একটি মোরগ, যা একটি ককেরেল বা কক 'রাতাকুরা’ হিসাবেও পরিচিত, এটি একটি পুরুষ গ্যালিনেসিয়াস পাখি, যাকে কম বয়সে বলে ককেরেল এবং মোরগ বলে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মুরগীকে।
"মোরগ" শব্দটি মূল ইংরেজি "কক (Cock)",[১][২] এর যৌন অর্থ এড়াতে ও শ্রুতিমধুর হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভূত হয়েছিল এবং উত্তর আমেরিকা জুড়ে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। “ক্লোয়াকাল চুম্বন” নামে পরিচিত একটি আচরনের মধ্যে পুরুষ ও মহিলার মুরগীর ক্লোয়াকাল যোগাযোগের মাধ্যমে শুক্রানুর স্থানান্তর ঘটে। [৩]
"রুস্টিং" হ'ল দিনে ঘুমানোর জন্য পাহারা দেওয়া, যা উভয় লিঙ্গই করে। মোরগ বহুগামী, তবে একবারে ডিমের বেশ কয়েকটি বাসা রক্ষা করতে পারে না। তিনি তার মুরগিরা যে অঞ্চলে বাসা বাঁধে সেই জায়গাটি পাহারা দেয় এবং তার অঞ্চলে প্রবেশকারী অন্যান্য মুরগীদের আক্রমণ করে। দিনের সময়, একটি মোরগ প্রায়শই একটি উচ্চ স্থান, সাধারণত ০.৯ থেকে ১.৫ মি (৩ থেকে ৫ ফুট) মাটি থেকে উচুঁতে থাকে, তার দলের উপর নজর রাখার জন্য। শিকারীরা কাছাকাছি থাকলে এবং তার অঞ্চলে কেউ প্রবেশ করলে বিপদ সংকেত হিসাবে সাবধান করতে সে ঘন ঘন ডাকতে থাকে।
মোরগ প্রায় চারমাস বয়সেই কর্ক্শভাবে ডাকাডাকি শুরু করে। এই কর্কশস্বরে ডাকা মোরগ হওয়ার অন্যতম প্রধা্ন লক্ষণ।
মোরগ লড়াই (Cockfight) বিশ্বে প্রচলিত প্রাচীনতম জনপ্রিয় খেলার মধ্যে অন্যতম। সাধারণত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুটি মোরগ একে অপরের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত লড়াইয়ের ন্যায় প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়। শক্ত ঠোঁট ও নখের সাহায্যে এ লড়াই চলে। যেকোনো একটি মোরগের মৃত্যুবরণ কিংবা লড়াইয়ে অপারগতা প্রকাশ করার মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় সমাপ্তি ঘটে।এখনো ভারত, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মোরগ লড়াই হয়।