মুলক রাজ আনন্দ

মুলক রাজ আনন্দ
জন্ম(১৯০৫-১২-১২)১২ ডিসেম্বর ১৯০৫
পেশাওয়ার, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত
(এখন খাইবার পাখতুনখোয়া, পাকিস্তান)
মৃত্যু২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৪(2004-09-28) (বয়স ৯৮)
পুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত
পেশালেখক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন
খালসা কলেজ, অমৃতসর
সময়কালবিংশ শতক
ধরনবাস্তববাদী কথাসাহিত্য
উল্লেখযোগ্য রচনাকুলি; আনটাচেবল
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৭১)
পদ্মভূষণ (১৯৬৮)
বিশ্ব শান্তি পরিষদ পুরস্কার (১৯৫৩)
দাম্পত্যসঙ্গীশিরিন ওয়াজিফদার

স্বাক্ষর

মুলক রাজ আনন্দ (১২ই ডিসেম্বর ১৯০৫ - ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০০৪) একজন ভারতীয় ইংরেজি লেখক ছিলেন। তিনি চিরাচরিত ভারতীয় সমাজে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জীবন চিত্রকর হিসেবে স্বীকৃত। আর কে নারায়ণ, আহমদ আলী এবং রাজা রাও- এর সাথে তিনি ছিলেন ইন্দো-অ্যাংলিয়ান কথাসাহিত্যের পথপ্রদর্শকদের মধ্যে একজন। তিনি ছিলেন ইংরেজিতে প্রথম ভারত-ভিত্তিক লেখকদের মধ্যে একজন, যিনি আন্তর্জাতিকভাবে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। আনন্দ তাঁর উপন্যাস এবং ছোটগল্পের জন্য প্রশংসিত, সেগুলি আধুনিক ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্যের অতুলনীয় মর্যাদা অর্জন করেছে। তাঁর লেখাগুলি নিপীড়িতদের জীবন সম্পর্কে উপলব্ধিমূলক অন্তর্দৃষ্টি এবং তাদের দারিদ্র্য, শোষণ ও দুর্ভাগ্যের বিশ্লেষণের জন্য সুপরিচিত।[][][] তিনি তাঁর প্রতিবাদী উপন্যাস আনটাচেবল (১৯৩৫) এর জন্য পরিচিত হন। এরপরে ভারতীয় দরিদ্রদের উপর তাঁর অন্যান্য লেখাগুলি হলো কুলি (১৯৩৬) এবং টু লীভস অ্যাণ্ড এ বাড (১৯৩৭)।[] তিনি তাঁর ইংরেজি লেখাতে পাঞ্জাবি এবং হিন্দুস্তানি বাগধারা যুক্ত করা প্রথম লেখকদের মধ্যে একজন হিসেবেও সুপরিচিত।[] তিনি পদ্মভূষণ নাগরিক সম্মানের প্রাপক ছিলেন।[]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

[সম্পাদনা]

মুলক রাজ আনন্দ পেশোয়ারের এক হিন্দু খত্রী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[] আনন্দ অমৃতসরের খালসা কলেজে অধ্যয়ন করেন, ১৯২৪ সালে অনার্স সহ স্নাতক হন, এরপরে তিনি ইংল্যাণ্ডে গিয়েছিলেন।[] নিজের খরচ চালানোর জন্য একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করার সময় তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লণ্ডনে একজন স্নাতক হিসেবে পড়াশোনা করেন। এর পরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯২৯ সালে তিনি বার্ট্রান্ড রাসেল এবং ইংরেজ অভিজ্ঞতাবাদীদের উপর একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখে দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি অর্জন করেন।[] এই সময়ে তিনি ব্লুমসবারি গ্রুপের সদস্যদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। তিনি জেনেভাতেও ছিলেন এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অন ইন্টেলেকচুয়াল কো-অপারেশনে বক্তৃতা দেন।

আনন্দ ১৯৩৮ সালে ইংরেজ অভিনেত্রী এবং সাম্যবাদী (কমিউনিস্ট) ক্যাথলিন ভ্যান গেল্ডারকে বিয়ে করেন; তাঁদের সুশীলা নামে একটি কন্যা ছিল। ১৯৪৮ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

