ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | এলাহাবাদ, ভারত | ১ ডিসেম্বর ১৯৮০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান-হাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডান হাতি অফব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | মোহাম্মদ তারিফ (পিতা) মোহাম্মদ সাইফ (ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ২ মার্চ ২০০০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩০ জুন ২০০৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ২৮ জানুয়ারী ২০০২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৯ নভেম্বর ২০০৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮–বর্তমান | উত্তর প্রদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮–২০০৯ | রাজস্থান রয়ালস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০ | কিংস এলেভেন পাঞ্জাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১–বর্তমান | রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: [১], 9 October 2011 |
মোহাম্মদ কাইফ (হিন্দি: मोहम्मद कैफ) (জন্মঃ ১ ডিসেম্বর ১৯৮০) হলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার।[১] তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে অসাধারণ নৈপূণ্য প্রদর্শনে পরে জাতীয় দলে জায়গা করে নেন। যেখানে তিনি ২০০০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ভারতীয় দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করেন। তিনি টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে পরিবর্তনশীল স্ট্রাইকে রেটে আত্মরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক উভয় ধরনের খেলা খেলতে পছন্দ করেন। তার সময়ে তিনি ভারতের অন্যতম একজন ফিল্ডার ছিলেন এবং তার অসাধারণভাবে বল থ্রো করার দক্ষতা ছিল।
মোহাম্মদ কাইফ ১৯৮০ সালের ১ ডিসেম্বর এলাহবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গ্রীন পার্ক ছাত্রাবাস থেকে তার কর্মজীবন শুরু করেন।[২] তার পিতা মোহাম্মদ তারিফ রেলওয়ে ও উত্তর প্রদেশের হয়ে খেলতেন।[৩] তার ভাই মোহাম্মদ সাইফ মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের হয় খেলে থাকেন।[৪] কাইফ ২০১১ সালের ২৫ মার্চ তারিখে একজন নয়ডা ভিত্তিক সাংবাদিক পূজা যাদবকে বিয়ে করেন। [৫][৬][৭][৮]
কাইফ প্রধাণত নিম্নলিখিত দলগুলোতে খেলে থাকেন:[৯]
কাইফ ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে টেস্ট ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন।[১০]
তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা তেমনটা ভাল হয়ে উঠতে পারেনি, মাঝে মধ্যে অসামান্য দুর্দান্ত পারফরম্যান্স কিন্তু সাধারণ ব্যাটিং। তার সবচেয়ে বিখ্যাত পারফরম্যান্স হল ২০০২ ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ফাইনালে তাঁর করা ৭৫ বলে ৮৭* ভারতকে ৩২৬ রানের লক্ষে পৌঁছাতে সহায়তা করেছিল এবং তিনি তাঁর প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার এনে দিয়েছিল।[১] তারপর, ২০০৪ সালের শেষদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে তিনটি ওয়ানডেতে ধারাবাহিকতার জন্য তাকে ম্যান অফ দ্য সিরিজ পুরস্কার দেওয়া হয়।
কাইফ খুব মাত্র ২০ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক করেছিলেন।[১] কিছু সাধারণ পারফরম্যান্সের পরে বাদ পড়লেও ২০০৪ এর শেষদিকে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দলে দুর্দান্ত ভাবে ফিরে আসেন তিনি। তাঁর খুব দ্রুত দৌড়ানার ক্ষমতা, একজন দুর্দান্ত কভার ফিল্ডার এবং উল্লেখযোগ্যভাবে তার তত্পরতা এবং নির্ভুল নিক্ষেপের জন্য বার বার তার ভারতীয় ক্রিকেট দলে ডাক এসেছে।
