নামসমূহ | |
---|---|
অন্যান্য নাম
N,N-Dimethylimidodicarbonimidic diamide
| |
শনাক্তকারী | |
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|
সিএইচইএমবিএল | |
কেমস্পাইডার | |
ড্রাগব্যাংক | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০১০.৪৭২ |
ইসি-নম্বর |
|
পাবকেম CID
|
|
ইউএনআইআই | |
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|
| |
| |
বৈশিষ্ট্য | |
C4H11N5 | |
আণবিক ভর | ১২৯.১৭ g·mol−১ |
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |
মেটফরমিন (বিপি, ইংরেজি: Metformin) একটি বাইগুয়ানাইড বর্গের অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধ। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে নির্বাচিত ওষুধ। [১] ওষুধটি একমাত্র ডায়াবেটিসের ওষুধ যা একই সাথে রক্তের লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন নামক কলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের সমস্যাকে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করে। প্রত্যহ দরকারি ওষুধের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি মডেল তালিকা আছে। এই ওষুধটি সেই তালিকার অন্তর্গত। আর মাত্র একটি অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধ এই তালিকায় আছে, তা হল গ্লিবেনক্লামাইড।[২]
সাধারণত মেটফরমিন সংশ্লেষণ করা হয় ডাইমিথাইল্যামিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ২-সায়ানোগুয়ানিডিন এই দুটি যৌগকে উত্তপ্ত করে। ১৯২২ সালে এই পদ্ধতিটি বর্ণিত হয়েছিল।[৩][৪]
অনেকদিন ধরেই মেটফরমিনের টটোমারিক গঠন ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছিল। ২০০৫ সালেই প্রথম এটি সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়।[৫] আসলে সঠিক টটোমার আর ওই টটোমারটির মাঝে স্থিতিশক্তির পার্থক্য ৩৭ কিলোজুল/মোল। এটি মিটফরমিন হাইড্রোক্লোরাইড হিসেবে দেয়া হয়। ২০০৯ সালের একটি গবেষণাপত্রে এটির গঠন সম্পর্কে জানা যায়।[৬] এটি অনুসারে: এর ইলেকট্রনিক গঠন এর প্রোটনসহ যে গঠনটি; তার থেকে আলাদা। নিরপেক্ষ অবস্থাটি একটি কনজুগেটেড সিস্টেম মাত্র। প্রোটন যোগ হবার পরপরই: প্রথমত, এই কনজুগেটেড সিস্টেমটি ভেঙ্গে যায়। দ্বিতীয়ত, এদের আন্তঃআণবিক হাইড্রোজেন বন্ধন ভেঙ্গে যায়। তৃতীয়ত, অণুটি নন-প্লানার হয়ে যায়।
বাইগুয়ানাইড জাতীয় ওষুধগুলোর প্রাকৃতিক উৎস ফ্রেঞ্চ লাইলাক (বৈজ্ঞানিক নাম: Galega officinalis) নামক একটি গুল্ম। এই গাছটি ইউরোপীয় লোকজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।[৭]
বৈজ্ঞানিক নথিপত্রে মেটফরমিন প্রথম বর্ণিত হয়েছিল ১৯২২ সালে। এটির বর্ণনা করেছেন এমিল ওয়ার্নার এবং জেমস বেল। সেটি অবশ্য এন,এন-ডাইমিথাইলগুয়ানাইড সংশ্লেষণের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে।[৩] ১৯২৯ সালে স্লোট্টা (Slotta) এবং শেশে (Tschesche) দেখান যে, খরগোশের রক্তের গ্লুকোজ এটি কমাতে সক্ষম। একই সাথে তারা এটি দেখেন যে এটি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে কার্যকরী বাইগুয়ানাইড ধরনের ওষুধ।[৮] তবে এই পর্যবেক্ষণটি সবাই ভুলে যেতে থাকে। সিনথ্যালিন নামক একটি গুয়ানাইড ইতোমধ্যে বেশ নাম কুড়োয়। আবার ইনসুলিন এদিকে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।[৯]