ভারতের জাতিভেদ ব্যবস্থার অনমনীয়তা থেকে উদ্ভূত পারিবারিক একটি দুঃখজনক ঘটনা থেকে মুলক রাজ আনন্দের সাহিত্যজীবনের সূচনা হয়েছিল। একজন মুসলিম মহিলার সাথে খাবার ভাগ করে নেওয়ার জন্য তাঁর পরিবার তাঁর এক পিসিকে বহিষ্কার করেছিল। তার ফলে সেই পিসি আত্মহত্যা করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় আনন্দ তাঁর প্রথম গদ্য রচনা করেন।[১০][১১] ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস, আনটাচেবল, ভারতের অস্পৃশ্য শ্রেণীর মানুষের জীবনের হাড় হিম করা একটি উন্মোচন যা সেই সময়ে অবহেলিত ছিল। উপন্যাসটি বখার জীবনের একটি দিনকে প্রকাশ করে। সে ছিল একজন মল-পরিষ্কারক। দুর্ঘটনাক্রমে উচ্চ বর্ণের একজন সদস্যের সাথে তার ধাক্কা লেগেছিল, যার ফলে একের পর এক তাকে অপমানের সম্মুখীন হতে হয়। বখা যে দুর্ভাগ্যের ট্র্যাজেডি নিয়ে জন্মেছিল তার থেকে সে উদ্ধারের সন্ধান করতে থাকে। সে একজন খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকের সাথে কথা বলে, মহাত্মা গান্ধীর অস্পৃশ্যতা সম্পর্কে একটি বক্তৃতা শোনে এবং পরবর্তীতে দুই শিক্ষিত ভারতীয়ের মধ্যে একটি কথোপকথন শোনে। কিন্তু বইয়ের শেষে আনন্দ ইঙ্গিত দেন যে প্রযুক্তির ফলে সদ্য প্রবর্তিত ফ্লাশ টয়লেট (যেখানে মল হাতে করে পরিষ্কার করতে হয়না) তার ত্রাণকর্তা হতে পারে। এই প্রযুক্তি মল-পরিষ্কারকদের মতো কোন শ্রেণীর প্রয়োজনীয়তা দূর করে।

আনটাচেবল উপন্যাসটিতে, ইংরেজির মধ্যে পাঞ্জাবি এবং হিন্দি বাগধারার আঞ্চলিক উদ্ভাবনশীলতাকে নিয়ে আসাটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল, এবং আনন্দ ভারতের চার্লস ডিকেন্স হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। উপন্যাসটির ভূমিকাটি লিখেছিলেন তাঁর বন্ধু ইএম ফরস্টার, এঁর সাথে টিএস এলিয়টের ম্যাগাজিন ক্রাইটেরিয়নে কাজ করার সময় আনন্দের দেখা হয়েছিল।[১২] ফরস্টার লিখেছেন: "আলঙ্কারিক শব্দ এবং বাগাড়ম্বর এড়িয়ে, এটি সরাসরি তার বিষয়ের গভীরে চলে গেছে এবং এটিকে বিশোধিত করেছে।"

১৯৩০ এবং ৪০এর দশকে লণ্ডন এবং ভারতের মধ্যে বসবাস করার সময়,[] আনন্দ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় হয়েছিলেন। লণ্ডনে থাকাকালীন, তিনি ভারতের ভবিষ্যত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভি কে কৃষ্ণ মেননের সাথে ভারতীয় উদ্দেশ্যের পক্ষে প্রচারপত্র লিখেছিলেন। পাশাপাশি তিনি একজন ঔপন্যাসিক এবং সাংবাদিক হিসাবে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।[১৩] একই সময়ে, তিনি বিশ্বের অন্যত্র বামপন্থীদের সমর্থন করেছিলেন, স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্পেনে ভ্রমণ করেছিলেন, যদিও সংঘাতে তাঁর ভূমিকা সামরিকের তুলনায় বেশি সাংবাদিকতামূলক ছিল। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লণ্ডনে বিবিসির লিপিলেখক হিসাবে কাজ করে কাটিয়েছিলেন। সেই সময় জর্জ অরওয়েলের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। আনন্দের ১৯৪২ সালের উপন্যাস দ্য সোর্ড অ্যান্ড দ্য সিকল অরওয়েল পর্যালোচনা করেছিলেন। এটির প্রকাশনার তাৎপর্যের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি লিখেছিলেন: "যদিও মিঃ আনন্দের উপন্যাসটি কোনও ইংরেজ দ্বারা লেখা হলেও তার নিজস্ব যোগ্যতার জন্য আকর্ষণীয় হতো, কিন্তু প্রতি কয়েক পৃষ্ঠা পরপরই মনে হয় এটি একটি সাংস্কৃতিক কৌতূহলও বটে। ইংরেজি ভাষার ভারতীয় সাহিত্যের বৃদ্ধি একটি অদ্ভুত ঘটনা, এবং যুদ্ধোত্তর বিশ্বে এটির প্রভাব পড়বে"।[১৪] তিনি পিকাসোরও বন্ধু ছিলেন এবং তাঁর ব্যক্তিগত শিল্প সংগ্রহে পিকাসোর আঁকা ছবি ছিল।