২০০৩ সালের ১০ ই মার্চ, জোহানেসবার্গে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে চার চারটি ক্যাচ ধরায় একটি বিশ্ব রেকর্ড করেন, বিশ্বকাপের ম্যাচে সর্বাধিক ক্যাচে ধরার রেকর্ডটি।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে মিডল অর্ডারে ব্যবহার করতে বেশি ঝোঁক দিত, যদিও তার সাফল্যগুলি প্রায় সর্বদা ওপরে ৩ নম্বর খেলে এসেছিল ৭ নম্বর নয়।
তিনি ঘরোয়া গেমসে এবং কাউন্টি ক্রিকেটে তাঁর স্বাভাবিকভাবে ৩ নম্বরে ব্যাট করতেন। তবে দ্রাবিড়, রায়না ও যুবরাজের মতো খেলোয়াড়েদের জায়গায় কাইফের ধারাবাহিকভাবে ৩ নম্বরে খেলা অসুবিধা হয়েছিল। পরবর্তীকালে, গ্রেগ চ্যাপেল এবং রাহুল দ্রাবিড়কে অধিনায়ক নিযুক্ত হওয়ার সাথে সাথে রান বাড়ানোর জন্য ইরফান পাঠান বা মহেন্দ্র সিং ধোনি উভয়কেই তিন নম্বর ব্যাট করতে দেওয়া হয়েছিল।
২০০৬ সালের মার্চ মাসে, নাগপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আহত যুবরাজ সিংয়ের জায়গায় তাকে টেস্ট দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। তিনি ৯১ রান করে সর্বোচ্চ রানকারী হওয়া সত্ত্বেও, যুবরাজ যখন সুস্থ হয়ে ফিরে এলেন তখন কাইফ বীণা কারণে পরের ম্যাচে থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে, তাঁর আর একটি সুযোগ আসে যখন শচিন তেন্ডুলকর আহত হন এবং তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চারটি টেস্টে খেলার সুযোগ পান। দ্বিতীয় টেস্টে তিনি অপরাজিত ১৪৮ রান করেছিলেন, তাঁর জীবনে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
২০০৬ সালের এর শেষদিকে ওয়ানডে দল এবং টেস্ট দল থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের জন্য তাকে টেস্ট দলে আবার ডাকা হয়েছিল, তবে তিনি খেলেনি।
মোহাম্মদ কাইফ ২০০৮ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সংস্করণ বিজয়ী দল রাজস্থান রয়ালের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি একজন আইকন খেলোয়াড় হিসাবে $৬৭৫.০০০ ডলারের বিনিময়ে বিক্রি হন। যদিও তিনি দলের হয়ে সবগুলি ম্যাচ খেলেন কিন্তু উক্ত সিরিজে মাত্র ১৬ গড়ে ১৭৬ রান করতে সামর্থ্য হন। ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে তিনি রাজস্থান রয়ালস দলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন।[১১]
কাইফকে ২০১০ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কিংস এলেভেন পাঞ্জাব তাকে মার্কিন ডলার $২৫০,০০০ এর বিনিময়ে কিনে নেয়।[১২]
তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং উত্তর প্রদেশের ফুলপুর থেকে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।[১৩]
মোহাম্মদ কাইফ এর টেস্ট শতকসমূহ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ক্রমিক | রান | ৪ (চার) | ৬ (ছক্কা) | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | ফলাফল |
১ | ১৪৮* | ১২ | ০ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | বিউসেজর স্টেডিয়াম, গ্রস ইসলেট, সেন্ট লুসিয়া | ১০ জুন ২০০৬ | ড্র |
মোহাম্মদ কাইফ এর একদিনের আন্তর্জাতিক শতক | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ক্রমিক | স্কোর | ৪ (চার) | ৬ (ছক্কা) | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | ফলাফল |
১ | ১১১* | ৮ | ১ | জিম্বাবুয়ে | আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০২ | ভারত ১৪ রানে জয়ী |
২ | ১০২* | ১১ | ০ | নিউজিল্যান্ড | হারারে স্পোর্টস ক্লাব, হারারে | ২ সেপ্টেম্বর ২০০৫ | ভারত ৬ উইকেটে জয়ী |
ক্রমিক | দল | টেস্ট | ওডিআই | মোট |
---|---|---|---|---|
১ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ১ | ০ | ১ |
২ | জিম্বাবুয়ে | ০ | ১ | ১ |
৩ | নিউজিল্যান্ড | ০ | ১ | ১ |
সর্বমোট | ১ | ২ | ৩ |
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |2=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)