এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
মীর জাহেদ হরবী | |
---|---|
زاهد هروی | |
অন্য নাম | মীর্জা জাহেদ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | মুঘল সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ১১০১ হি. (১৬৮৯-১৬৯০ খ্রি.) কাবুল, মুঘল সাম্রাজ্য |
ধর্ম | ইসলাম |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
শিক্ষালয় | হানাফি |
তরিকা | নকশবন্দী |
অন্য নাম | মীর্জা জাহেদ |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
ভিত্তিক | কাবুল |
কাজের মেয়াদ | ১৮তম শতাব্দী |
শিক্ষার্থী |
মীর মুহাম্মদ জাহেদ হরবী ( ফার্সি: میر محمد زاهد هروی ; মৃত্যু ১৬৮৯) ছিলেন একজন আলেমে দ্বীন এবং ইতিহাসবিদ। তাকে ঐতিহ্যবাহী দরস-ই-নেজামী পাঠ্যক্রমের লেখকবৃন্দের অন্যতম বলে মনে করা হয়।[১] [২] [৩] [৪]
জাহেদের জন্ম হিন্দুস্তানে। তাঁর পিতা, কাজী মুহম্মদ আসলম হরবী (মৃত্যু ১৬৫১), এসেছিলেন হেরাত থেকে এবং তিনি মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীরের শাসনামলে লাহোরে চলে আসেন। বাদশাহ জাহাঙ্গীর আসলমের ধার্মিকতায় মুগ্ধ হন এবং তাকে কাবুলের কাজী এবং পরে সেনাবাহিনীর কাজী পদের প্রস্তাব দেন। পরবর্তী মোগল বাদশাহ শাহ জাহান তার পদ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং আসলমকে তার ইমাম-এ-খাস হিসেবে ঘোষণা করেন। [৫]
জাহেদের লেখাপড়া শুরু হয় তার বাবার কাছে। তিনি কাবুলে মোল্লা মুহম্মদ ফাজেল বদখশনী এবং মোল্লা সাদেক হালুয়ায়ী সাহেবানদের অধীনে অধ্যয়ন করেন। এরপর, তিনি তুরানে যান, যেখানে তিনি মীর্জা মুহম্মদ জান শিরাজীর অধীনে অধ্যয়ন করেন। তিনি শিরাজীর ছাত্র মোল্লা ইঊসুফ সাহেবের অধীনে হেকমত অধ্যয়ন করেন। কিছুকাল পরে, জাহেদ হরবী লাহোরে ফিরে আসেন, যেখানে তিনি মোল্লা জামালের অধীনে অধ্যয়ন করেন। [৫]
১০৫৪ হিজরিতে (জুলাই ১৬৫৪) রমজান মাসে শাহজাহান তাকে কাবুলের ইতিহাসবিদ হিসেবে নিযুক্ত করেন। আওরঙ্গজেবের শাসনামলেও জাহেদ এই পদে বহাল ছিলেন। ১৬৬৬ সালে, তিনি মোগল ফওজের হিসাবরক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। আওরঙ্গজেব পরে তাকে কাবুলের উজির পদে নিযুক্ত করেন। আকবরাবাদে ফওজের হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করার সময় জাহেদ ইসলামী উলূম পড়াতে থাকেন। তিনি শাহ আব্দুর রহীমকে যৌক্তিকতার বিজ্ঞান শিখিয়েছিলেন। তার জীবনের শেষ দিকে, জাহেদ হরবী শিক্ষকতার উপর বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করেন এবং তার রাজকীয় চাকরি থেকে অবসর নেন। তার কিছু ছাত্র দূরদূরান্ত থেকে ভ্রমণ করে এসেছিল, যেমন মুহম্মদ সালেহ বাঙ্গালী। [৬]
জাহেদ হরবী নকশবন্দী তরিকার মাসূম ইবনে আহমদ সিরহিন্দীর আত্মীয় এবং তাঁর অন্যতম খলিফা ছিলেন। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবী জাহেদ হরবীর আনফাসউল আরেফীন কাজ-এ তার ধর্মপরায়ণতার জন্য তার প্রশংসা করেছেন। আব্দুল হক দেহলবী উল্লেখ করেছেন যে ফেকাহের বিষয়ে শাহ ওলীউল্লাহর পিতা শাহ আব্দুর রহীমের প্রজ্ঞার উপর জাহেদ হরবী প্রচুর আস্থা ছিল। [৭]
জাহেদ হরবী, হাশিয়া শরহে মুওয়াকিফ, হাসিয়া শরহ তাহযীব আল্লামা দোয়ানী, হাসিয়া রিসালা কুতুবুদ্দিন রাজি, এবং হাসিয়া শরহ হায়াকালের মতো বেশ কিছু <i id="mwRA">হাশিয়া</i> লিখেছেন।
জাহেদ হরবী ১১০১ হিজরিতে (১৬৮৯-১৬৯০ খ্রিস্টাব্দে) কাবুলে মারা যান।