মুক্ত সফটওয়্যার বলতে এমন ধরনের সফটওয়্যারসমূহ বুঝানো হয় যা ব্যবহারকারীদের বিশেষ কিছু স্বাধীনতা দিয়ে থাকে। মুক্ত লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত এই সফটওয়্যাটসমূহ অন্যান্য সাধারণ লাইসেন্সের সফটওয়্যার থেকে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট ধারণ করে থাকে। এখানে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারা যায় এমন সফটওয়্যারগুলো মুক্ত সফটওয়্যার নয়, সে সফটওয়্যারগুলো ফ্রিওয়্যার নামে পরিচিত। মুক্ত সফটওয়্যার বিনামূল্যে অথবা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বিতরণ করা হতে পারে।
মুক্ত সফটওয়্যারকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার থেকে আলাদা বলা হয়ে থাকে। তবে ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন এবং ওপেন সোর্স ইনিশিয়েটিভ থেকে প্রকাশিত সংজ্ঞা অনুযায়ী যে সফটওয়্যারগুলো বোঝানো হয় সেগুলো মূলত এক জাতীয় সফটওয়্যারকে নির্দেশ করে।
বর্তমানে ফ্রি সফটওয়্যার কম্যুনিটি নামে যে ধরনের কম্যুনিটিকে বুঝানো হয় এ ধরনের একটি কম্যুনিটি বহু আগে থেকেই চালু ছিল। এটা মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন এবং মুক্ত সফটওয়্যার ধারণা চালু হওয়ারও অনেকদিন আগের ঘটনা।[১] রিচার্ড স্টলম্যানের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, এমআইটিতে "বহু বছর" আগেই সফটওয়্যার ভাগাভাগি করার এই ধরনের একটি কম্যুনিটি ছিল, যেখানে তিনি ১৯৭১ সালে যুক্ত হন।[২] ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর মধ্যবর্তী সময়ের সকল সফটওয়্যারই কম্পিউটার বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি এবং বাণিজ্যিক গবেষকদের সম্মেলিত প্রচেষ্টায় তৈরী করা হয়েছিল। সাধারণত এই ধরনের সফটওয়্যারগুলো বিতরণ করা হত মুক্ত সহযোগিতার মাধ্যমে।
এই সময়ে সোর্স কোড, সবার ব্যবহার উপযোগী ফরম্যাটে সফটওয়্যারের সাথে দেয়া হত, কারণ প্রয়োজনে বা শখের বশে ব্যবহারকারীরা প্রায় সময়ই নিজেরা সফটওয়্যারের বিভিন্ন বাগ ফিক্স এবং নতুন বৈশিষ্ট সংযোজন করতো। [৩] আইবিএম মেইনফ্রেম অপারেটিং সিস্টেম, , বিমান নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রাম (এসিপি), ১৯৬৭-এর সময় থেকে এর সোর্স কোড সহ বিতরণ করা হত। বর্তমানে মুক্ত সফটওয়্যারের বিতরণ পদ্ধতির সাথে এর উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য রয়েছে।[৪] আইবিএম ৭০১, শেয়ার নামে পরিচিত এবং ডিকাস নামে পরিচিত ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট কর্পোরেশন (ডিইসি) ব্যবহারকারী গ্রুপ তৈরী হয়েছিল এই ধরনের সফটওয়্যার আদান প্রদানের জন্য। একইভাবে এ সফটওয়্যারগুলো ছিল মুক্ত। ব্যবহারকারী বা ডেভলপারদের বিশেষ উদ্যোগের জন্য নয় বরং এর ব্যবহারকারী সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এটার ডেভলপমেন্টের কাজ করা হত বলেই এটাকে মুক্ত বলা হচ্ছে। ১৯৬০ এর শেষের দিকে পরিবর্তন আসা শুরু করে। অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রোগ্রামিং ভাষায় কম্পাইলার ব্যবহার জরুরি হয়ে দাঁড়ায় এবং একই সাথে সফটওয়্যার তৈরীর খরচ ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। সদ্য যাত্রা শুরু করা এ সফটরওয়্যার শিল্পকে