মুরাদ উইলফ্রেড হফম্যান (১৯৩১ - ১৩ জানুয়ারি,২০২০) একজন জার্মানি কূটনীতিক এবং লেখক ছিলেন।ইসলাম সম্পর্কে একাধিক বই লিখেছিলেন, যার মধ্যে জার্নি টু মক্কা (আইএসবিএন ০-৯১৫৯৫৭-৮৫-X) এবং ইসলাম: দ্য অল্টারনেটিভ (আইএসবিএন ০-৯১৫৯৫৭-৭১-X) রয়েছে। তাঁর বেশ কয়েকটি বই এবং প্রবন্ধ রয়েছে যার লেখার প্রধান দিক হলো পাশ্চাত্যের বাস্তবতায় ইসলাম ও ইসলামই এ সভ্যতার বিকল্প। তিনি (আ কমন ওয়ার্ড বিটুইন অ্যাস এন্ড ইউ) স্বাক্ষরকারীদের একজন, খ্রিস্টান নেতাদের কাছে ইসলামী পণ্ডিতদের পক্ষ হতে খোলা চিঠি, যাতে শান্তি ও সমঝোতার আহ্বান জানানো হয়।
মুরাদ উইলফ্রেড হফম্যান | |
---|---|
হফম্যান বার্লিন | |
আলজেরিয়াতে জার্মান রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৭ – ১৯৯০ | |
মরক্কোতে জার্মান রাষ্ট্রদূত | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯০ – ১৯৯৪ | |
ন্যাটোর তথ্য পরিচালক | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৩ – ১৯৮৭ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৩১ অ্যাশচাফেনবার্গে , বায়ার্ন , জার্মানি |
মৃত্যু | ১৩ জানুয়ারি ২০২০ বন, নর্ডরাইন-ভেস্টফালেন, জার্মানি | (বয়স ৮৮–৮৯)
ধর্ম | ইসলাম |
হফম্যান জার্মানির অ্যাশচাফেনবার্গে এ ক্যাথলিক ধর্ম অনুসারি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করেছিলেন।
হফম্যান ১৯৬১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত জার্মান বিদেশি সেবার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [১] প্রথম আলজেরিয়ায় পারমাণবিক প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিশেষজ্ঞ হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ব্রাসেল্স ন্যাটোর তথ্য পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন, ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। [২]
হফম্যান জার্মানির সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিম এর সদস্য এবং উপদেষ্টা ছিলেন। [৩]
১৯৮০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। জার্মান সরকারে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার কারণে তাঁর ইসলাম গ্রহণে বিতর্কিত দেখা যায়। [৩] তিনি আলজেরিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধ যা দেখেছিলেন, ইসলামী কার্যকালাপ এর প্রতি তাঁর আগ্রহ বেড়ে যায় এবং পলিসিদ্ধ খ্রিস্টান মতবাদের বিরোধিতা হিসাবে দেখে, তার ফলস্বরূপ তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।[৪]
মুরাদ উইলফ্রেড হফম্যান ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[১১]