মুহাম্মদ উসমান দামানি | |
---|---|
জন্ম | ১২৪৪ হিজরী (১৮২৮/১৮২৯ খ্রিস্টাব্দ) মুসা যাই শরীফ, দেরা ইসমাইল খান, পাকিস্তান |
মৃত্যু | ২২ শাবান ১৩১৪ হিজরী, ২৪ জানুয়ারি ১৮৯৭ মুসা যাই শরীফ, দেরা ইসমাইল খান, পাকিস্তান |
অঞ্চল | ইসলামি পণ্ডিত/সুফি |
ধারা | সুন্নি ইসলাম, হানাফি, সুফি, নকশাবন্দি |
সুফিবাদ এবং তরিকা |
---|
প্রবেশদ্বার |
মুহাম্মদ উসমান দামানি (উর্দু: خواجہ محمد عثمان دامانی) ঊনবিংশ শতাব্দির পাকিস্তানের বিখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত এবং নকশাবন্দি তরিকার পীর। নকশাবন্দিয়া তরিকার পীর হলেও তার গুরু বা পীর হতে তিনি আটটি তরিকার খেলাফত লাভ করেন।
১২৪৪ হিজরীতে উসমান দেরা ইসমাইল খান জেলার, বতমানে পাকিস্তান, লনি শহরে হযরত মৌলানা মুসা জানের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা আছাকযাই বংশের এবং মাতা হযরত খাজা বান্দানেওয়াজ সৈয়দ মুহাম্মদ গেসুদারাজ রহিমাতুল্লাহ গুলবেরকা (ভারত) এর বংশধর। তার পরিবারের ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ এবং পিতা এবং মাতা উভয় দিক হতে তিনি অনেক সম্মানিত।[১]
তিনি খাজা দোস্ত মোহাম্মদ কান্ধারীর খলিফা এবং উত্তারিধকারী ছিলেন এবং দেরা ইসমাইল খান জেলার খানগাহ মুসা জাই শরীফের উত্তরসূরী ছিলেন।তার পীর তাকে আটটি তরিকার খেলাফত দান করেন, তরিকাগুলো হল নকশাবন্দি, মোজাদ্দেদিয়া, কাদেরিয়া, চিশতিয়াম সোহারাদিয়া, শাত্তারি, মাদারিয়া, কুবরিয়া এবং কালান্দারিয়া[২]
তার লিখিত চিঠিপত্রগুলো তুহফা জাহিদিয়া নামক গ্রন্থ হিসেবে উদু ভাষাতে প্রকাশিত হয়। তার জীবনের শেষ বছরে, তিনি নতুন দুইজন অনুসারীর বায়াত দান গ্রহণ করেননি এবং তাদেরকে তার দুই প্রধান খলিফা/উত্তরাধিকারী যথাক্রমে তার পুত্র খাজা সিরাজউদ্দিন নকশাবন্দি এবং সৈয়দ লাল শাহ হামদানির কাছে যাওয়ার পরামশ দেন।
১৩১৪ হিজরীর ২২ শাবান মঙ্গলবারে তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং মুসা জাই শরীফে তার পীর খাজা দোস্ত মোহাম্মদ কান্ধারির সমাধির পাশেই তাকে সমাহিত করা হয়।[১] তার জানাযা তার পুত্র খাজা সিরাজউদ্দিন নকশাবন্দি কতক পরিচালিত হয়েছিল। [২]
খাজা মোহাম্মদ উসমান দামানি সুফিবাদের মোজাদ্দেদিয়া তরিকার সুফি ব্যক্তিত্ব, যা নকশাবন্দি তরিকার প্রধানতম শাখা। তার আধ্যাত্বিক বংশানুক্রম শেখ আহমদ শিরহিন্দি, হিজরি একাদশ শতাব্দির মোজাদ্দেদ, হয়ে মুহাম্মাদ এ পৌছেছে।