তখন হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারকদের সাথে প্রতিদন্দিতা করতে হয়, কারণ হার্ডওয়্যারের সাথে কিছু গুচ্ছ সফটওয়্যার যোগ করে দেয়া হয় এবং হার্ডওয়্যারের সাথেই এই সফটওয়্যারের খরচ যুক্ত করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এই গুচ্ছ সফটওয়্যারগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সহযোগীতা পাওয়া যেত না এবং অনেকেই সেই সময় নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার যোগার করতে সমর্থ ছিলেন। [৫] এর ফলে অনেকেই হার্ডওয়্যারের সাথে থাকা এ গুচ্ছ সফটওয়্যারের জন্য অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধের বিপক্ষে ছিলেন। ১৭ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং আইইবিএম এর মধ্যকার চুক্তিটি বিফলে যায়। [৬] সেই সময় কিছু সফটওয়্যার বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও শুধুমাত্র বিশেষ লাইসেন্সে অধিনে বিক্রি করা যাবে এমন সফটওয়্যারের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। ১৯৭০ সালে এটিঅ্যান্ডটি ইউনিক্সের প্রথমদিককার সংস্করণসমূহ সরকার এবং প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণার কাজে ব্যববহার করার জন্য বিনামূল্যে বিতরণ করতো, কিন্তু এর লাইসেন্সে সংস্করণটি পুনঃবিতরণ অথবা পরিবর্তন করে পুনঃবিতরণ করার কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি। যার ফলে এটি বর্তমান সময়ের মুক্ত সফটওয়্যারের সাথে সম্পূর্ণরূপে মিল রয়েছে এমন বলা যাবে না।
১৯৭০ এর শেষ এবং ১৯৮০ এর শুরুর দিকে থেকে কম্পিউটার বিক্রেতা এবং সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিতভাবে সফটওয়্যার লাইসেন্সের জন্য ফি নিতে শুরু করে। সফটওয়্যার সমূহ বিশেষ পণ্য হিসাবে বিক্রি শুরু হয় এবং সফটওয়্যারটির নতুনভাবে ডেভলপমেন্টের উপর আইনগত বিধিনিষেধ আরোপ হতে থাকে। এই ধরনের পদ্ধতিটি বর্তমানে কপিরাইট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদির মাধ্যমে বর্ণনা এবং নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭৬ সালে বিল গেটস বর্তমান সময়ে বিখ্যাত ওপেন লেটার টু হোবিস্ট প্রকাশ করেন। এখানে উল্লেখ করা হয় যে সফটওয়্যার ডেভলপারদের কাজের বিনিময়ে অর্থ দেয়া উচিত এবং হ্যাকারা যে বিষটিকে "শেয়ারিং" বলে থাকে সেটি মূলত এক ধরনের "চুরি"। ১৯৭৯ সালে, এটিঅ্যান্ডটি সীমাবদ্ধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এমন লাইসেন্স ব্যবহারের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং একই সময়ে তারা চিন্তা করে যে ইউনিক্স সিস্টেম বিক্রি করে তারা লাভবান হতে পারবে।[৭]
১৯৮০ এর দশকে ইউজনেট প্রোগ্রামিং সম্প্রদায়কে আবারও একত্রিত করে, এর মাধ্যমে প্রোগ্রামাররা সহজ এক পদ্ধতির মাধ্যমে নিজের তৈরী সফটওয়্যর শেয়ার করা এবং অন্যান্যদের সফটওয়্যারে অবদান রাখার সুযোগ পায়।[৮]
