হাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহহাব | |
---|---|
حاجی محمد عبد الوہاب | |
![]() | |
তাবলিগ জামাত, পাকিস্তানের আমির | |
অফিসে ১৯৯২ – ২০১৮ | |
পূর্বসূরী | হাসিব নজর |
উত্তরসূরী | নজরুর রহমান |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | [১] | ১ জানুয়ারি ১৯২৩
মৃত্যু | ১৮ নভেম্বর ২০১৮[২] | (বয়স ৯৫)
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারত (১৯২৩-৪৭) পাকিস্তান (১৯৪৭-২০১৮) |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | দাওয়াত ও তবলিগ |
যেখানের শিক্ষার্থী | ইসলামিয়া কলেজ, লাহোর |
মুসলিম নেতা | |
হাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহহাব (উর্দু: حاجی محمد عبد الوہاب; ১৯২৩ — ২০১৮)[২] একজন ইসলাম ধর্ম প্রচারক যিনি পাকিস্তানের তাবলিগ জামাতের আমির ছিলেন।[৩]
আবদুল ওয়াহহাব ১৯২৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মূলত কর্নাল জেলার এবং রাজপুত গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি লাহোরের ইসলামিয়া কলেজে লেখাপড়া করেন। স্নাতক শেষে তিনি অবিভক্ত ভারতে তহসিলদার হিসাবে কাজ করেন। যুবক বয়সে তিনি মজলিস-ই-আহরার-ই-ইসলামের পক্ষেও কাজ করেন[৪] এবং আবদুল কাদির রায়পুরি (১৮৭৮ – ১৯৬২) দ্বারা প্রভাবিত হন। তিনি মজলিস-ই-আহরার-ই ইসলাম, বুরেওয়ালার সভাপতি ছিলেন।
তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভীর জীবনকালে তিনি তাবলিগ জামাতের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি তিনি নিজামউদ্দিন মার্কাজে পৌঁছান। তিনি ছয় মাস মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভির সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। তাবলিগে তার সময় এবং প্রচেষ্টা নিবেদনের জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দেন, তিনি পাকিস্তানের সেই প্রথম পাঁচজন ব্যক্তির মধ্যে ছিলেন যারা তাদের পুরো জীবনকে তাবলিগের কাজে ব্যয় করেছেন।[৪] তিনি ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভী, ইউসুফ কান্ধলভী এবং ইনামুল হাসান কান্ধলভির প্রত্যক্ষ সহচর। মুহাম্মদ শফি কুরাইশি (১৯০৩-১৯৭১) পাকিস্তানের তাবলীগী জামাতের প্রথম নিয়মিত আমির যিনি হাজী মুহাম্মদ বশির (১৯১৯-১৯৯২) দ্বারা স্থলাভিষিক্ত হন। আবদুল ওয়াহহাব পাকিস্তানের তৃতীয় নিয়মিত আমির হিসাবে বশিরের স্থলাভিষিক্ত হন।[৪] তিনি দেশের প্রধান কেন্দ্র রাইওয়ান্ড মারকাজে ছিলেন, যেখানে তিনি একটি শুরার (কাউন্সিল) প্রধান ছিলেন। তিনি ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিনে অবস্থিত আলমি শুরারও সদস্য ছিলেন।[৫]
তিনি তার পরামর্শদাতা শাইখ আবদুল কাদির রায়পুরির[৬] মাধ্যমে তাসাউফের শিক্ষা অর্জন করেছেন।
অক্টোবর ২০১৩ তে জানা যায় যে, পাকিস্তানি তালেবানদের সাথে সমঝোতার জন্য হাজী আবদুল ওয়াহাবের নামটি লয়া জিরগার (আফগানিস্তানের আইনসভা) প্রধানের নিকট দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।[৭] ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি কমিটির সাথে আলোচনার জন্য বিভিন্ন গ্রুপের টিটিপি কমান্ডাররা সরকারি শান্তি কমিটিতে হাজী আবদুল ওয়াহহাব, মাওলানা সামিউল হক, আবদুল কাদির খান এবং অন্যান্য নেতাদের নাম যুক্ত করার সুপারিশ করেছিলেন।[৮][৯]
২০১৪/২০১৫ অনুসারে, তাবলিগ জামাতে তার নেতৃত্বের জন্যে এবং শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিমেরর মধ্যে ১০ম স্থান দখল করেন।[১০]
হাজী আবদুল ওয়াহাব ১৮ নভেম্বর ২০১৮ তে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে লাহোরে মৃত্যুবরণ করেন। পরের দিন রায়ওয়ান্ডের তাবলিগের মারকাজ (সদর দফতর) সংলগ্ন একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার জানাজায় প্রায় ১৪ লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছিল।[১১][১২]