মোনা চন্দ্রাবতী গুপ্ত | |
---|---|
জন্ম | ২০শে অক্টোবর ১৮৯৬ ইয়াঙ্গুন, ব্রিটিশ বার্মা |
মৃত্যু | ৩০শে ডিসেম্বর ১৯৮৪ ভারত |
মাতৃশিক্ষায়তন | ডায়োসেসান কলেজ, কলকাতা |
পেশা | সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ |
পরিচিতির কারণ | সমাজ সেবা |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী কায়সার-ই-হিন্দ পদক |
মোনা চন্দ্রাবতী গুপ্ত (১৮৯৬ - ১৯৮৪) ছিলেন একজন ভারতীয় সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ। তিনি ব্রিটিশ বার্মায় জন্মগ্রহণ করে ছিলেন। তিনি ছিলেন নারী সেবা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, যেটি একটি বেসরকারি সংস্থা, যারা নারীদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য কাজ করে।[১]
গুপ্ত ১৮৯৬ সালের ২০শে অক্টোবর মিয়ানমারের রাজধানী শহর রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইয়াঙ্গুন এবং লন্ডনে প্রাথমিক শিক্ষার পর কলকাতার ডায়োসেসান কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[২] শিক্ষায় কর্মজীবন শুরু করে, তিনি লখনউয়ের গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন এবং মহিলা শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যালোচনা কমিটির সদস্য হিসেবে পরিষেবা দেন।[২]
গুপ্ত ১৯৩০ এর দশকে দুটি মহিলা সংগঠন শুরু করেছিলেন। সেগুলি হল ১৯৩১ সালে জেনানা পার্ক লীগ এবং ১৯৩৬ সালে মহিলা সমাজসেবা লীগ।[৩] প্রায় এক দশক পরে, তিনি মহিলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পরে, মহিলা সেবা সমিতি গঠনের জন্য সেই একাডেমিটি মহিলা সমাজসেবা লীগের সাথে একীভূত হয়।[৩] সংস্থাটি এখন বৃদ্ধি পেয়ে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহিলাদের জন্য দুটি বৃত্তিমূলক কেন্দ্র (ভোকেশনাল সেন্টার), তিনটি মহিলা কল্যাণ কেন্দ্র, একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং একটি চিকিৎসা কেন্দ্র চালাচ্ছে।[১]
গুপ্ত উত্তর প্রদেশ আইন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন এবং ১৯৩৯ ও ১৯৪০ সালে যথাক্রমে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের আদালতে কাজ করেছিলেন। ১৯৩৯ সালে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় প্রশাসন থেকে কায়সার-ই-হিন্দ পদক বিজয়ী হন।[২] তিনি ১৯৬৫ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়ে সম্মানিত হন। এটি সরকার প্রদত্ত চতুর্থ সর্বোচ্চ ভারতীয় বেসামরিক পুরস্কার, যেটি সমাজে তাঁর অবদানের জন্য প্রদত্ত।[৪]