এমন কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যা ৭০ এবং ৮০ এর দশকে শুরু হয়েছিল এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত সেগুলোর ডেভলপমেন্টের কাজ চলছে, এর মধ্যে রয়েছে এসপিআইসিই,[৯] ট্যাক (ডোনাল্ড কানুথের ডেভলপ করা), এবং এক্স উইন্ডো সিস্টেম। ডব্লিউ উইন্ডো সিস্টেম থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েই মূলত এক্স উইন্ডো সিস্টেম তৈরীর কাজ শুরু করা হয়েছিল, যদিও এই দুটি সিস্টেমের মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। এক্স উইন্ডো সিস্টেম গ্নু প্রকল্পের সাথে সমন্বয় করে ডেভলপ করা হয়, যদিও গ্নু এক্স উইন্ডো সিস্টেম এর ডেভলপমেন্টের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
১৯৮৩ সালে রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু প্রকল্প চালু করেন। সোর্স কোড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে না এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর উদ্দেশ্য থেকেই এই প্রকল্পটি শুরু করা হয়। একটি অপ্রশলিত প্রিন্টার কনফিগার করতে না পারার পরই তিনি এই ধরনের কাজে উদ্বুদ্ধ হন, এর কনফিগার করতে না পারার কারণ ছিল যে অপারেটিং সিস্টেমের সোর্স কোড সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল না।[১০] ১৯৮৫ সালে রিচার্ড স্টলম্যান গ্নু ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে গ্নু প্রকল্পের একটি রূপরেখা বর্ণনা করা হয়ছিল এবং সেখানে মুক্ত সফটওয়্যারের গুরুত্বও উল্লেখ করা হয়। আরও একটি বিষয় রিচার্ড স্টলম্যানকে গ্নু প্রকল্প এবং গ্নু ইশতেহার প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করেছিল আর সেটি হল স্টলম্যান এবং সিম্বোলিকস ইনকর্পোরেটেডের চুক্তিভঙ্গ। [১১]
শুরু করার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি "ফ্রি সফটওয়্যার" শব্দটি ব্যবহার শুরু করেন এবং ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যমে তিনি মুক্ত সফটওয়্যারের ধারনাটি প্রচার শুরু করেন এবং ১৯৮৬ এর ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি মুক্ত সফটওয়্যারের একটি সংজ্ঞা প্রকাশ করেন।
১৯৮৯ সালে গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্স এর প্রথম সংস্করণটি প্রকাশ করা হয়। [১২] এ সংস্করণের সামান্য পরিমাণ পরিবর্তন করে দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করা হয় ১৯৯১ সালে।
১৯৮৯ সালে কয়েকজন গ্নু ডেভলপার সিগনাস সল্যুশন্স[১৩] নামের একটি কোম্পানি তৈরী করেন।
গ্নু প্রকল্পের কার্নেল পরবর্তীতে "গ্নু হার্ড" নামে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। এটি প্রকাশের তারিখ ক্রমন্বয়ে পেছাতে থাকে যদিও অন্যন্য উপাদানসমূহের কাজ ১৯৯১ এর মধ্যেই সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি, বিশেষত গ্নু কম্পাইলার কালেকশন নিজের যোগ্যতার বলেই সমসাময়িক সফটওয়্যার সমূহের মধ্যে নেতৃত্ব দিতে থাকে। এছাড়া গ্নু ডিবাগার এবং গ্নু ইম্যাকস উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করে।
লিনাক্স কার্নেল তৈরীর কাজ শুরু করেছিলেন লিনুস তোরভাল্দ্স, বিনামূল্যে পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়ে এর সোর্স কোড প্রকাশ করা হয় ১৯৯১ সালে। সে সময় এর লাইসেন্সটি মুক্ত সফটওয়্যার লাইসেন্স ছিল না, কিন্তু ১৯৯২ এর ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এর ০.১২ সংস্করণে এর লাইসেন্স পরিবর্তন করে গ্নু জেনারেল পাবলিক লাইসেন্সে প্রকাশ করা হয়।[১৪] ইউনিক্স এর মত তোরভালদসের কার্নেলটিও স্বেচ্ছাসেবক প্রোগ্রামাদের দৃষ্টি আকর্ষনে সমর্থ হয়েছিল।
