মুকুড় | |
---|---|
বদগিস প্রদেশ এর অন্তগত মুকুড় জেলা | |
Country | আফগানিস্তান |
Province | বদগিস |
সরকার | |
• ধরন | বিভাগীয় পরিষদ |
আয়তন | |
• মোট | ১,১৩৩ বর্গকিমি (৪৩৭ বর্গমাইল) |
মুকুড় জেলা (ইংরেজি: Muqur District) আফগানিস্থানের বদগিস প্রদেশ এর পশ্চিম দিকে অবস্থিত। মুকুড় জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই দুর্বল হিসাবে চিহিৃত ছিল, স্থানীয় তালিবান বিদ্রোহীদের ও আন্তঃ গোত্র কোন্দলের কারণে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রায়শই চরম আকার ধারণ করত, তবে এই পরিস্থিতির বর্তমানে পরিবর্তন এসেছে এবং জেলাকে নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ন জেলা হিসাবে গন্য করা হয়[১]।
প্রাদেশিক সবচাইতে অধিক সংখ্যক সীমান্ত মুকুড়ের সাথে মিশেছে। মুকুড় জেলার পূর্বে আব কামারি জেলা, দক্ষিণে কালা-ই-নও, দক্ষিণপূর্বে কদিস এবং উত্তরপূর্বে মারঘাব অবস্থিত। উত্তরে তুর্কমেনিস্তান এর আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখার সাথে মিশেছে[২]।
শহরের সর্বমোট আয়তন ১,১৩৩ বর্গকিলোমিটার (৪৩৭ বর্গমাইল)। মুকুড় শহরটি প্রকৃতপক্ষে একটি সুদীর্ঘ নদী উপত্যকা এবং দৃষ্টি নান্দনিক[৩], একইসাথে এই নদীর বয়ে আনা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস জনপদের জন্যে মাঝেমাঝে দুর্ভাগ্যও ডেকে আনে[৪]।
রাজধানী কাবুল থেকে বেশ দুরে এবং সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে আফগানিস্তান সরকারের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। কিছুদিন আগেও স্থানীয় তালেবান বিদ্রোহীরা এখানে যথেষ্ট মজবুত অবস্থায় ছিল এবং তাদের দখলে রেখেছিল পূর্ন উপত্যকা। নিরাপত্তার ইস্যুতে স্থানীয় নির্বাচনে মহিলা ভোটারগন তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগে ব্যর্থ ছিল[৫]। দুরনিয়ন্ত্রিত স্থলমাইন বিস্ফোরণের ৬ জন সৈন্য (আফগান জাতীয় সেনা বাহিনীর সদস্য, এ.এন.এ.) নিহত ও ১৬ জন সৈন্য আহত হয় (তবে এখানে কোন দল অথবা গোত্র দায় স্বীকার বা কৃতিত্ব দাবী করেনি)[৬]।
স্থানীয় বয়জোষ্ঠ্য এবং বদগিস এর জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক এর একান্ত প্রচেষ্টায় সম্প্রতি মুকুড় অংশের অন্যতম বিদ্রোহী নেতা মোল্লা ঈদি গুল আফগানিস্তান সরকারের কাছে আত্মসর্মপন ও একসাথে শান্তি-শৃঙ্খলার কাজে একাত্মতা প্রকাশ করেছে এবং তাই স্থানীয় সরকার বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির উপরে আশাবাদী। সরকার ও স্থানীয় অধিবাসি একত্রিত ভাবে পরিস্থিতি উন্নয়নে অব্যহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আফগানিস্তান এর অন্যতম বিখ্যাত ও মূল্যবান পেস্তা বন(৯০,০০০ হেক্টর ভূমির উপর বিস্তৃত), মুকুড় জেলা ও আব কামারি এর মধ্যখানে অবস্থিত। এখানে প্রতিবছর বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে (পেস্তা ফসলের চাষ ও উত্তোলন এর সময়) পেস্তা বনের অমিমাংসিত দখল ও আধিপত্যের জন্যে সংঘাত রক্তপাত পৌছে যেত। বদগিস নিরাপত্তা প্রধান মোহাম্মদ কাইয়ুম অঙ্গার জানান, গত সংঘর্ষে লাগহারি ও মাহকামা গোত্রের (মুকুড় জেলার) মধ্যে সরকারি হিসাবে দুইজন মৃত আহত এবং দুইজন নিহত হয় যা বেসরকারি হিসাবে নুন্যতম দুইজন নিহত কিন্তু আহতের সংখ্যা অনেক বেশি[৭]।