক্রেডিট নিয়ন্ত্রকের সদর দপ্তর মিডর্যান্ডে অবস্থিত। মিডর্যান্ডে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্যান-আফ্রিকান সংসদ এবং নেপ্যাড সচিবালয়ও অবস্থিত।
মিডর্যান্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তম কনফারেন্স সেন্টার রয়েছে যা গ্যালাগার এস্টেট নামে পরিচিত। এটি লারস্কুল বা প্রাইমারি স্কুল হাফওয়ে হাউজের পূর্ববর্তী জমিতে নির্মিত হয় এবং পরবর্তীতে ফায়ার স্টেশনের নিকটে নতুন জমিতে স্থানান্তরিত হয়।
মিডর্যান্ডের সবচেয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নিজামিয়ে মসজিদ যা দক্ষিণ আফ্রিকার বৃহত্তম মসজিদ।[৫] তুর্কি-শৈলীর আদলে তৈরি মসজিদটি তুর্কি-বংশোদ্ভূত নির্মাণ পুঁজিপতি আলী কাতিরসিওগ্লুর ২১০ মিলিয়ন রেন্ড ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মিত হয়।[৫]
আফ্রিকার সবচেয়ে বড় একক-পর্বের শপিংমল দ্য মল অফ আফ্রিকা শহরটির ওয়াটারফল সিটিতে অবস্থিত।
মিডর্যান্ড হলো একটি সমৃদ্ধ ব্যবসায়ের সংযোগস্থল যেমন ভোডাকম, মাইক্রোসফট, নিওটেল এবং অ্যালটেক অটোপেজের মতো বড় সংস্থাগুলোর অফিসের পাশাপাশি ওয়েসলিংক ইলেক্ট্রিকাল (পিটিওয়াই) লিমিটেডের মতো এসএমইর একটি বিন্যাস।[৬][৭][৮] ২০১৩ সালে, অ্যাটারবারি প্রোপার্টিস মল অফ আফ্রিকা তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যা ঐ মহাদেশের বৃহত্তম হবে। মল অফ আফ্রিকা সবুজ, মিশ্র-ব্যবহারযোগ্য ওয়াটারফল সিটিতে অবস্থিত। মিডর্যান্ডের এন১ বিজনেস পার্ক এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস গেটওয়ে বাণিজ্যিক উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে।[৯]
ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ আফ্রিকার গ্রাজুয়েট স্কুল অফ বিজনেস লিডারশিপ মিডর্যান্ডে অবস্থিত। পিয়ারসন ইনস্টিটিউট অফ হায়ার এডুকেশন যা পূর্বে মিডর্যান্ড গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট হিসাবে পরিচিত ছিল, ১৯৯০ সালের ৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। একটি ভার্সিটি কলেজ ক্যাম্পাস ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ম্যাকমিলান এডুকেশন সাউথ আফ্রিকা ২০১৭ সালের জুনে মেলরোজ আর্চ থেকে তাদের অফিসগুলো স্থানান্তরিত করে। এছাড়া বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।
মিডর্যান্ডে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রেসট্র্যাক কায়ালামি রয়েছে যা দক্ষিণ আফ্রিকার অনেকগুলো প্রিমিয়ার মোটর রেসিং অনুষ্ঠানের স্থান। দক্ষিণ আফ্রিকার লিপিজানার্স অশ্বচালনা একাডেমি কায়ালামির ছোট খামারে অবস্থিত।
মিডর্যান্ডে গ্র্যান্ড কেন্দ্রীয় বিমানবন্দর এবং গুট্রেন স্টেশন রয়েছে।
কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিভাগ পদ্ধতি এর জলবায়ুকে প্রায় গ্রীষ্মকালীন পার্বত্য অঞ্চলীয় হিসেবে শ্রেণিবিভাগ করেছে।[১০]
মিডর্যান্ড-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৬.৪ (৭৯.৫) |
২৬.১ (৭৯.০) |
২৫.১ (৭৭.২) |
২২.৮ (৭৩.০) |
২০.৭ (৬৯.৩) |
১৭.৯ (৬৪.২) |
১৮.১ (৬৪.৬) |
২১ (৭০) |
২৩.৯ (৭৫.০) |
২৫ (৭৭) |
২৫.৪ (৭৭.৭) |
২৬.১ (৭৯.০) |
২৩.২ (৭৩.৮) |
দৈনিক গড় °সে (°ফা) | ২০.৫ (৬৮.৯) |
২০.২ (৬৮.৪) |
১৯ (৬৬) |
১৬.১ (৬১.০) |
১৩.২ (৫৫.৮) |
১০.২ (৫০.৪) |
১০.৩ (৫০.৫) |
১৩ (৫৫) |
১৬.২ (৬১.২) |
১৮.১ (৬৪.৬) |
১৯.১ (৬৬.৪) |
২০ (৬৮) |
১৬.৩ (৬১.৪) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১৪.৬ (৫৮.৩) |
১৪.৩ (৫৭.৭) |
১২.৯ (৫৫.২) |
৯.৫ (৪৯.১) |
৫.৭ (৪২.৩) |
২.৫ (৩৬.৫) |
২.৬ (৩৬.৭) |
৫ (৪১) |
৮.৬ (৪৭.৫) |
১১.৩ (৫২.৩) |
১২.৯ (৫৫.২) |
১৪ (৫৭) |
৯.৫ (৪৯.১) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৪০ (৫.৫) |
৯১ (৩.৬) |
৮৩ (৩.৩) |
৫৫ (২.২) |
১৫ (০.৬) |
৮ (০.৩) |
৬ (০.২) |
৭ (০.৩) |
২৩ (০.৯) |
৭৪ (২.৯) |
১১১ (৪.৪) |
১১০ (৪.৩) |
৭২৩ (২৮.৫) |
উৎস: Climate-Data.org (altitude: 1587m)[১০] |