মেনিনজিওমা | |
---|---|
মস্তিষ্কের তুলনামূলক সিটি স্ক্যান, যেখানে মেনিনজিওমার উপস্থিতি প্রকাশিত হয়েছে | |
বিশেষত্ব | ক্যান্সারবিজ্ঞান, স্নায়ুচিকিৎসাবিজ্ঞান, স্নায়ুশল্যচিকিৎসা |
লক্ষণ | নেই, খিচুনী, ডিমনেশিয়া, কথা বলায় সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া, শরীরের এক পার্শ্বে দুর্বলতা[১] |
রোগের সূত্রপাত | প্রাপ্তবয়স্ক[২] |
প্রকারভেদ | গ্রেড ১, ২, ৩[২] |
ঝুঁকির কারণ | আয়নিত তেজষ্ক্রিয়তা, পারিবারিক ইতিহাস[৩] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | মেডিক্যাল ইমেজিং[১] |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | হেমাঞ্জিওপেরিসাইটোমা, লিম্ফোমা, শোয়ানোমা, সলিটারি ফাইব্রোস টিউমার, মেটাস্ট্যাসিস[৪] |
চিকিৎসা | পর্যবেক্ষণ, শল্য চিকিৎসা, রেডিয়েশন থেরাপি[১] |
ঔষধ | অ্যান্টিকনভালসান্ট, কর্টিকোস্টেরয়েড[১] |
আরোগ্যসম্ভাবনা | সম্পূর্ণ অপসারণের পর ৯৫% ক্ষেত্রে দশ বছরের মধ্যে টিউমার পুনরায় সৃষ্টি হয় না[৫] |
সংঘটনের হার | ১,০০০ জনে ১ জন (যুক্তরাষ্ট্র)[৩] |
মেনিনজিওমা, যা মেনিনজিয়াল টিউমার নামেও পরিচিত, সাধারণত ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া একটি টিউমার যা মূলত মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের চারপাশে থাকা ঝিল্লি মেনিনেজ থেকে সৃষ্ট। [২] এই রোগের লক্ষণগুলো টিউমারের অবস্থানের উপর নির্ভর করে এবং টিউমার যখন তার আশেপাশে থাকা টিস্যুর ওপর চাপ প্রয়োগ করে তখন তা প্রকাশ পায়।[৩][৬] অনেক ক্ষেত্রেই কোনো লক্ষণও প্রকাশ পায় না। [১] মাঝে মাঝে খিঁচুনি, ডিমেনশিয়া, কথা বলতে সমস্যা, দৃষ্টির সমস্যা, একপার্শ্বীয় দুর্বলতা, বা মুত্রাশয়ের নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে। [১]
ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে আয়নিত তেজষ্ক্রিয়তার সংস্পর্শ, উদাহরণস্বরূপ রেডিয়েশন থেরাপির সময়। এছাড়াও মেনিনজিওমার পারিবারিক ইতিহাস ও টাইপ ২ নিউরোফাইব্রোম্যাটোসিসও ঝুঁকি বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। [১][৩] ২০১৪ সাল পর্যন্ত গবেষণায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের সাথে এটির কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। [৬] বিভিন্ন ধরনের কোষ থেকে মেনিনজিওমার উৎপত্তি ঘটতে পারে যার মধ্যে অ্যারাকনয়েড কোষও রয়েছে।[১][২] রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান, এমআরআইয়ের মতো মেডিকেল ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। [১]
কোনো প্রকার লক্ষণ না থাকলে ধারাবাহিক পর্যায়ক্রমিক পর্যবেক্ষণ-ই যথেষ্ট হতে পারে।[১] যদিও লক্ষণ প্রকাশ পেলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রোগটি নির্মূল করা সম্ভব।[২] সম্পূর্ণ অপসারণের পর এটির আবারও ফিরে আসার সম্ভাবনা শতকরা ২০ ভাগেরও কম।[১] অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমার অপসারণ করা সম্ভব না হলে রেডিওসার্জারির মাধ্যমেও মেনিনজিওমার চিকিৎসা করার সম্ভব[১] কেমোথেরাপি এখন পর্যন্ত এই রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়নি।[১] মেনিনিজওমার একটি ক্ষুদ্র অংশই দ্রুত বৃদ্ধি পায় যেগুলো শেষ ফলাফল রোগীর জন্য সুখকর হয় না।[২]
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি এক হাজারে একজন মেনিনজিওমায় আক্রান্ত।[৩] সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই এই রোগটি দেখা যায়।[২] মস্তিষ্কের টিউমারের মধ্যে প্রায় মেনিনজিওমার হার প্রায় ৩০ শতাংশ। [৪] পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই রোগে আক্রান্তের হার প্রায় দ্বিগুণ।[৩] ১৬১৪ সালে ফিলিক্স প্ল্যাটার সর্বপ্রথম মেনিনজিওমার উপস্থিতি লিপিবদ্ধ করেন।[৭]