আনন্দ ১৯৪৭ সালে ভারতে ফিরে আসেন এবং সেখানে তাঁর অসাধারণ সাহিত্য কর্ম অব্যাহত রাখেন। তাঁর কাজের মধ্যে আছে বিস্তৃত বিষয়ের উপর কবিতা এবং প্রবন্ধ, সেইসাথে আত্মজীবনী, উপন্যাস এবং ছোট গল্প। তাঁর উপন্যাসগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দ্য ভিলেজ (১৯৩৯), অ্যাক্রস দ্য ব্ল্যাক ওয়াটারস (১৯৩৯), দ্য সোর্ড অ্যান্ড দ্য সিকল (১৯৪২), যার সবগুলোই ইংল্যাণ্ডে লেখা। কুলি (১৯৩৬) এবং দ্য প্রাইভেট লাইফ অফ অ্যান ইন্ডিয়ান প্রিন্স (১৯৫৩) সম্ভবত ভারতে লেখা তাঁর রচনাগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মার্গ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকাও প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭০-এর দশকে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক স্ব-সচেতনতা সমস্যা নিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক অগ্রগতি সংস্থার (আইপিও) সাথে কাজ করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে ইনসব্রুকে [১৫] (অস্ট্রিয়া ) আইপিও সম্মেলনে তাঁর অবদান বিতর্কগুলির উপর বিশেষ প্রভাব ফেলেছিল। এটি পরে "সভ্যতার মধ্যে সংলাপ" (ডায়ালগ অ্যামঙ্গ সিভিলাইজেশন) শিরোনামে পরিচিত হয়। আনন্দ মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ বিশিষ্ট ভারতীয়দের উপর একাধিক বক্তৃতাও দিয়েছেন, তাঁদের কৃতিত্ব ও তাৎপর্যকে স্মরণ করে এবং তাঁদের স্বতন্ত্র শ্রেণীর মানবতাবাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।

তাঁর ১৯৫৩ সালের উপন্যাস দ্য প্রাইভেট লাইফ অফ অ্যান ইন্ডিয়ান প্রিন্স হলো আত্মজীবনীমূলক। তাঁর এর পরের সাহিত্যসম্ভারের পরিপ্রেক্ষিতে এটি মনে হয়। ১৯৫০ সালে আনন্দ সেভেন এজেস অফ ম্যান নামে একটি সাত-খণ্ডের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লেখার জন্য একটি প্রকল্প শুরু করেন। এর মধ্যে ১৯৫১ সালে সেভেন সামারস দিয়ে শুরু করে চারটি অংশ সম্পূর্ণ করতে তিনি সক্ষম হন। পরেরগুলি হলো মর্নিং ফেস (১৯৬৮), কনফেশন অফ আ লাভার (১৯৭৬) এবং দ্য বাবল (১৯৮৪)। [১৬] তাঁর পরবর্তী অনেক কাজের মতো, এটিতে তাঁর আধ্যাত্মিক যাত্রার উপাদান রয়েছে কারণ তিনি উচ্চতর আত্ম-সচেতনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করছেন।[১৭] তাঁর ১৯৬৪ সালের উপন্যাস ডেথ অফ আ হিরো তৈরি হয়েছিল মকবুল শেরওয়ানির জীবনের উপর ভিত্তি করে। এটি ডিডি কাশিরে (কাশ্মীরের দূরদর্শন চ্যানেল) মকবুল কি ওয়াপসি নামে পরিবেশিত হয়েছিল।[১৮][১৯]

