ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ সুজন | |||||||||||||||||||
জন্ম | ১ জুন ১৯৮২ | |||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৬ মিটার (৬ ফুট ১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | সেন্টার ব্যাক, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার | |||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||
১৯৯৯-২০০০ | মুক্তিযোদ্ধা সংসদ | |||||||||||||||||||
২০০০-২০০২ | আবাহনী লিমিটেড ঢাকা | |||||||||||||||||||
২০০২-২০০৩ | মুক্তিযোদ্ধা সংসদ | |||||||||||||||||||
২০০৩-২০০৬ | ব্রাদার্স ইউনিয়ন | |||||||||||||||||||
২০০৭-২০০৮ | আবাহনী লিমিটেড ঢাকা | |||||||||||||||||||
২০০৮-২০০৯ | ব্রাদার্স ইউনিয়ন | |||||||||||||||||||
২০০৯-২০১০ | আবাহনী লিমিটেড ঢাকা | |||||||||||||||||||
২০১০-২০১১ | শেখ জামাল ধানমন্ডি | |||||||||||||||||||
২০১১-২০১৬ | শেখ জামাল ধানমন্ডি | |||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||
১৯৯৮ | বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ | ৭ | (১) | |||||||||||||||||
২০০২-২০০৪ | বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ | ৮ | (১) | |||||||||||||||||
২০০১-২০১৩ | বাংলাদেশ | ৩৫ | (৩) | |||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
মোহাম্মদ সুজন, (জন্ম: ১জুন ১৯৮২) একজন অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশী পেশাদার ফুটবলার যিনি একজন ডিফেন্ডার হিসেবে খেলেন এবং মাঝে মাঝে রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে
বে নিযুক্ত হন।[১] তিনি ২০০১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন[২] ২০০৩ সালের সাফ গোল্ড কাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন তিনি।[৩]
২০০৮ সালে সুজন আবাহনী লিমিটেড ঢাকা থেকে তার চুক্তির অর্ধেক টাকা নিয়েছিল এবং সেই মৌসুমে ক্লাবের সাথে থাকার কথা ছিল। তবে সুজন তার সাবেক ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৪] তবুও বিতর্কের কারণে পরের মৌসুমে আবাহনীতে ফিরে যান সুজন।[৫]
সুজন ১৯৯৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ৮ ফেব্রুয়ারী ২০০১, সুজন ২০০২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সময় ভিয়েতনামের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়। বাছাইপর্বের সময়, সুজন মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে একটি জোড়া গোল করেন এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে আসতে সাহায্য করেন। যাইহোক, দেরীতে সমতা আনলে খেলাটি ২-২ ড্রয়ে শেষ হয়।[৬] ২০০৩ সাফ গোল্ডকাপে সুজন পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটি খেলেছে।
১ জানুয়ারী ২০০৩ সালে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের ফাইনালের সময় ১-১ গোলে অচলাবস্থার পরে, সুজন শ্যুটআউটের সময় শেষ পেনাল্টি নিতে এগিয়ে যান এবং বাংলাদেশ তাদের প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে তার স্নায়ু বজায় রাখেন। দেশটির ফুটবল ইতিহাসে ম্যাচটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।[৭]
জাতীয় দল থেকে ছয় বছর অনুপস্থিতির পর, নবনিযুক্ত প্রধান কোচ নিকোলা ইলিয়েভস্কি ২০১১ সালে ধানমন্ডি ক্লাবের সাথে লিগে তার পারফরম্যান্স দেখে সুজনকে স্মরণ করেন। ইলিয়েভস্কি ২০১১ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সময় সুজনকে জাতীয় দলের অধিনায়ক করেন।
তবে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় প্রতিপক্ষ মালদ্বীপের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। দলটি তাদের ব্যক্তিগত ভুলের কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তাদের নকআউট পর্বে জায়গা করে নিতে হয়েছিল। ৪ মার্চ ২০১৩ সালে সুজন ২০১৪ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাইপর্বের সময় নেপালের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে তার শেষ উপস্থিতি করেন।[৮] সুজন তার বারো বছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার দেশের হয়ে মোট ৩৫টি উপস্থিতি করেছেন এবং ৩টি গোল করেছেন।