মেঘের পরে মেঘ | |
---|---|
পরিচালক | চাষী নজরুল ইসলাম |
প্রযোজক | ফরিদুর রেজা সাগর ইবনে হাসান খান (ইমপ্রেস টেলিফিল্ম) |
রচয়িতা | ওয়াকিল আহমেদ রাবেয়া খাতুন (উপন্যাস) |
শ্রেষ্ঠাংশে | রিয়াজ পূর্ণিমা মাহফুজ আহমেদ শহিদুল আলম সাচ্চু |
সুরকার | ইমন সাহা |
চিত্রগ্রাহক | মুজিবুল হক ভুঁইয়া |
সম্পাদক | আতিকুর রহমান মল্লিক |
পরিবেশক | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম |
মুক্তি | ২০০৪ |
স্থিতিকাল | ১৫০ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
মেঘের পরে মেঘ ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।[১] বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত এই ছবিটি প্রয়াত অভিনেতা ওয়াসিমুল বারী রাজিবের উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা হয়। বিশিষ্ট কথা শিল্পী রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করা হয় এই ছবিটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিত্তিক এই ছবিতে অভিনেতা রিয়াজ দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন এবং তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা।
১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের ছোট্ট শান্ত ও নিরিবিলি একটি গ্রাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডভন্ড এই গ্রামের পটচিত্র। সেই গ্রামেরই এক সন্তান “স্বাধীন মাহমুদ” একদিন জানতে চায় তার পিতৃ পরিচয়। তার জন্ম যুদ্ধ জয়ের পরপরই। প্রশ্ন উঠে কে তার পিতা? মুক্তিযোদ্ধা “সেজান মাহমুদ” (রিয়াজ) নাকি ঘাতক দালাল রাজাকার “মজিদ” (রিয়াজ) নাকি পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন “সাদেক”? এই তিনটি চরিত্রের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দুঃসহ স্মৃতি। মা “সুরাইয়া”র (পূর্ণিমা) কাছে সন্তান স্বাধীন জানতে চায়, তার জন্মের প্রকৃত ইতিহাস। যেন একজন সন্তান নয় বাংলাদেশের জন্মেরও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে 'মেঘের পরে মেঘ' ছবিতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর সময়কালের পটভূমিকায় দেশপ্রেম, ভালোবাসা এবং ত্যাগের বীরত্ব বিস্তৃত হয়েছে ছবিটিতে।
মেঘের পরে মেঘ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ইমন সাহা।