ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মেহরাব হোসেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ঢাকা, বাংলাদেশ | ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | অপি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭) | ১০ নভেম্বর ২০০০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ মে ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪১) | ১৪ মে ১৯৯৮ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৭ এপ্রিল ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১/০২–বর্তমান | ঢাকা বিভাগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০/০১ | ঢাকা মেট্রোপলিশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ |
মেহরাব হোসেন (জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮) ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ দলের পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম সেঞ্চুরি করার কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘অপি’ ডাকনামে পরিচিত মেহরাব ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে দূর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় সাইফুল্লাহ জেমের করা শর্ট বল মারার চেষ্টা করেন। কাছাকাছি ফিল্ডিংয়ে থাকা দিল্লির প্রথিতযশা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও আবাহনী ক্রীড়া চক্রের ক্রিকেটার রমন লাম্বা’র হেলমেটবিহীন মাথায় তার আঘাত করা বল স্পর্শ করে।[১] এ ঘটনার তিনদিন পর লাম্বা’র করুণ মৃত্যু ঘটে। এতে তিনি মানসিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়েন ও কিছুকাল খেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। তন্মধ্যে, ক্রিকেট বিশ্বকাপের পূর্বে ১৯৯৯ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মনোমুগ্ধকর ১০১ রান তোলেন। এরফলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। স্মর্তব্য যে, নয় বছর পূর্বে তার চাচা আজহার হোসেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম অর্ধ-শতরান করেছিলেন।
২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ অভিষেক টেস্টে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন। খেলায় তিনি উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ৪ ও ২ রান তোলেন। দূর্বল অংশগ্রহণ স্বত্ত্বেও প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম রান তুলে স্মরণীয় হয়ে আছেন।[২] কিন্তু, মেহরাব পিছনে ও সামনের পা সামলিয়ে নিয়ে খেলায় অবস্থান করেন যা তাকে পূর্ণাঙ্গ ব্যাটসম্যান হিসেবে বাঁধা দিয়েছে। এছাড়াও তিনি স্পিনারদের বিপক্ষে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি দু’টি অর্ধ-শতরান করেছেন। এছাড়াও, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চমৎকার ৪২ রান তুলেছেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তিনি তেমন সাফল্য পাননি। কেবলমাত্র ২০০১ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭১ রান তুলেছিলেন। সে তুলনায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ সফলকাম হয়েছেন। ২০০৩ সালের শুরুতে তিনি তার সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন।
২০০৩ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে এক বছরের জন্য তার অংশগ্রহণের উপর বিসিবি কর্তৃক নিষিদ্ধতার আদেশ প্রদান করা হয়। করপোরেট ক্রিকেট লীগে অর্থের বিনিময়ে অংশগ্রহণ করেও প্রতিপক্ষ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। পরবর্তীকালে ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু সবাইকে আশ্চর্যান্বিত করে ২০১১-১২ মৌসুমে ঢাকা মেট্রোপলিসের পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশ নেন।
টেস্ট ক্রিকেটার রঞ্জন দাসের পরিচালনায় কিশোরগঞ্জভিত্তিক এক ক্রিকেট একাডেমির সাথে সম্পৃক্ত তিনি; যাতে হাসিবুল হোসেনও কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।[৩]