মিয়াও, চ্যাংলাং | |
---|---|
নগর | |
স্থানাঙ্ক: ২৭°২৯′ উত্তর ৯৬°১২′ পূর্ব / ২৭.৪৯° উত্তর ৯৬.২০° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অরুণাচল প্রদেশ |
জেলা | চ্যাংলাং |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিন | ৭৯২১২২ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | ইন-এআর |
নিকটবর্তী শহর | খারসাং |
জলবায়ু | সিডব্লিউএ |
মিয়াও হল অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের চ্যাংলং জেলার একটি মহকুমা। এটি আসাম সীমানা থেকে প্রায় ২৫ কিমি দূরে অবস্থিত। এটি অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি বিধানসভা নির্বাচনী কেন্দ্রের একটি।
মিয়াও শহরটির স্থানাঙ্ক ২৭°২৯′ উত্তর ৯৬°১২′ পূর্ব / ২৭.৪৯° উত্তর ৯৬.২০° পূর্ব।[১]
মিয়াও এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত যেখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। নোয়া-ডিহিং মিয়াও দিয়ে প্রবাহিত হওয়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নদী। এখানকার পর্বতশ্রেণীর নাম পাটকাই বাম এবং এটি হিমালয়ের পূর্ব দিকের অংশ। উচ্চ বৃক্ষ সমন্বিত এই বনাঞ্চলটি চোরাকারবারীদের জন্য স্বর্গরাজ্য। মিয়াও অঞ্চলটি দিয়ুন এবং চৌখাম শহরদুটিকে জুড়েছে। দিয়ুন চাকমাদের এবং চৌখাম খাম্পতিদের কাছে সুরক্ষিত আশ্রয়। চৌখাম শহর প্লাইউড ব্যবসায় এতটাই উন্নত ছিল যে, একসময় এটি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী গ্রাম ছিল।[২] এটি একটি ছোট শহর, তবে এটি অন্যান্য অঞ্চলের সাথে সড়কপথে সংযুক্ত এবং এখানে প্রতিদিন বাস চলে।[৩]
মিয়াও একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।[৪] এখানে নামদফা ব্যাঘ্র প্রকল্প অবস্থিত। এখানে দেখার মত ছোট চিড়িয়াখানা, একটি জাদুঘর এবং আরো বেশ কিছু স্থান আছে। এখানে প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হল দেবন, সেটি মিয়াও থেকে ২৫ km দূরে অবস্থিত। এখানকার লোকেরা মূলত সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থাকলেও আশেপাশের গ্রামের মানুষ কৃষিকার্য এবং পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। ঝুম চাষ এখানে খুব বিখ্যাত, এখন লোকেরা এখন চা গাছ লাগানোও শুরু করেছে। এটি একটি উন্নয়নশীল শহর, এখানে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে।[৩]
মিয়াওতে একটি বিশ্বজনীন পরিবেশ রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রধান উপজাতিগুলি হল - টাংসা, সিঙ্গফো এবং লিসু। চাকমা জনজাতি এবং তিব্বতি শরণার্থীদের একটি বড় অংশ এখানে বসতি করেছে। ভারতে তাদের নেতার নির্বাসনের বার্ষিকীতে চীনা নেতৃত্বের প্রতিমূর্তি পোড়ানো তিব্বতবাসীদের একটি রীতি।
চৌখামের উত্তরের অঞ্চলটিতে মিশমি জনজাতির লোক বাস করে। তাদের অঞ্চল আফিম চাষের জন্য বিখ্যাত কারণ শুষ্ক পর্বত ভূভাগ আফিম চাষের পক্ষে খুব উপযুক্ত।
অক্টোবর ২০১৬, অনুযায়ী, মিয়াও আসনের মন্ত্রী হলেন কমলুং মোসাং।[৫]
কিছুদিন আগে পর্যন্ত, এখানে কেবলমাত্র দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সরকার পরিচালিত বিদ্যালয় ছিল। এখন সেখানে অনেকগুলি বেসরকারী বিদ্যালয় রয়েছে। শীর্ষ বেসরকারী বিদ্যালয়গুলির মধ্যে লাইট অব দি ওয়ার্ল্ড, জাওলাই পাবলিক স্কুল এবং লিটল টটস স্কুল রয়েছে। এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজাতিরা নিজেদের মত ধর্মীয় অনুশীলন করে। তাদের মধ্যে অনেকেই ঈশ্বর হিসেবে সূর্য ও চন্দ্রকে বিশ্বাস করে। অনেকের বিশ্বাস তাদের নিজস্ব স্থানীয় দেবতা ‘রংফ্রাহ’ এর ওপর, তাদের মধ্যে কিছু আবার আত্মায় বিশ্বাসী। মিয়াওতে খ্রিস্ট ধর্ম এবং বৌদ্ধধর্মও প্রধান ধর্ম হিসেবে পালিত হয়।[৩]
মিয়াও বাজারের ঠিক মাঝখানে রয়েছে হিন্দু মন্দির। এবং নামদফা ক্ষেত্র পরিচালকের কার্যালয়ের কাছে আঞ্চলিক ধর্ম বিশ্বাসীদের রংফ্রাহের উপাসনাস্থল রয়েছে॥