মৌমিতা দত্ত | |
---|---|
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | রাজাবাজার বিজ্ঞান মহাবিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | পদার্থ বিজ্ঞানী, ইসরো |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | মঙ্গলযান, ২০১৪ |
মৌমিতা দত্ত একজন ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী। তিনি মহাকাশ প্রয়োগ কেন্দ্র (Space Applications Centre,SAC), এবং আহমেদাবাদস্থিত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় বিজ্ঞানী/প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত৷ তিনি আলোকীয় এবং ইনফ্রারেড সংবেদক/সরঞ্জামের বিকাশ এবং পরীক্ষণের সাথে জড়িত (cameras and imaging spectrometers)৷ ২০১৪ সালের বিখ্যাত মঙ্গলযান মিশনের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। মঙ্গলযান মিশনের পাঁচটা পেইলোডের একটি পেইলোডের (Payload) বিকাশের ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।[১]
দত্ত কলকাতায় বড়ো হয়েছিলেন।[২] ছাত্রী অবস্থাতেই তিনি চন্দ্রযান-১ অভিযানের বিষয়ে পড়তে শুরু করেন। এবং ২০০৪ সালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় যোগদান করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন। [১] পদার্থ বিজ্ঞানের প্রতি থাকা বিশেষ আকর্ষণ দত্তকে প্রকৌশলী হ'তে প্রেরণা যুগিয়েছিল। [৩] তিনি মঙ্গল অভিযান প্রকল্পের প্রকল্প সঞ্চালক হিসাবে কাজ করেছেন। [৪] কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ রাজাবাজার বিজ্ঞান মহাবিদ্যালয় থেকে মৌমিতা দত্ত প্রায়োগিক পদার্থ বিজ্ঞানে এম.টেক. ডিগ্রী অর্জন করেন। [৪] ২০০৬ সালে তিনি আহমেদাবাদস্থিত Space Applications Centreয়ে যোগদান করেন। তখনরথেকেই তিনি অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সাথে জড়িত হয়েছেন। যেনে-oceansat, Resourcesat, HySAT, চন্দ্রযান ১ এবং মঙ্গলযান। তাঁকে "মিথেন সংবেদক"য়ের প্রকল্প সঞ্চালক হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছিল এবং সংবেদকটির সম্পূর্ণ আলোকীয় প্রণালী, বিকাশের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। [৩] "মেক ইন ইন্ডিয়া"র আধারে তিনি বর্তমান আলোকীয় সরঞ্জামের দেশীয় বিকাশের ক্ষেত্রে কাজ করছেন। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র গ্যাস সংবেদকের ক্ষুদ্র সংস্করণ নির্মাণের সাথে জড়িত যেখানে আলোকক্ষেত্রের কিছু আধুনিকতম প্রযুক্তি ব্যবহার হয়। [৫]
মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়া ছাড়াও মৌমিতা দত্তের সাহিত্য, সৃজনশীল রচনা, আবৃত্তি এবং সঙ্গীতে উৎসাহ আছে।[৭]