আনন্দ ১৯৪০-এর দশকে বিবিসির ইস্টার্ন সার্ভিস রেডিও স্টেশনের সাথে যুক্ত ছিলেন, যেখানে তিনি বইয়ের পর্যালোচনা, লেখকের জীবনী, এবং ইনেজ হোল্ডেন- এর মতো লেখকদের সাক্ষাৎকার সহ বিভিন্ন সাহিত্যিক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতেন।[২০] তাঁর উপস্থাপন করা একটি মাল্টি-পার্ট সম্প্রচার প্রোগ্রামে তিনি কবিতা এবং সাহিত্য সমালোচনা নিয়ে আলোচনা করেছেন, প্রায়ই কথাসাহিত্যে শ্রমিক শ্রেণীর বর্ণনার আহ্বান জানিয়েছেন।[২০]

রাজনৈতিক অভিমুখীতা

[সম্পাদনা]

আনন্দ আজীবন সমাজতান্ত্রিক ছিলেন। তাঁর উপন্যাসগুলি ভারতের সামাজিক কাঠামোর বিভিন্ন দিক এবং সেইসাথে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের উত্তরাধিকারকে আক্রমণ করে লেখা; এগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিবৃতির পাশাপাশি সাহিত্যের নিদর্শন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আনন্দ নিজেও তাঁর বিশ্বাসে অটল ছিলেন যে রাজনীতি ও সাহিত্য একে অপরের থেকে অবিচ্ছেদ্য।[২১] তিনি প্রগতিশীল লেখক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং তিনি সমিতির ইশতেহারের খসড়া তৈরিতেও সহায়তা করেছিলেন।[২২]

পরবর্তী জীবন

[সম্পাদনা]

আনন্দ ১৯৫০ সালে বোম্বের একজন পার্সি শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী শিরিন ওয়াজিফদারকে বিয়ে করেন।[২৩][২৪] তিনি ২০০৪ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর ৯৮ বছর বয়সে পুনেতে নিউমোনিয়ায় মারা যান।[২৩]

মুলক রাজ আনন্দের সাহিত্যকর্ম

[সম্পাদনা]

উপন্যাস

[সম্পাদনা]

ছোটগল্প সংকলন

[সম্পাদনা]
  • দ্য লস্ট চাইল্ড অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ (১৯৩৪, লণ্ডন: জেএ অ্যালেন)
  • দ্য বার্বার'স ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ (১৯৪৪, লণ্ডন: জোনাথন কেপ)
  • দ্য ট্র্যাক্টর অ্যাণ্ড দ্য কর্ণ গডেস অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ (১৯৪৭, বোম্বে: থাকার)
  • রিফ্লেকশনস অন দ্য গোল্ডেন বেড অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ (১৯৫৩, বোম্বে: বর্তমান বুক হাউস)
  • দ্য পাওয়ার অফ ডার্কনেস অ্যান্ড আদার স্টোরিজ (১৯৫৯, বোম্বে: জাইকো )
  • লাজবন্তী অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ (১৯৬৬, বোম্বে: জাইকো)
  • বিটুইন টিয়ার্স অ্যান্ড লাফটার (১৯৭৩, নতুন দিল্লি: স্টার্লিং)
  • সিলেক্টেড স্টোরিজ অফ মুলক রাজ আনন্দ (১৯৭৭, নতুন দিল্লি: আর্নল্ড-হেইনম্যান, সংস্করণ। এম কে নায়েক)
  • থিংস হ্যাভ এ ওয়ে অফ ওয়ার্কিং আউট অ্যাণ্ড আদার স্টোরিজ (১৯৯৮, নতুন দিল্লি: ওরিয়েন্ট)
  • দ্য গোল্ড ওয়াচ

