ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মিরালেম পিয়ানিচ[১] | ||
জন্ম | ২ এপ্রিল ১৯৯০ | ||
জন্ম স্থান | তুজলা, যুগোস্লাভিয়া | ||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | শারজাহ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৭–২০০৪ | শাফলেং ৯৫ | ||
২০০৪–২০০৭ | মেস | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৭–২০০৮ | মেস | ৩২ | (৪) |
২০০৮–২০১১ | লিওঁ | ৯০ | (১০) |
২০১১–২০১৬ | রোমা | ১৫৯ | (২৭) |
২০১৬–২০২০ | ইয়ুভেন্তুস | ১২২ | (১৫) |
২০২০–২০২২ | বার্সেলোনা | ১৯ | (০) |
২০২১–২০২২ | → বেশিকতাশ (ধার) | ২০ | (০) |
২০২২– | শারজাহ | ০ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৬ | লুক্সেমবুর্গ অনূর্ধ্ব-১৭ | ৪ | (৫) |
২০০৬–২০০৭ | লুক্সেমবুর্গ অনূর্ধ্ব-১৯ | ৩ | (১) |
২০০৮– | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ১০৭ | (১৮) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ০৯:২৩, ১৫ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ০৯:২৩, ১৫ জুলাই ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
মিরালেম পিয়ানিচ (বসনীয়: Miralem Pjanić; জন্ম: ২ এপ্রিল ১৯৯০) হলেন একজন বসনীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রো লিগের ফুটবল ক্লাব শারজাহ এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা জাতীয় দলের হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
১৯৯৭–৯৮ মৌসুমে, লুক্সেমবুর্গীয় ফুটবল ক্লাব শাফলেং ৯৫-এর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে পিয়ানিচ ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে মেসের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০০৭–০৮ মৌসুমে, ফরাসি ক্লাব মেসের মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন; মেসের হয়ে এক মৌসুমে ৩২ ম্যাচে ৪টি গোল করার পর ২০০৮–০৯ মৌসুমে তিনি প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফরাসি ক্লাব লিওঁয়ে যোগদান করেছেন। লিওঁয়ে পাঁচ মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রায় ১১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইতালীয় ক্লাব রোমার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি সকল প্রতিযোগিতায় ১৮৫ ম্যাচে ৩০টি গোল করেছেন। পরবর্তীকালে, তিনি ইয়ুভেন্তুসের হয়ে খেলেছেন, ইয়ুভেন্তুসের হয়ে তার চার মৌসুমে তিনি ৪টি ঘরোয়া লিগ শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ২০২০–২১ মৌসুমে, তিনি প্রায় ৬০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ইয়ুভেন্তুস হতে স্পেনীয় ক্লাব বার্সেলোনায় যোগদান করেছেন। মাঝে তিনি এক মৌসুমের জন্য তুর্কি ক্লাব বেশিকতাশে খেলেছেন। ২০২২ সালে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ফুটবল ক্লাবে যোগদান করেন।
২০০৬ সালে, পিয়ানিচ লুক্সেমবুর্গ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে লুক্সেমবুর্গের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ২ বছর যাবত লুক্সেমবুর্গের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০০৮ সালে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ১০৭ ম্যাচে ১৮টি গোল করেছেন। তিনি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার হয়ে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, পিয়ানিচ বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৪ সালে বর্ষসেরা বসনীয় ফুটবলার এবং ২০২০ সালে বর্ষসেরা বসনীয় ফুটবলার ক্রীড়াবিদের পুরস্কার অন্যতম। দলগতভাবে, পিয়ানিচ এপর্যন্ত ৯টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ৭টি ইয়ুভেন্তুসের, ১টি বার্সেলোনার এবং ১টি বেশিকতাশের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
মিরালেম পিয়ানিচ ১৯৯০ সালের ২রা এপ্রিল তারিখে যুগোস্লাভিয়ার তুজলায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
পিয়ানিচ লুক্সেমবুর্গ অনূর্ধ্ব-১৭ এবং লুক্সেমবুর্গ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে লুক্সেমবুর্গের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৬ সালের ৩রা মার্চ তারিখে তিনি ২০০৬ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে লুক্সেমবুর্গ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। লুক্সেমবুর্গ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে তিনি ২০০৬ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[২] তবে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এই আসরে তিনি ৩ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন।[৩]
