মোনার জোনবান | |
---|---|
![]() | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | ইস্পাহান, ইরান |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | বাহা'আল-দিন আল-আমিলি |
ধরন | সমাধি |
স্থাপত্য শৈলী | ইলখানিদ, সাফাভিদ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৫ শতকে |
বিনির্দেশ | |
মিনার | ২ |
মিনারের উচ্চতা | ১৭.৫ মি. |
মোনার জোনবান ইরানের ইসফাহান শহরে অবস্থিত একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এটি একটি মাজার হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল, যা সুফি তপস্বী আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আল-কারলাদানির কবরের উপর নির্মিত, যা কেবল আমু আবদুল্লাহ সুকলা নামে পরিচিত। মঙ্গোল ইলখানাতের শাসনামলে ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও সাফাভিদের যুগে ভবনটির নির্মাণ কিজশেষ হয়।[১] ভবনটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর মিনারগুলো, মিনার গুলোর যেকোনো একটি কেঁপে উঠলে উভয়ই মিনার গুলোই কাঁপতে থাকে।[১]
১৩১৬ সালে তপস্বী আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদের কবরের উপর "ওলজেইতু" দ্বারা একটি মাজার নির্মিত হয়েছিল।[২] শিয়া পন্ডিত বাহা আল-দিন মুহাম্মদ ইবনে হুসেইন আল-আমিলি দ্বারা এটি শেষ পর্যন্ত স্থাপতি ও নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছিল এবং সাফাভীয় সাম্রাজ্য যুগে ভবনটি সংস্কার করা হয়েছিল।[১] কাঠামোটিতে প্রথমে কোন মিনার ছিল না, সাফাভি রাজবংশের শাসক একজোড়া মিনার নির্মাণ করেছিল। বর্তমানে মিনার দুইটি কম্পিত মিনার নামে পরিচিত।[২] এছাড়া ভবনটিকে ঘিরে একটি কবরস্থানও আছে।[২]
ভবনটি নীল রঙের টাইলস এবং বিভিন্ন ধরনের ফিরোজা রঙের পাথর দিয়ে সজ্জিত। ভবনটির সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি মঙ্গোলীয় রাজমিস্ত্রিদের গঠন শৈলী প্রদর্শন করে, তবে ভবনের মিনারগুলিতে সাফাভিদের প্রভাব রয়েছে। ভবনটিতে দৃঢ়তা বাড়াতে নির্মাণ কাজের জন্য উচ্চ মানের ইট ব্যবহার করা হয়েছিল।[৩]
পরে নির্মানকৃত মিনারগুলি ১৭.৫ মিটার লম্বা। মিনারগুলির উপরে একটি নীল গম্বুজ রয়েছে। মিনারগুলোর মধ্যে সিঁড়ি রয়েছে যা বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ, মিনারগুলি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাধারন মানুষের জন্য এর ভিতরে প্রবেশ নিষেধ, কেবল তত্ত্বাবধায়কগণই মিনারগুলোতে প্রবেশ করতে পারেন।[৩] আমু আবদুল্লাহ ও আরো কিছু ব্যক্তির কবর ভবনের একেবারে শেষের দিকে।
মোনার জোনবানে দুটি ছোট কক্ষ রয়েছে, যেগুলো নির্মাণের সময় চেলা খানাহ্ নামে পরিচিত ছিল। উভয় কক্ষেই তপস্বী এবং রহস্যবাদীরা তাদের আচার-অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করতেন এবং তারা তাদের নির্জন সময় এখানে ব্যয় করত।[২]
স্থাপত্যটির নাম, মোনার জোনবান, উল্লেখযোগ্য ব্যাপার এই যে মিনার দুইটির কারণেই এই নামের সৃষ্টি হয়েছে। মিনার দুইটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মিনার দুইটির মধ্যে যেকোনো একটি কেঁপে উঠলে ওপর মিনারটিও একইভাবে কেঁপে ওঠে।[২][৩] অবশ্য এই কৌশলটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়, তবে তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটির সাক্ষী হতে পারে।[৩]