শিশুসাহিত্য

[সম্পাদনা]
  • ইণ্ডিয়ান ফেয়ারি টেলস (১৯৪৬, বোম্বে: কুতুব)
  • দ্য স্টোরি অফ ইণ্ডিয়া (১৯৪৮, বোম্বে: কুতুব)
  • দ্য স্টোরি অফ ম্যান (1952, নতুন দিল্লি: শিখ পাবলিশিং হাউস)
  • মোর ইণ্ডিয়ান ফেয়ারি টেলস (১৯৬১, বোম্বে: কুতুব) [২৫]
  • দ্য স্টোরি অফ চাচা নেহরু (১৯৬৫, নতুন দিল্লি: রাজপাল অ্যাণ্ড সন্স)
  • মোরা (১৯৭২, নতুন দিল্লি: ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট)
  • ফোক টেলস অফ পাঞ্জাব (১৯৭৪, নতুন দিল্লি: স্টার্লিং)
  • মহেঞ্জোদরোর মায়ার জীবনের একটি দিন (১৯৭৮, নতুন দিল্লি: চিলড্রেন বুক ট্রাস্ট)
  • দ্য কিং এম্পেররস ইংলিশ অর দ্য রোল অফ দ্য ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ইন দ্য ফ্রি ইণ্ডিয়া (১৯৪৮, বোম্বে: হিন্দ কিতাবস)
  • সাম স্ট্রিট গেমস অফ ইণ্ডিয়া (১৯৮৩, নতুন দিল্লি: ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট)
  • চিত্রলক্ষণ: স্টোরি অফ ইণ্ডিয়ান পেইন্টিংস (১৯৮৯, নতুন দিল্লি: ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট)

কলা বিষয়ক বই

[সম্পাদনা]
  • পার্সিয়ান পেইন্টিং (১৯৩০, লণ্ডন: ফেবার অ্যাণ্ড ফেবার )
  • দ্য হিন্দু ভিউ অফ আর্ট (১৯৩৩, বোম্বে: এশিয়া পাবলিশিং হাউস, লন্ডন: অ্যালেন অ্যাণ্ড আনউইন )
  • হাউ টু টেস্ট এ পিকচার: লেকচার অন সীইং ভার্সাস লুকিং (১৯৩৫)
  • ইন্ট্রোডাকশান টু ইণ্ডিয়ান আর্ট (১৯৫৬, মাদ্রাজ: দ্য থিয়োজফিক্যাল পাবলিশিং হাউস, লেখক: আনন্দ কুমারস্বামী) (সম্পাদক)[২৬]
  • দ্য ডান্সিং ফুট (১৯৫৭, নতুন দিল্লি: প্রকাশনা বিভাগ )
  • কাম কলা: সাম নোটস অন দ্য ফিলোজফিক্যাল বেসিস অফ হিন্দু ইরোটিক স্কাল্পচার (১৯৫৮, লণ্ডন: স্কিল্টন) [২৭]
  • ইণ্ডিয়া ইন কালার (১৯৫৯, বোম্বে: তারাপোরেওয়ালা)
  • হোমেজ টু খাজুরাহো (১৯৬০, বোম্বে: মার্গ পাবলিকেশন্স ) ( স্টেলা ক্রামরিচের সাথে সহ-লেখন)[২৮]
  • দ্য থার্ড আই: এ লেকচার অন দ্য অ্যাপ্রিসিয়েশন অফ আর্ট (১৯৬৩, চণ্ডীগড়: পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় )
  • দ্য ভলক্যানো: সাম কমেন্টস অন দ্য দেভেলপমেন্ট অফ রবীন্দ্রনাথ টেগোর'স এস্থেটিক থিয়োরিজ (১৯৬৮, বরোদা: মহারাজা সয়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় )
  • ইণ্ডিয়ান পেইন্টিং (১৯৭৩, ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট )
  • সেভেন লিটল নোন বার্ডস অফ দ্য ইনার আই (১৯৭৮, ভার্মন্ট: উইটলস)
  • পোয়েট-পেইন্টর: পেইন্টিংস বাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯৮৫, নতুন দিল্লি: অভিনব প্রকাশনা)

চিঠিপত্র

[সম্পাদনা]
  • লেটার্স অন ইন্ডিয়া (১৯৪২, লন্ডন: রুটলেজ )
  • অথর টু ক্রিটিক: দ্য লেটারস অফ মুলক রাজ আনন্দ (১৯৭৩, কলকাতা: রাইটারস ওয়ার্কশপ, সংস্করণ। সরস কাউয়াজী)
  • দ্য লেটারস অফ মুলক রাজ আনন্দ (১৯৭৪, কলকাতা: লেখক কর্মশালা, সংস্করণ। সরস কাউয়াজী)
  • ক্যালিবান অ্যাণ্ড গান্ধী: লেটারস টু "বাপু" ফ্রম বোম্বে (১৯৯১, নতুন দিল্লি: আর্নল্ড পাবলিশার্স)
  • ওল্ড মিথ অ্যাণ্ড নিউ মিথ: লেটারস ফ্রম মুলক রাজ আনন্দ টু কেভিএস মূর্তি (১৯৯১, কলকাতা: রাইটারস ওয়ার্কশপ)
  • আনন্দ টুআলমা: লেটারস অফ মুলক রাজ আনন্দ (১৯৯৪, কলকাতা: রাইটারস ওয়ার্কশপ, সম্পাদনা আত্মা রাম)

