প্রাক্তন নাম | এস্তাদিও লুইস ক্যাসানোভা (১৯৬৯-১৯৯৪) |
---|---|
অবস্থান | এভেনিডা সুসিয়া, এস/এন ৪৬০১০ - ভালেনসিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩৯°২৮′২৮.৭৬″ উত্তর ০°২১′৩০.১০″ পশ্চিম / ৩৯.৪৭৪৬৫৫৬° উত্তর ০.৩৫৮৩৬১১° পশ্চিম |
গণপরিবহন | আরাগন (লাইন ৫ ও ৭) |
ধারণক্ষমতা | ৪৮,৬০০[১] |
আয়তন | ১০৫ মি × ৬৮ মি (৩৪৪ ফু × ২২৩ ফু) |
উপরিভাগ | ঘাস/বালি |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ১৯২৩ |
চালু | ২০ মে ২০১৬ |
পুনঃসংস্কার | ২০০৫-২০১৯ |
সম্প্রসারণ | ২০০৭ |
নির্মাণ ব্যয় | ৩,১৬,৪৩৯.২০ স্প্যানিশ পেসো (জমি ক্রয়) |
স্থপতি | ফ্রান্সিস্কো আলমেনার কুইনজা |
ভাড়াটে | |
ভালেনসিয়া ফুটবল ক্লাব (১৯২৩–বর্তমান) স্পেন জাতীয় ফুটবল দল |
মেস্তায়া স্টেডিয়াম বা এস্তাদিও দে মেস্তায়া (স্পেনীয়: Estadio de Mestalla[esˈtaðjo ðe mesˈtaʎa]), (রোমানীকরণঃ এস্টাডিও ডি মেস্টালা), (বালেনসিয়ঃ Estadi de Mestalla [esˈtaði ðe mesˈtaʎa]) স্পেনের ভালেনসিয়ার একটি ফুটবল স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি ৪৮,৬০০ আসন বিশিষ্ট এবং ভালেনসিয়া ফুটবল ক্লাব-এর স্বাগতিক মাঠ।[২] এটি ভালেনসিয়ার সবচেয়ে বড় এবং স্পেনের পঞ্চম বৃহত্তম স্টেডিয়াম।[৩] এই স্টেডিয়ামের উত্তর স্ট্যান্ড বা গ্যালারিটি খুব খাড়া ভাবে নির্মাণের জন্য পরিচিত।[৪]
১৯২৩ সালের ২০ এপ্রিল ভালেনসিয়া ক্লাব এবং লেভান্তে ইউডি-র মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ দিয়ে মেস্তায়া স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছিল।[৫] নতুন স্টেডিয়ামটি ১৭,০০০ দর্শক ধারণ করতে পারতো, যা চার বছর পরে ২৫,০০০-এ উন্নীত করা হয়েছিল। স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময়, স্টেডিয়ামটি বন্দি শিবির এবং গুদাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।[৬] যুদ্ধের কারণে মেস্তায়ার প্রধান গ্যালারি বা গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
১৯৫০-এর দশকে, মেস্তায়া স্টেডিয়াম সংস্কার করে, দর্শক আসন সংখ্যা ৬০,০০০-এ উন্নীত করা হয়েছিল। ১৯৫৭ সালের অক্টোবরে এক তুরিয়া নদীর তীরে ভাঙনের ফলে সৃষ্ট বন্যায় স্টেডিয়ামটির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছিল। খুব শীঘ্রই স্টেডিয়ামটিকে কৃত্রিম আলোক ব্যবস্থা সংযোজনসহ আবারো সক্রিয় করা হয় এবং ১৯৫৯-এর ভালেনসিয়ার ঐতিহ্যবাহী ফালাস উৎসবের সময় পুনরায় উদ্বোধন করা হয়।