এই সময় পর্যন্ত গ্নু প্রকল্পের একটি মাত্র অপূর্ণতা ছিল, আর সেটি হল একটি মুক্ত সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল। তোরভালদসের কার্নেলটি ডেভলপমেন্টের ফলে এই অংশটিও সম্পন্ন হয়ে যায়। আর এভাবেই প্রায় সম্পন্ন গ্নু অপারেটিং সিস্টেম এবং লিনাক্স কার্নেলের সমন্বয়ে প্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম তৈরী করা হয়, যাদের বলা হয় গ্নু/লিনাক্স।
লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনসমূহের মধ্যে, ডেবিয়ান গ্নু/লিনাক্স নির্দিষ্টভাবে গ্নু এবং ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত মুক্ত সফটওয়্যার নীতিমালাগুলো বিশেষভাবে মেনে চলে। আইয়ান মারডক ১৯৯৩ সালে এটির ডেভলপমেন্টের কাজ শুরু করেন। ডেবিয়ান ডেভলপারদের নীতিমালাগুলো ডেবিয়ান সোশ্যাল কন্টাক্টে উল্লেখ করা আছে। শুরু থেকেই ডেবিয়ান প্রকল্প এফএসএফ এর সাথে বিশেষভাবে যুক্ত আছে এবং ১৯৯৪-১৯৯৫ সালে এফএসএফ এই প্রকল্পের স্পন্সর ছিল। ১৯৯৭ সালে ডেবিয়ানের প্রকল্প প্রধান ব্রুস পেরেন্স সফটওয়্যার ইন দ্যা পাবলিক ইন্টারেস্ট প্রতিষ্ঠায় সহযোগীতা করেন। এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা বিভিন্ন মুক্ত সফটওয়্যর প্রকল্পে অর্থায়ন এবং অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগীতা করে থাকে।[১৫]
গ্নু/লিনাক্স এখন পর্যন্ত মুক্ত রয়েছে গ্নু জিপিএল লাইসেন্সের অধীনে। এবং একই সাথে এমন অনেক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন এবং লিনাক্স ভিত্তিক পণ্য রয়েছে যা বাণিজ্যিকভাবে সহযোগীতা করে থাকে। নামকরণ নিয়ে একটি দ্বন্দ্ব রয়েছে। সাধারণভাবে এই অপারেটিং সিস্টেমগুলো শুধুমাত্র "লিনাক্স" নামে পরিচিতি পেয়ে থাকে। যদিও ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশনের সাথে আরও অনেকেই মনে করেন যে এই অপারেটিং সিস্টেম গুলোর ক্ষেত্রে "গ্নু/লিনাক্স" নাম ব্যবহার করা অধিকতর যুক্তিযুক্ত। [১৬]
১৯৯৩ এ যখন ইউএসএল ভার্সেস বিএসডিআই আদালতের মাধ্যমে আইনগত পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা হয় তখন ফ্রিবিএসডি এবং নেটবিএসডি মুক্ত সফটওয়্যার হিসাবে প্রকাশ করা হয়। এই দুটি ডিস্ট্রিবিউশনই ৩৮৬বিএসডির উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে নেটবিএসডির ফোর্ক হিসাবে ওপেনবিএসডি প্রকাশ করা হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তৈরী অন্যান্য বেশ কিছু ফোর্ক রয়েছে যেমন অ্যাপলের ডারউইন অপারেটিং সিস্টেম।
মধ্য থেকে ৯০-এর শেষ পর্যন্ত, যখন অনেকগুলো ওয়েবসাইট-ভিত্তিক কোম্পানির গোরাপত্তন হচ্ছিলো, ওয়েব সার্ভারের জন্যে ফ্রি সফটওয়্যার একটি জনপ্রিয় নির্বাচনে পরিণত হয়। অ্যাপাচে এইচটিটিপি সার্ভার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যারে পরিণত হয়, ২০১৫ সাল পর্যন্ত যে মুকুট তারা ধরে রাখে। [১৭] লিনাক্স কার্নেল সহ সফটওয়্যারের সাধারণ "স্ট্যাক" ভিত্তিক সিস্টেম, অ্যাপাচে মাইএসকিউএল ডাটাবেস ইঞ্জিন, পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষার মত ওয়েব সেবা প্রদান করতে লাগলো।
in 1971, I became part of a software-sharing community that had existed for many years
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)পৃষ্ঠা ১৭৬