সত্যের সাংবাদিকতা | |
![]() | |
![]() ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩-এ নেওয়া মুসলিম মিররের হোমপেজর স্ক্রিনশট | |
ধরন | অনলাইন সংবাদপত্র |
---|---|
মালিক | সংখ্যালঘু মিডিয়া ফাউন্ডেশন |
প্রতিষ্ঠাতা | সৈয়দ জুবায়ের আহমদ |
প্রধান সম্পাদক | সৈয়দ জুবায়ের আহমদ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২০১২ |
ভাষা | ইংরেজি |
ওয়েবসাইট | muslimmirror |
মুসলিম মিরর হলো একটি স্বাধীন এবং অলাভজনক অনলাইন সংবাদমাধ্যম, যা সৈয়দ জুবায়ের আহমদ ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।[১] সংখ্যালঘু মিডিয়া ফাউন্ডেশনের মালিকানায় এটি প্রকাশিত হয়। এটি ভারতে মুসলমানদের সম্পর্কে বাঁধাধরা ধারণা প্রতিরোধে কাজ করে, মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনাগুলি ট্র্যাক করে।[২] এটি মুসলিম এবং সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীগুলিকে প্রভাবিত করে এমন সমস্যাগুলোর উপর একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রদানের লক্ষ্য মূলধারার মিডিয়া ন্যারেটিভকে চ্যালেঞ্জ করে। এটি পুলিশি তত্ত্বের ত্রুটিগুলিকে স্পটলাইট করা, ভুল উপস্থাপনাকে খণ্ডন করা এবং ইসলামভীতি ও মুসলিম ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সন্ত্রাসের অভিযোগ সম্পর্কিত উদ্বেগগুলিকে সমাধান করার জন্য পরিচিত।
পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ স্নাতক সৈয়দ জুবায়ের আহমদ ২০১২ সালে মুসলিম মিরর প্রতিষ্ঠাতা করেন, এর পূর্বে তিনি টু সার্কেল নামের আরেকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাথে যুক্ত ছিলেন।[৩] ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের (প্রায়ই যাদের দাড়ি, মাথায় পাগড়ি রয়েছে) সন্ত্রাসী অভিযুক্ত করার মিডিয়ার প্রবণতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে তিনি এই ওয়েবসাইটের সূচনা করেন।[১] এর পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে সাজ্জাদ নোমানি, প্রেম শঙ্কর ঝা এবং খালেদ আল ময়না রয়েছেন। উপরন্তু, উপদেষ্টা বোর্ডে রয়েছেন রাম পুনিয়ানি, ওম থানভি এবং বিজি কোলসে পাতিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের খালিদ আখতার।[৪]
প্রকাশনাটি কোনো গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, বর্ণ বা ধর্মের প্রতি পক্ষপাতমুক্ত সম্পাদকীয় অবস্থান ঘোষণা করেছে। ন্যায় ও সত্যের নীতিতে ভিত্তি করে, এটি সাংবাদিকতার নৈতিকতার প্রতি নিবেদিত, অন্যায়, অধিকার লঙ্ঘন এবং আইনি লঙ্ঘনের উদাহরণের উপর জোর দেয়, পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অগ্রগতি এবং উন্নয়নকেও তুলে ধরে। ঘৃণা, পক্ষপাত বা জাতীয় ও সম্প্রদায়ের স্বার্থের পরিপন্থী ক্রিয়াকলাপ প্রচারের বিরুদ্ধে একটি কঠোর নীতি দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা এবং বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনের প্রতি প্রকাশনার প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে।[৪]
টাইমস একে স্বাধীন গণমাধ্যম সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।[২] ২০১৮ সালে হিন্দুস্তান টাইমস মুসলিম মিররকে ক্রমবর্ধমান বিকল্প মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অংশ হিসেবে স্থান দিয়েছে যা মূলধারার মিডিয়া দ্বারা মুসলমানদের সম্পর্কে স্থায়ী স্টেরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করে।[১] টাইমস অফ ইন্ডিয়া ২০১৭ সালে মুসলিম মিররের প্রভাবশালী সাংবাদিকতাকে হাইলাইট করেছিল।[৫] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মুসলিম মিররকে একটি সফল ওয়েবসাইট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।[৩] আউটলুক মুসলিম যুবকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সন্ত্রাসের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় প্ল্যাটফর্মের জন্মের উপর জোর দিয়েছে।[৬] পুলিশের স্পেশাল সেল দ্বারা মন্দ আচরণ প্রকাশ করার জন্য দ্য হিন্দু মুসলিম মিররের প্রশংসা করেছে।[৭]