মেরী মেলন | |
---|---|
![]() পৃথক করে রাখা অবস্থায় মেরী | |
জন্ম | কুক্সটাউন, কাউন্টি টাইরন, আয়ারল্যান্ড | ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৬৯
মৃত্যু | ১১ নভেম্বর ১৯৩৮ নর্থ অ্যান্ড সাউথ ব্রাদার আইল্যান্ডস, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৬৯)
মৃত্যুর কারণ | নিউমোনিয়া |
সমাধি | সেইন্ট রে'মন্ডের সমাধিস্থল |
জাতীয়তা | জন্মসূত্রে আইরিছ; অভিবাসন করার পরে আমেরিকান নাগরিক |
অন্যান্য নাম | মেরী ব্রাউন |
পেশা | রাঁধুনী |
পরিচিতির কারণ | টাইফয়েড জ্বরের অলাক্ষণিক বাহক (Asymptomatic carrier) |
মেরী মেলন (২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৬৯ – ১১ নভেম্বর ১৯৩৮), বা টাইফয়েড মেরী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টাইফয়েড জ্বরের জীবাণুর অলাক্ষণিক বাহক হিসাবে শনাক্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি। রাঁধু্নীরূপে কাজ করা প্রথম সময়পর্বে তিনি ২২ জন অন্য লোককৈ সংক্রমিত করেছিলেন বলে ধারণা করা হয় যার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু ঘটে।[১] তাঁকে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দুবার জোর করে পৃথক করে রেখেছিল। প্রায় তিন দশক তেমনভাবে থাকার পরে তাঁর মৃত্যু ঘটে।[২][৩]
১৮৬৯ সালে কুক্সটাউন, কাউন্টি টাইরনে (এখনকার উত্তর আয়ারল্যান্ড) মেরী মেলনের জন্ম হয়েছিল। ১৮৮৩ সালে ১৫ বছর বয়সে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করেন।[৪] কিছুকাল সম্পর্কীয় লোকের সাথে থাকার পরে তিনি এক ধনী মানুষের রাঁধুনীর কাজ পান।[৫]
১৯০০ সাল থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত মেলন নিউইয়র্ক মহানগর অঞ্চলে সাতটা পরিবারের জন্য রাঁধুনীর কাজ করেছিলেন।[৬] ১৯০০ সালে তিনি নিউইয়র্কের মামারোনেকে কাজ করছিলেন যেখানে কাজে থাকার দুসপ্তাহর মধ্যে বাসিন্দারা টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। ১৯০১ সালে তিনি মানহাটানে যান। সেখানে তাঁর কাজ করা পরিবারের লোকরা জ্বর ও পাতলা পায়খানায় ভোগে এবং ধোপার মৃত্যু হয়। তার পরে মেলন এক উকিলের বাড়িতে কাজ করেন। সেই পরিবারের সাত-আটজন লোক অসুস্থ হওয়ার পরে তিনি সেই স্থান পরিত্যাগ করেন।[৭]
১৯০৬ সালে তিনি লং আইল্যান্ডের অয়ষ্টার বেতে কাজ নেন। দুসপ্তাহর মধ্যে পরিবারের ১১ জন সদস্যের ১০ জনই টাইফয়েডে পড়ে চিকিৎসালয়ে ভর্তি হয়। তিনি আবার স্থান বদলান এবং পুনরায় তিনটি পরিবারে একই ঘটনা ঘটে।[৭] এমনভাবে অন্য কয়েকটি পরিবারেও টাইফয়েড রোগ দেখা দেয়।[৭]
Mary Mallon, the first carrier of typhoid bacilli identified in America and consequently known as Typhoid Mary, died yesterday in Riverside Hospital on North Brother Island.