মৌলভীবাজার | |
---|---|
জেলা | |
বাংলাদেশে মৌলভীবাজার জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩০′ উত্তর ৯১°৫০′ পূর্ব / ২৪.৫০০° উত্তর ৯১.৮৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ২,৭৯৯.৩৮ বর্গকিমি (১,০৮০.৮৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১[১]) | |
• মোট | ১৯,৯৪,২৫২ |
• জনঘনত্ব | ৭১০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৭০.১১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৫৮ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
মৌলভীবাজার জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২]
উত্তরে সিলেট জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা, পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলা। জেলার প্রধান নদ-নদী ৬ (ছয়)টি- মনু, বরাক, ধলাই, সোনাই, জুড়ী ও কুশিয়ারা।
মৌলভীবাজার জেলা ৭টি উপজেলা, ৭টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৬৭টি ইউনিয়ন, ৮৯৯টি মৌজা, ২০১৫টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
মৌলভীবাজার জেলায় মোট ৭টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৪] | সংসদ সদস্য[৫][৬][৭][৮][৯] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৩৫ মৌলভীবাজার-১ | বড়লেখা উপজেলা এবং জুড়ী উপজেলা | শূণ্য | |
২৩৬ মৌলভীবাজার-২ | কুলাউড়া উপজেলা | শূণ্য | |
২৩৭ মৌলভীবাজার-৩ | রাজনগর উপজেলা এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলা | শূণ্য | |
২৩৮ মৌলভীবাজার-৪ | কমলগঞ্জ উপজেলা এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা | শূণ্য |
শাহ মোস্তফা-এর বংশধর মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মনু নদীর উত্তর তীরে কয়েকটি দোকানঘর স্থাপন করে ভোজ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেন। মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ প্রতিষ্ঠিত এ বাজারে নৌ ও স্থলপথে প্রতিদিন লোকসমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের মাধ্যমে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে মৌলভীবাজারের খ্যাতি।
কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব : হয়রত শাহ মোস্তফা (র:), মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী হামিদুর রহমান,কবি মুজাফফর খান, সৈয়দ মুজতবা আলী, প্রাক্তন প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ সদস্য, খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ও দানশীল ব্যক্তিত্ব মো. কেরামত আলী,পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যমোহাম্মদ মুহিবুর রহমান [১], জাতীয় পরিষদ সিলেটের প্রথম মহিলা সদস্য বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী, সাবেক স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, গবেষক ড. রঙ্গলাল সেন প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ : মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার ছিল ৪ নং সেক্টরের অধীন। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সি.আর.দত্ত। মৌলভীবাজার সদরের ঘরোয়া গ্রামের হত্যাকাণ্ড, নড়িয়া গ্রামের গণহত্যা, রাজনগর পাঁচগাঁও এর গণহত্যা, বড়লেখা ও কুলাউড়ার বধ্যভূমিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ আজও মানুষকে কাঁদায়। ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শত্রুমুক্ত হয়।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প। এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয়। এ ছাড়াও জেলার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প- যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |