ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ মুনাফ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বোম্বে, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে - ভারত) | ২ নভেম্বর ১৯৩৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৯ জানুয়ারি ২০২০ আমস্টারডাম, নেদারল্যান্ডস | (বয়স ৮৪)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৩) | ২১ নভেম্বর ১৯৫৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ জানুয়ারি ১৯৬২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ |
মোহাম্মদ মুনাফ (উর্দু: محمد مناف জন্ম: ২ নভেম্বর, ১৯৩৫ - মৃত্যু: ২৮ জানুয়ারি, ২০২০) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে করাচি, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও সিন্ধু দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি।
১৯৫৩-৫৪ মৌসুম থেকে ১৯৭০-৭১ মৌসুম পর্যন্ত মোহাম্মদ মুনাফের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মোহাম্মদ মুনাফ ডানহাতি সিমার ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারির কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম ছিল তার।
বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী মোহাম্মদ মুনাফ করাচিতে চলে যান। সেখানে উদীয়মান ফাস্ট বোলার হিসেবে আবির্ভূত হন। রুবি শীল্ড স্কুল প্রতিযোগিতায় নিজের প্রতিভা বিকাশে সচেষ্ট হন। ঐ সময়ে ব্যাট হাতে নিয়ে সফল ছিলেন। সিন্ধু মাদ্রাসার পক্ষে হানিফের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধন করতেন। প্রয়াত ঐতিহাসিক খাদিম এইচ বালুচ তার পাকিস্তান ক্রিকেট এনসাইক্লোপেডিয়ায় মুনাফ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন যে, তিনি স্বল্প দূরত্ব নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। রাউন্ড আর্ম বোলিং করে তিনি তার স্বর্ণালী সময়ে দেশের অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন।
‘এ দল’ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান ঈগলেটসের সদস্যরূপে দুইবার ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন। ১৯৬৩ সালে ঈগলেটসের সদস্য হিসেবে কেন্টের বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৮/৮৪ করেছিলেন। ১৯৬২ সালে পায়ের আঘাতের কারণে নিজ নাম প্রত্যাহার করে নেন।
১৯৫০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৬০-এর দশকের সূচনাকাল পর্যন্ত মোহাম্মদ মুনাফের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের ব্যাপ্তি ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ মুনাফ। ২১ নভেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে লাহোরে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ জানুয়ারি, ১৯৬২ তারিখে ঢাকায় ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৫৯-৬০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৬১-৬২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুইটি সিরিজে চার টেস্টে অংশ নেন। ঢাকায় সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/৪২ দাঁড় করান। এরপরের টেস্টে অংশগ্রহণের পর তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। এছাড়াও, ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ও ১৯৬০-৬১ মৌসুমে ভারত গমন করেন। তবে, কোন টেস্টেই তাকে খেলানো হয়নি। তন্মধ্যে, প্রথমবারের মতো পাকিস্তান দলের ক্যারিবীয় সফরে গ্যারি সোবার্স তৎকালীন ৩৬৫ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন ও ব্রিজটাউনে হানিফ মোহাম্মদ ৩৩৭ রান করেছিলেন।
পাকিস্তানের শুরুরদিকের ক্রিকেটে পেস বোলারদের কমতি ছিল না। ফজল মাহমুদ, খান মোহাম্মদ ও মাহমুদ হোসেনের ন্যায় তারকাদের তুলনায় তাকে পিছিয়ে রাখা হয়। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে মাহমুদ হোসেনের অনুপস্থিতির কারণে তিনি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।
২৮ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে ৮৪ বছর বয়সে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম এলাকায় মোহাম্মদ মুনাফের দেহাবসান ঘটে।