মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল 宮崎県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 宮崎県 |
• রোমাজি | Miyazaki-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | কিউশু |
দ্বীপ | কিউশু |
রাজধানী | মিয়াযাকি |
আয়তন | |
• মোট | ৭,৭৩৫.৯৯ বর্গকিমি (২,৯৮৬.৮৮ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ১৪শ |
জনসংখ্যা (১লা ডিসেম্বর ২০১০) | |
• মোট | ১১,২৮,৪১২ |
• ক্রম | ৩৭শ |
• জনঘনত্ব | ১৬৮.৮১/বর্গকিমি (৪৩৭.২/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-45 |
জেলা | ৬ |
পৌরসভা | ২৬ |
ফুল | হামায়ু (ক্রিনাম এশিয়াটিকাম বি. জাপোনিকাম) |
গাছ | ফিনিক্স পাম (ফিনিক্স ক্যানারিয়েন্সিস) |
পাখি | ইজিমা তাম্র দোয়েল (ফেজিয়ানুস সোমেরিঞ্জিয়াই ইজিমি) |
ওয়েবসাইট | www |
মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল (মিয়াজা়কি প্রশাসনিক অঞ্চল)(宮崎県? মিয়াযাকি কেন্) হল জাপানের কিউশু দ্বীপে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী মিয়াযাকি নগর।
মিয়াযাকিতে মানুষের বসতি অন্তত ৩৩,০০০ বছরের প্রাচীন।[২] গোমুরা অঞ্চল থেকে মধ্য প্রস্তর যুগের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। জিন্দাইগাসাকো ক্ষেত্র থেকে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর ব্রোঞ্জের আয়না আবিষ্কৃত হয়েছে।
মেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত মিয়াযাকি, হিউগা প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল।[৩] ১৮৮৩ খ্রিঃ শেষ বারের মত কাগোশিমা থেকে মিয়াযাকিকে আলাদা করা হয়।
১৯৩৭ এ নিচিনান উপকূলে ক্যাকটাস উদ্যান উদ্বোধন করা হয়। ১৯৯৪ খ্রিঃ সীগাইয়া সমুদ্র-উদ্যান নির্মিত হয়।
মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল কিউশু দ্বীপের পূর্বদিকে অবস্থিত। এর দক্ষিণ ও পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল, উত্তরে ওওইতা প্রশাসনিক অঞ্চল এবং পশ্চিমে কুমামোতো ও কাগোশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল অবস্থান করছে। পৃথিবীর দুইটি মাত্র স্থানে কোরিওঅ্যাক্টিস জিয়্যাস্টার ছত্রাকটি পাওয়া যায়। মিয়াযাকি হল সেই দুটি স্থানের একটি[৪] (অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্য)। হিউগানাৎসু ফলেরও জন্মস্থান মিয়াযাকি।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট ভূমির ১২ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে কিরিশিমা-য়াকু জাতীয় উদ্যান; কিউশু চুউও সাঞ্চি, নিচিনান কাইগান, নিপ্পো কাইগান ও সোবো-কাতামুকি উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ছয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৫]
মিয়াযাকির পর্যটনশিল্প বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় প্রকার দর্শনীয় স্থানই এই প্রশাসনিক অঞ্চলে যথেষ্ট সংখ্যায় রয়েছে। আয়া শহর জাপানের বৃহত্তম চিরহরিৎ অরণ্যের জন্য বিখ্যাত। তাকাচিহো শহরের তাকাচিহো গিরিখাত আসো পর্বত নিঃসৃত লাভাস্রোতের ক্ষয়কাজের দৃষ্টান্ত। তাকাচিহোর কুনিমিগাওকা স্থানটিকে “মেঘের সাগর” বলা হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্যে আছে এবিনো মালভূমি, তোই অন্তরীপ, উমাগাসে অর্ধনিমজ্জিত গিরিখাত ও সেকিনো-ও জলপ্রপাত।
অনেকগুলি উষ্ণ প্রস্রবণ ও তাদের কেন্দ্র করে অনেকগুলি রিসর্ট মিয়াযাকিতে গড়ে উঠেছে। মিয়াযাকি নগরের তামায়ুরা-নো-য়ু ও আওশিমা উষ্ণ প্রস্রবণ, এবিনো নগরের কিওমাচি উষ্ণ প্রস্রবণ, কিতাগো শহরের কিতাগো উষ্ণ প্রস্রবণ ও তাকাহারু শহরের তাকাহারু উষ্ণ প্রস্রবণ উল্লেখ্য।
স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের স্থানের মধ্যে আছে ওবি দুর্গনগর, উদো তীর্থ, নিশি-নো-শোওসোওইন বা “পশ্চিমের শোওসোওইন”, হেইওয়াদাই উদ্যান এবং মিয়াযাকি তীর্থ।[৬]
বিভিন্ন দর্শনীয় জাদুঘরের মধ্যে আছে মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল শিল্পকলা জাদুঘর, মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল শিল্পকেন্দ্র, মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল প্রকৃতি ও ইতিহাস জাদুঘর এবং মিয়াযাকি প্রশাসনিক অঞ্চল বিজ্ঞান কেন্দ্র।
প্রতি বছর মার্চের শেষে অনুষ্ঠিত হয় মিয়াকোনোজো জাপানি তীরন্দাজি উৎসব ও জাপানি তীরন্দাজি প্রতিযোগিতা। মে মাসে হয় মিয়াযাকি আন্তর্জাতিক সঙ্গীত উৎসব। আগস্ট মাসের শেষে হয় তোই মিসাকি আগুন উৎসব। জুন থেকে সেপ্টেম্বরে কুশিমা শহরে উড়ুক্কু মাছ ধরার উৎসব হয়। প্রতি ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় রবিবার মিয়াযাকি নগরে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক আওশিমা প্যাসিফিক ম্যারাথন।