মুক্তা বারভে | |
---|---|
![]() দেবী চলচ্চিত্রে প্রদর্শনীতে মুক্তা বারভে | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারত |
পেশা | অভিনেত্রী, প্রযোজক |
কর্মজীবন | ২০০০–বর্তমান |
স্বাক্ষর | |
![]() |
মুক্তা বারভে (উচ্চারিত [mʊkt̪aː bərʋeː]; জন্ম:১৭ই মে ১৯৭৯; মারাঠি: ) হলেন একজন ভারতীয় টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং নাট্য অভিনেত্রী এবং প্রযোজক। তিনি অন্যতম জনপ্রিয় মারাঠি ব্যক্তি, যিনি মারাঠি চলচ্চিত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি এপর্যন্ত সাতটি মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার; পেয়েছেন যার মধ্যে একটি "সেরা অভিষেক" বিভাগের জন্য এবং অন্য ছয়টি পেয়েছেন বিভিন্ন নাটক এবং চলচ্চিত্রে "সেরা অভিনেত্রী" বিভাগের জন্য।
১৯৯৯ সালে, তিনি মারাঠি টেলিভিশনে ঘরলায়ে বিঘরলায়ে নামক অনুষ্ঠানের দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। তিনি ২০০১ সালে মারাঠি মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন আমহালা ভেগেল ভাইয়াচে নামক একটি মারাঠি নাটকের মধ্য দিয়ে। ২০০২ সালে, তিনি চকওয়া নামক মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। থাং (২০০৬), মাটি মায় (২০০৭), সাওর রে (২০০৭), সাস বহু অর সেনসেক্স (২০০৮), সুমবরণ (২০০৯) এবং এক দাও ধোবি পাছাড় (২০০৯) ইত্যাদি চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। ২০০৯ সালের চলচ্চিত্র, জোগওয়া তাঁকে তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নিয়ে আসে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি মুম্বই-পুনে-মুম্বই (২০১০), আঘাত (২০০৯), বাদাম রানী গোলাম চোর (২০১২), লাগনা পাহাভে করুন (২০১৩), মঙ্গলশটক ওয়ান্স মোর (২০১৩), ডাবল সিট (২০১৫) এবং মুম্বই-পুনে-মুম্বই ২ (২০১৫)-এর মতো একের পর এক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে গেছেন। অগ্নিহোত্রা (২০০৯-২০১০) এবং একা লাগনাচি দুশরী গোশতা (২০১২) নামক দুটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান তাঁর টেলিভিশন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্যদিকে তাঁর নাট্য জীবনে, ফাইনাল ড্রাফট (২০০৫), দেহবান (২০০৫), কাবাডি কাবাডি (২০০৮) এবং ছাপা কাটা (২০১৩) তাঁর বিখ্যাত কয়েকটি নাটক। ২০১৫ সালে, তিনি তিনটি সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন; যার মধ্যে হাইওয়ে, ডাবল সিট এবং মুম্বই-পুনে-মুম্বই ২ অন্যতম। ২০১৬ সালে, তিনি ওয়াইজেড এবং গণবেশ নামক দুটি মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
বারভে রসিকা প্রোডাকশনস নামে একটি প্রোডাকশন হাউসেরও মালিকা, যার অধীনে তিনি বেশ কয়েকটি নাটক প্রযোজনা করেছেন: ছাপা কাটা, লাভবার্ডস (২০১৫) এবং ইন্দিরা (২০১৫); একটি থিয়েটার-ভিত্তিক কাব্য অনুষ্ঠান, রঙ নাভা, যেখানে তিনি তার নিজস্ব কিছু কবিতা আবৃত্তি করেছেন এবং আরও অনেক। বর্তমানে তিনি রসিকা প্রোডাকশনের ব্যানারে কোডমন্ত্র (২০১৬) নামে একটি নাটকে অভিনয় করছেন এবং একই সাথে নাটকটি প্রযোজনাও করছেন।
মুক্তা বারভেে ১৯৭৯ সালের ১৭ই মে তারিখে ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি ছোট শহর পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে জন্মগ্রহণ করেছেন।[১] তাঁর বাবা একটি টেলিকম সংস্থায় চাকরি করতেন এবং তাঁর মা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষিকা।[১] তাঁর এক ভাই দেবু বারভেও ছিলেন একজন বাণিজ্যিক শিল্পী।[২][৩] তিনি তাঁর স্কুল জীবন হতেই বেশ কিছু নাটকে অংশগ্রহণ করতেন।[৪] দশম শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করার পরে, বারভে তাঁর পেশা হিসাবে অভিনয়কেই বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।[৪] বারভে পুনের স্যার পরশুরামভাউ কলেজ থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষ করেছেন। পরে তিনি সাবিত্রিভাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটারে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন[৪] এবং ললিত কলা কেন্দ্র থেকে নাট্য বিভাগ হতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।[৪][৫] বারভে ছোটবেলায় সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে তাঁর অনেক বন্ধু নেই। পরবর্তীতে, তিনি তাঁর অভিনয় জীবনের দিকে পুরোপুরি মনোনিবেশ করার জন্য মুম্বই চলে যান এবং কুর্লার একটি বালিকা ছাত্রাবাসে অবস্থান করেন।[৪][৬][৭]