![]() | |
ধরন | টেরেস্ট্রিয়াল রেডিও নেটওয়ার্ক এবং টেলিভিশন নেটওয়ার্ক |
---|---|
দেশ | মিয়ানমার |
প্রধান কার্যালয় | কমাইউত, ইয়াঙ্গুন (টেলিভিশন) নেপিডো (রেডিও) |
মালিকানা | তথ্য মন্ত্রণালয় |
আরম্ভের তারিখ | রেডিও: ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬[১] টেলিভিশন: ৩ জুন ১৯৮০ [২] |
প্রাক্তন নাম | বার্মা সম্প্রচার সার্ভিস (১৯৪৬–১৯৭২) তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগ (১৯৭২–১৯৯১) মিয়ানমার টেলিভিশন ও রেডিও বিভাগ (১৯৯১–১৯৯৭) |
ছবি ফরম্যাট | ২১৬০পি (ইউএইচডি) ১০৮০আই (১৬:৯ এইচডিটিভি) ৪৮০আই (৪:৩ এসডিটিভি) |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | www |
মিয়ানমার রেডিও ও টেলিভিশন (বর্মী: မြန်မာ့အသံနှင့်ရုပ်မြင်သံကြား, এমআরটিভি তে সংক্ষিপ্ত), পূর্বে বার্মা সম্প্রচার সার্ভিস (বিবিএস), রাষ্ট্রীয় মিয়ানমার রেডিও রাষ্ট্রীয় সার্ভিস এবং এমআরটিভি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক। এটির টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ ইয়াঙ্গুনের কমাইউতে অবস্থিত সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচার হয়। বেতার সেবাটি বর্তমানে (২০২২) মূলত নেপিডো থেকে সম্প্রচারিত হয়।
ব্রিটিশ শাসনের সময়ে ১৯৩৬ সালে মিয়ানমারের রেডিও সার্ভিস প্রথম চালু হয়।[৩] বামা আথান (বর্মী: ဗမာ့အသံ; "বার্মার আওয়াজ") দ্বারা সাধারণ অনুষ্ঠান শুরু হয় ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যখন ব্রিটিশ বার্মা সম্প্রচার সার্ভিস (বিবিএস) প্রতিষ্ঠান করে। এটি বার্মী ভাষার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবর, সঙ্গীত বিনোদন, জ্ঞান উত্তর এবং বিদ্যালয় পাঠ এবং ইংরেজি ভাষার খবর এবং সঙ্গীত অনুষ্ঠান বহন করেছে।[১] ১৯৪৮ সালে দেশের স্বাধীনতার পর এটি মিয়ানমা আথান নামে পরিবর্তন হয় (বর্মী: မြန်မာ့အသံ; যারও অর্থ বার্মার আওয়াজ, কিন্তু এটিতে আরও আনুষ্ঠানিক শব্দ "মিয়ানমার" ব্যবহার করা হয়)। ১৯৮৮ সালে শাসনে আসা সামরিক সরকার দ্বারা সার্ভিসটি মিয়ানমার রেডিওতে নাম পরিবর্তন করা হয়। জান্তাটি রেডিও সার্ভিসের মালিক, বিবিএস, কেও মিয়ানমার রেডিও ও টেলিভিশন (এমআরটিভি) নামে পরিবর্তন করে ১৯৯৭ সালে।[৩]
২০০১ সালে ইয়াঙ্গুন সিটি এফএমের উদ্বোধনের পর্যন্ত বিবিএস/মিয়ানমার রেডিও ছিল দেশের একমাত্র রেডিও স্টেশন। বহু বছর ধরে এটির প্রধান সম্প্রচার কেন্দ্র ছিল ইয়াঙ্গুনের কমাইউত জনপদে। ২০০৭ সালের শেষ দিক থেকে প্রধান সম্প্রচার কেন্দ্র নেপিডোতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইয়াঙ্গুন কেন্দ্রটি এখন বেশিরভাগ নেপিডো কেন্দ্রের অনুষ্ঠান রিলে করে সম্প্রচার করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইয়াঙ্গুনে একটি পরীক্ষা হিসেবে ১৯৭৯ সালের জুলাইতে টেলিভিশন সার্ভিস মিয়ানমারে আসে।[২] ১৯৮০ সালের ৩ জুনে এমআরটিভি সম্প্রচার শুরু করে,[৪] এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮১ সালে সাধারণ টেলিভিশন সার্ভিসের উদ্বোধন হয়[৫] এনটিএসসি ধরন ব্যবহার করে।[৬] ২০০৫ সাল হিসেবে সারাদেশে এমআরটিভির ১৯৫টি টেলিভিশন রিলে কেন্দ্রসমূহ রয়েছে।[৭]
২০১৩ সালের অক্টোবরে এমআরটিভি ডিজিটাল টেরেস্ট্রিয়ালে সম্প্রচার শুরু করে ডিভিবি-টি২ সিস্টেমের মাধ্যমে, বেশিরভাগ আসিয়ান দেশের মতো। এমআরটিভি মাল্টিপ্লেক্স সিস্টেমে ১৮টি টেলিভিশন চ্যানেল এবং ৩টি মিয়ানমার রেডিও চ্যানেল উপলব্ধ আছে। এমআরটিভি সংবাদ ইন্টারফেসের পরিকল্পনা করে, শুরুর সিকোয়েন্সের আধুনিক শৈলীতে এবং এতে সুসজ্জিত নিউজ রুম থাকবে। সম্প্রচারের সময় ১৮ ঘণ্টার জন্য বাড়ানো হয় (পূর্বে ১০ ঘণ্টা)।
২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে এমআরটিভি এটির মাল্টিপ্লেক্স প্লে আউট সিস্টেমে ৫টি চ্যানেল অন্তর্ভূক্ত করে, যেগুলো হচ্ছে এমআরটিভি-৪, চ্যানেল ৭, ৫ প্লাস, এমএনটিভি, এবং চ্যানেল ৯।
২০১৮ সালের ২৪ মার্চে এমআরটিভি এটির মাল্টিপ্লেক্স প্লে আউট সিস্টেমে আরও পাঁচটি নতুন চ্যানেল অন্তর্ভূক্ত করে, যেগুলো হচ্ছে মিজ্জিমা টিভি, ডিভিবি টিভি, চ্যানেল কে, ওয়াইটিভি, এবং ফর্চিউন টিভি।
২০১৪ সাল থেকে মিয়ানমার রেডিও সারাদেশে অনেকগুলো রিলে কেন্দ্রের মাধ্যমে এফএম রেডিওতে সম্প্রচার করেছে। এটি দিনে সকাল সাড়ে ৫টার থেকে রাত সাড়ে ১১টার পর্যন্ত সম্প্রচার করে (এমএমটি)।