১৯৬৯ সালে ভালেনসিয়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট লুইস ক্যাসানোভা জিনারের সম্মানে স্টেডিয়ামটির নাম পরিবর্তন করে এস্তাদিয়ো লুইস ক্যাসানোভা করা হয়। এই নাম পরিবর্তনটি সিকি শতাব্দী স্থায়ী ছিল। ক্যাসানোভা এই সম্মান প্রাপ্তিতে সম্পূর্ণরূপে অভিভূত হয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে তিনি স্টেডিয়ামটির নাম পুনরায় 'মেস্তায়া'য় রাখার অনুরোধ করেছিলেন।[৭] ১৯৭২ সালে স্টেডিয়ামের নম্বরযুক্ত ধাপের পিছনে ভালেনসিয়া ক্লাবের প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। আভঁ-গার্দ শৈলীতে নকশা করা প্রধান কার্যালয়টিতে ক্লাবের শিরোপা সংগ্রহশালা রয়েছে। ১৯৭৩ সালে গ্রীষ্মে গোল পোস্টের পাশের ১৪টি স্থায়ী ধাপঘর সরিয়ে নতুন আসন বসানো হয়।
ভালেনসিয়া ক্লাব এই স্টেডিয়ামের বদলে ন্যু মেস্তায়া নামের নতুন স্টেডিয়ামে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। ৬১,৫০০ দর্শন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ ২০০৭ সালে শুরু হয়।[৮][৯]
১৯২৫ সালে স্টেডিয়ামটি প্রথমবারের মতো স্পেনের জাতীয় ফুটবল দলের স্বাগতিক মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। স্পেনে অনুষ্ঠিত ১৯৮২ বিশ্বকাপের সময় এটি স্বাগতিক দলের গ্রুপ ভেন্যু নির্বাচিত হয়েছিল।[১০] বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত ১৯৯২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ফাইনাল পর্যন্ত স্পেনের সমস্ত ম্যাচ মেস্তায়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল[১১][১২]
মেস্তায়া স্টেডিয়াম বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হয়া ছাড়াও স্টেডিয়ামটি কোপা দেল রে ফাইনাল খেলা আয়োজনের অন্যতম ভেন্যু হিসেবে পরিচিত। স্টেডিয়ামটি ভালেনসিয়ার অপর ক্লাব লেভান্তে ইউডির বিকল্প ও অস্থায়ী স্বাগতিক মাঠ; স্পেনের জাতীয় দলের স্বাগতিক মাঠ এবং ইউরোপিয়ান কাপে ক্যাসেলেন ও রিয়াল মাদ্রিদের স্বাগতিক মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। এফসি বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ সিএফ-এর মধ্যকার ২০১১ কোপা দেল রে ফাইনাল এবং একই দুটি দলের মধ্যে ২০১৪ কোপা দেল রে ফাইনাল খেলা এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্টেডিয়ামটিতে ১৯২৬ সাল হতে দশটি কোপা দেল রে প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলার ভেন্যু নির্বাচিত ও আয়োজিত হয়েছে।[৭]
স্টেডিয়ামটি ১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ ৫ এর দলগুলির ভেন্যু ছিল। (প্রতিযোগিতার সময় লুইস ক্যাসানোভা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত) এবং এসময় ১৬ জুন হতে ২৫জুন পর্যন্ত তিনটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল:
তারিখ | স্বাগতিক দল | ফলাফল | অতিথি দল | রাউন্ড | উপস্থিতি |
---|---|---|---|---|---|
১৬ জুন, ১৯৮২ | স্পেন | ১-১ | হন্ডুরাস | গ্রুপ ৫ (প্রথম রাউন্ড) | ৪৯,৫৬২ |
২০ জুন, ১৯৮২ | স্পেন | ২-১ | যুগোস্লাভিয়া | ৪৮,০০০ | |
২৫ জুন, ১৯৮২ | স্পেন | ০-১ | উত্তর আয়ারল্যান্ড | ৪৯,৫৬২ |
মেট্রো লাইন[সম্পাদনা]
|
বাস লাইন[সম্পাদনা]
|