মোহাম্মদ মুসা শফিক | |
---|---|
محمد موسی شفيق | |
আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১২ ডিসেম্বর, ১৯৭২ – ১৭ জুলাই, ১৯৭৩ | |
সার্বভৌম শাসক | মোহাম্মদ জহির শাহ |
পূর্বসূরী | আব্দুল জহির |
উত্তরসূরী | নূর মোহাম্মদ তারেকী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৩২ কামা জেলা, নানগারহর প্রদেশ, আফগানিস্তান |
মৃত্যু | ১৯৭৯ কাবুল, আফগানিস্তান |
জাতীয়তা | আফগানিস্তান |
রাজনৈতিক দল | ইন্ডিপেন্ডেন্ট |
পিতা | মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহীম কামভী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ, কবি |
মোহাম্মদ মুসা শফিক (১৯৩২ – ১৯৭৯) আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন আফগান রাজনীতিবিদ ও কবি।১৯৭১ সালে তিনি সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৭ জুলাই, ১৯৭৩ -এ মোহাম্মদ জহির শাহ ক্ষমতাচ্যুত হলে তিনি উভয় পদই হারান। তিনি মোহাম্মদ দাউদ খানের শাসনামল কালে ছিলেন। কিন্তু ১৯৭৮ সালে কমিউনিস্ট অভ্যুত্থানের পরে গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৭৯ সালে অন্যান্য অনেক কমিউনিস্ট-বিরোধী রাজনীতিবিদদের সাথে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
মোহাম্মদ মুসা শফিক ১৯৩২ সালে আফগানিস্তানের নানগারহর প্রদেশের কামা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশিষ্ট আফগান রাজনীতিবিদ, বেসামরিক কর্মচারী এবং ধর্মীয় নেতা মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম কামাভির পুত্র।
মোহাম্মদ মুসা শফিক কাবুল আরবি ধর্মীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তিনি মিশরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অতিরিক্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। [১]
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শফিক আফগানিস্তানের রক্ষণশীল সমাজের সংস্কারকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও চেয়েছিলেন এবং আফিম চাষ ও চোরাচালান বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাছাড়া ইরানের সঙ্গে তৎকালীন চলমান পানি বিরোধ কূটনৈতিক শর্তে সমাধানের দায়িত্বও ছিল তার। [২] শফিক সাত মাস প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।