অন্যান্য কাজ

[সম্পাদনা]
  • কারিস অ্যাণ্ড আদার ইণ্ডিয়ান ডিশেস (১৯৩২, লণ্ডন: ডেসমন্ড হার্মসওয়ার্থ)
  • দ্য গোল্ডেন ব্রেথ: স্টাডিস ইন ফাইভ পোয়েটস অফ দ্য নিউ ইণ্ডিয়া (১৯৩৩, লণ্ডন: মারে)[২৯]
  • মার্কস এবং এঙ্গেলস অন ইন্ডিয়া (১৯৩৭, এলাহাবাদ: সোশ্যালিস্ট বুক ক্লাব) (সম্পাদক)
  • অ্যাপোলজি ফর হিরোইজম: অ্যান এসে ইন সার্চ অফ ফেইথ (১৯৪৬, লণ্ডন: লিণ্ডসে ড্রামণ্ড)
  • হোমেজ টু টেগোর (১৯৪৬, লাহোর: সঙ্গম)
  • অন এডুকেশন (১৯৪৭, বোম্বে: হিন্দ কিতাবস)
  • লাইনস রিটেন টু অ্যানইণ্ডিয়ান এয়ার: এসে (১৯৪৯, বোম্বে: নালন্দা পাবলিকেশন্স)
  • দ্য ইণ্ডিয়ান থিয়েটার (১৯৫০, লণ্ডন: ডবসন)
  • দ্য হিউম্যানিজম অফ এম কে গান্ধী: থ্রি লেকচারস (১৯৬৭, চণ্ডীগড়: পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়)
  • ক্রিটিক্যাল এসেজ অন ইণ্ডিয়ান রাইটিং ইন ইংলিশ (১৯৭২, বোম্বে: ম্যাকমিলান)
  • রুটস অ্যাণ্ড ফ্লাওয়ারস: টু লেকচারস অন দ্য মেটামরফোসিস অফ টেকনিক অ্যান্ড কনটেন্ট ইন দ্য ইণ্ডিয়ান ইংলিশ নভেল (১৯৭২, ধারওয়াদ: কর্ণাটক ইউনিভার্সিটি )
  • দ্য হিউম্যানিজম অফ জওহরলাল নেহরু (১৯৭৮, কলকাতা: বিশ্বভারতী)
  • দ্য হিউম্যানিজম অফ রবীন্দ্রনাথ টেগোর: থ্রি লেকচারস (১৯৭৮, ঔরঙ্গাবাদ: মারাঠওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয় )
  • ইজ দেয়ার এ কন্টেম্পোরারি ইণ্ডিয়ান সিভিলাইজেশন? (১৯৬৩, বোম্বে: এশিয়া পাবলিশিং হাউস)
  • কনভারসেশন ইন ব্লুমসবারি (১৯৮১, লণ্ডন: ওয়াইল্ডউড হাউস এবং নতুন দিল্লি: আর্নল্ড-হেইনম্যান)
  • পিপালি সাহাব: স্টোরি অফ এ চাইল্ডহুড আণ্ডার দ্য রাজ (১৯৮৫, নতুন দিল্লি: আর্নল্ড-হেইনম্যান); পিপালি সাহাব: দ্য স্টোরি অফ এ বিগ ইগো ইন এ স্মল বয় (১৯৯০, লণ্ডন: আসপেক্ট)
  • ভয়েসেস অফ দ্য ক্রসিং - দ্য ইম্প্যাক্ট অফ ব্রিটেন অন রাইটারস অফ এশিয়া, দ্য ক্যারিবিয়ান অ্যাণ্ড আফ্রিকা। ফার্দিনান্দ ডেনিস, নাসিম খান (সম্পাদকদ্বয়), লণ্ডন: সার্পেন্টস টেইল, ১৯৯৮। মুলক রাজ আনন্দ: পৃ.77 "এ রাইটার ইন এক্সাইল।"

উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Zakaria, Rafiq (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "Very English, more Indian"The Indian Express 
  2. "...it can be said that they have taken over from British writers like E. M. Forster & Edward Thompson the task of interpreting modern India to itself & the world." The Oxford History of India, Vincent A. Smith (3rd edition, ed. Percival Spear), 1967, p. 838.
  3. Hoskote, Ranjit (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "The last of Indian English fiction's grand troika: Encyclopaedia of arts"The Hindu। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৯ 
  4. Norwich, John Julius (১৯৯০)। Oxford Illustrated Encyclopedia Of The Arts। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 16আইএসবিএন 978-0198691372 
  5. "Mulk Raj Anand Profile", iloveindia.com.
  6. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৫ 
  7. Singh, Gurharpal (১৯৯৪)। Communism in Punjab: A Study of the Movement Up to 1967 (ইংরেজি ভাষায়)। Ajanta Publications। পৃষ্ঠা 312। আইএসবিএন 978-81-202-0403-4 
  8. Walsh, William, Indian Literature in English, Longman Group Limited (1990), p. 63.
  9. "Mulk Raj Anand"The Daily Telegraph। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৪। ১২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৭ 
  10. George, C. J., Mulk Raj Anand, His Art and Concerns: A Study of His Non-autobiographical Novels, New Delhi: Atlantic Publishers, 1994.
  11. Wadikar, Shailaja B., "Silent Suffering and Agony in Mulk Raj Anand's Untouchable", in Amar Nath Prasad and Rajiv K. Malik, Indian English Poetry and Fiction: Critical Elucidations, Volume 1, New Delhi: Sarup & Sons, 2007, p. 144–155.
  12. "Mulk Raj Anand", Penguin India.
  13. Cowasjee, Saros. So Many Freedoms: A Study of the Major Fiction of Mulk Raj Anand, New Delhi: Oxford University Press, 1977.
  14. Orwell, George. The Collected Essays, Journalism and Letters of George Orwell – My Country Right or Left 1940–1943, London: Martin Secker & Warburg, 1968, pp. 216–220.
  15. Text of lecture
  16. Sahitya Akademi Award recipients in English ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ জুলাই ২০০৭ তারিখে
  17. Pandey, Dr. Mamta (২০১০)। The great Indian novelists। Kusal Pustak Sansar। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 978-81-88614-23-3 
  18. Anand, Mulk Raj (১৯৬৮)। Death of a Hero: Epitaph for Maqbool Sherwani (ইংরেজি ভাষায়)। Hind Pocket Books। 
  19. ""Maqbool Ki Vaapsi" Title Song" (ইংরেজি ভাষায়)। M S Azaad। আগস্ট ২৮, ২০১২। Archived from the original on এপ্রিল ৯, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২, ২০২৩ 
  20. Morse, Daniel Ryan (২০২০-১১-১০)। Radio Empire: The BBC's Eastern Service and the Emergence of the Global Anglophone Novel (ইংরেজি ভাষায়)। Columbia University Press। আইএসবিএন 978-0-231-55259-2 
  21. Berry, Margaret (১৯৬৮–১৯৬৯)। "'Purpose' in Mulk Raj Anand's Fiction" (1/2 1968–1969)। Michigan State University, Asian Studies Center: 85–90। জেস্টোর 40874218 
  22. Malik, Hafeez (১৯৬৭)। "The Marxist Literary Movement in India and Pakistan": 649–664। আইএসএসএন 0021-9118জেস্টোর 2051241ডিওআই:10.2307/2051241 
  23. Kumar, Jai; Haresh Pandya (২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "Mulk Raj Anand (obituary)"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৭ 
  24. Kothari, Sunil (৩ অক্টোবর ২০১৭)। "Remembering Shirin Vajifdar – Pioneer in All Schools of Dance"The Wire। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৩ 
  25. Anand, Mulk Raj (১৯৯৯-০১-০১)। Greatest Short Stories (ইংরেজি ভাষায়)। Jaico Publishing House। আইএসবিএন 978-81-7224-749-2 
  26. Coomaraswamy, Ananda; Mulk Raj Anand (১৯৫৬)। Introduction to Indian art 
  27. Anand, Mulk Raj। Kama Kala 
  28. Anand, Mulk Raj; Kramrisch, Stella। Homage to Khajuraho 
  29. Mulk Raj Anand (১৯৩৩)। The Golden Breath 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Mulk Raj Anand

টেমপ্লেট:Fellows of the Lalit Kala Akademi