মৌলভী আবদুল হক | |
---|---|
জন্ম | ১৬ই নভেম্বর, ১৮৭২ |
মৃত্যু | ১৬ আগস্ট ১৯৬১ | (বয়স ৮৮)
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
অন্যান্য নাম | উর্দুর জনক |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান |
পেশা | পণ্ডিত, ভাষাতত্ত্ববিদ |
পরিচিতির কারণ | উর্দু ভাষার জনক |
মৌলভী আবদুল হক (উর্দু: مولوی عبد الحق) ছিলেন একজন পণ্ডিত এবং ভাষাতত্ত্ববিদ। তিনিবাবা ই উর্দু (উর্দু: بابائے اردو) বা উর্দুর জনক নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি উর্দুকে পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা হিসাবে নির্ধারণ করার পক্ষে ছিলেন।[১]
উর্দু সাহিত্যের বিকাশ এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে উর্দুর জনক বা বাবা-ই-উর্দু বলা হয়। তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ইংরেজি-উর্দু অভিধান, চাদ হ্যাম আসার, মাক্তবাত, মুকাদ্দিমাত, তাওকিদা, কায়ই-ই-উর্দু, দেবাচা দাসতান রানি কিতকি ইত্যদি। আঞ্জুমান তারিকাহ্-ই-উর্দু পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবীদের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। পাকিস্তানের বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ এবং পন্ডিতরা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছেন। পাকিস্তানের মুসলমানদের জন্য একটি অন্যন্য ভাষা উর্দুর প্রতিষ্ঠান এবং মুসলিম ঐতিহ্য ও নিদর্শনের উন্নয়নের লক্ষে কাজ করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আবদুল হককে সম্মনিত করা হয়।[২]
উর্দু সাহিত্যতে তার বিশেষ অবদানের জন্য পাকিস্তান ডাকবিভাগ ১৬ আগস্ট ২০০৪ সালে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে।