মুহম্মদের স্থলাভিষেক (আরবি: الخلافة محمد) হল ইসলামের ইতিহাসের একটি কেন্দ্রীয় ঘটনা যার ফলস্বরূপ মুসলিম সমাজ একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে যাদের মধ্যে সুন্নি ও শিয়া সম্প্রদায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শিয়া মুসলমানদের মতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ স্বয়ং আলী ইবনে আবী তালিবকে তার স্থলাভিষিক্ত এবং মুসলিম সমাজের প্রধান হিসেবে মনোনীত করেন। অন্যদিকে, সুন্নি মুসলমানদের মতে আবু বকর হলেন জনমতের ভিত্তিতে নির্বাচিত মুহম্মদের স্থলাভিষিক্ত প্রথম ন্যায়নিষ্ঠ খলিফা।[১][২]
নবীর স্থলাভিষেককে কেন্দ্র করে এই পরস্পরবিরোধী অভিমতের মূলে রয়েছে ইসলামের প্রাথমিক যুগের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা ও হাদিসের ভিন্নধর্মী ব্যাখ্যা। সুন্নিরা বিশ্বাস করে যে মুহম্মদের কোনো মনোনীত উত্তরাধিকারী ছিলেন না এবং তিনি চেয়েছিলেন মুসলমানরা যেন তাদের মধ্য থেকে একজন নেতা নির্বাচন করে নেয়। তারা সকীফায় নির্বাচিত আবু বকর ও তার উত্তরসূরী তথা খুলাফায়ে রাশেদীনের শাসনকে মান্য করে। এর বিপরীতে শিয়ারা বিশ্বাস করে যে মুহাম্মদ গাদীর খুমের ভাষণে আলীকে তার উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান। তারা প্রাথমিকভাবে মুহম্মদের পরবর্তী তিন খলিফাকে অবৈধ মনে করে এবং শুধুমাত্র আলী ও তার বংশোদ্ভূত বারো ইমামকে ঐশ্বরিকভাবে মনোনীত ন্যায়সঙ্গত মুসলিম নেতা বিবেচনা করে।[৩][৪]
এই প্রধান দুই দৃষ্টিভঙ্গির বাইরেও মুহাম্মদের স্থলাভিষেক নিয়ে ভিন্ন অভিমত রয়েছে। ইবাদি মতবাদ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।[৫]