২০০৮ সালের ২০শে আগস্ট তারিখে, মাত্র ১৮ বছর, ৪ মাস ও ১৮ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী পিয়ানিচ বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার হয়ে অভিষেক করেছেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন;[৪] ম্যাচে তিনি ১৮ নম্বর জার্সি পরিধান করে কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন।[৫] ম্যাচটিতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ২–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[৬] বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার হয়ে অভিষেকের বছরে পিয়ানিচ সর্বমোট ৪ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ১ বছর, ৬ মাস ও ১১ দিন পর, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছেন;[৭] ২০১০ সালের ৩রা মার্চ তারিখে, ঘানার বিরুদ্ধে ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে সেজাদ সালিহোভিচের অ্যাসিস্ট হতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রথম গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেছেন।[৮][৯] ২০১৯ সালের ১২ই অক্টোবর তারিখে, উয়েফা ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তিনি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন, ম্যাচটি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ৪–১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল, যেখানে তিনি পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলার পাশাপাশি দুইটি গোল করেছিলেন।[১০][১১][১২]
পিয়ানিচ ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য সাগেত সুশিচের অধীনে ঘোষিত বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন।[১৩][১৪] ১৬ই জুন তারিখে, তিনি আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ফিফা বিশ্বকাপে অভিষেক করেছেন।[১৫][১৬][১৭] এই আসরে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা গ্রুপ পর্ব শেষে মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল, যেখানে তিনি ৩ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন।[১৮] ২৫শে জুন তারিখে, ইরানের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে তিনো-সভেন সুশিচের অ্যাসিস্ট হতে ডান পা দিয়ে তিনি ফিফা বিশ্বকাপে তার প্রথম গোলটি করেছেন।[১৯][২০][২১]
ক্লাব | মৌসুম | লিগ | জাতীয় কাপ | লিগ কাপ | মহাদেশীয় | অন্যান্য | মোট | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
বিভাগ | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ম্যাচ | গোল | ||
মেস | ২০০৭–০৮ | লিগ ১ | ৩২ | ৪ | ৪ | ১ | ২ | ০ | — | — | ৩৮ | ৫ | ||
লিওঁ | ২০০৮–০৯ | লিগ ১ | ২০ | ০ | ২ | ০ | ০ | ০ | ১ | ০ | ১ | ০ | ২৪ | ০ |
২০০৯–১০ | ৩৭ | ৬ | ০ | ০ | ২ | ০ | ১৪ | ৫ | — | ৫৩ | ১১ | |||
২০১০–১১ | ৩০ | ৩ | ০ | ০ | ১ | ০ | ৮ | ১ | — | ৩৯ | ৪ | |||
২০১১–১২ | ৩ | ১ | ০ | ০ | ০ | ০ | ২ | ০ | — | ৫ | ১ | |||
মোট | ৯০ | ১০ | ২ | ০ | ৩ | ০ | ২৫ | ৬ | ১ | ০ | ১২১ | ১৬ | ||
রোমা | ২০১১–১২ | সেরিয়ে আ | ৩০ | ৩ | ১ | ০ | — | — | — | ৩১ | ৩ | |||
২০১২–১৩ | ২৭ | ৩ | ২ | ১ | — | — | — | ২৯ | ৪ | |||||
২০১৩–১৪ | ৩৫ | ৬ | ৩ | ০ | — | — | — | ৩৮ | ৬ | |||||
২০১৪–১৫ | ৩৪ | ৫ | ২ | ০ | — | ১০ | ০ | — | ৪৬ | ৫ | ||||
২০১৫–১৬ | ৩৩ | ১০ | ১ | ০ | — | ৭ | ২ | — | ৪১ | ১২ | ||||
মোট | ১৫৯ | ২৭ | ৯ | ১ | — | ১৭ | ২ | — | ১৮৫ | ৩০ | ||||
ইয়ুভেন্তুস | ২০১৬–১৭ | সেরিয়ে আ | ৩০ | ৫ | ৪ | ২ | — | ১২ | ১ | ১ | ০ | ৪৭ | ৪ | |
২০১৭–১৮ | ৩১ | ৫ | ৪ | ১ | — | ৮ | ১ | ১ | ০ | ৪৪ | ৭ | |||
২০১৮–১৯ | ৩১ | ২ | ২ | ০ | — | ১০ | ২ | ১ | ০ | ৪৪ | ৪ | |||
২০১৯–২০ | ৩০ | ৩ | ৪ | ০ | — | ৮ | ০ | ১ | ০ | ৪৩ | ৩ | |||
মোট | ১২২ | ১৫ | ১৪ | ৩ | — | ৩৮ | ৪ | ৪ | ০ | ১৭৮ | ২২ | |||
বার্সেলোনা | ২০২০–২১ | লা লিগা | ১৯ | ০ | ১ | ০ | — | ৮ | ০ | ২ | ০ | ৩০ | ০ | |
বেশিকতাশ (ধার) | ২০২১–২২ | সুপার লিগ | ২০ | ০ | ২ | ০ | — | ৩ | ০ | ১ | ০ | ২৬ | ০ | |
সর্বমোট | ৪৪২ | ৫৬ | ৩২ | ৫ | ৫ | ০ | ৯১ | ১২ | ৮ | ০ | ৫৭৮ | ৭৩ |
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ২০০৮ | ৪ | ০ |
২০০৯ | ৯ | ০ | |
২০১০ | ৮ | ৩ | |
২০১১ | ৯ | ১ | |
২০১২ | ৮ | ২ | |
২০১৩ | ৮ | ২ | |
২০১৪ | ১০ | ১ | |
২০১৫ | ৯ | ০ | |
২০১৬ | ৭ | ৩ | |
২০১৭ | ৩ | ০ | |
২০১৮ | ৯ | ০ | |
২০১৯ | ৮ | ৩ | |
২০২০ | ৬ | ০ | |
২০২১ | ৫ | ২ | |
২০২২ | ৪ | ১ | |
সর্বমোট | ১০৭ | ১৮ |