ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ম্যাথু জেফ্রি হর্ন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | টাকাপুনা, অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | ৫ ডিসেম্বর ১৯৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ফিল হর্ন (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২০১) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩ মে ২০০৩ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৯৯) | ২৫ মার্চ ১৯৯৭ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ এপ্রিল ২০০২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ এপ্রিল ২০১৯ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
ম্যাথু জেফ্রি হর্ন (ইংরেজি: Matt Horne; জন্ম: ৫ ডিসেম্বর, ১৯৭০) অকল্যান্ডের টাকাপুনা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ।[১][২][৩] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড এইসেস দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতি মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ম্যাথু হর্ন নামে পরিচিত ম্যাট হর্ন।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুমের শেল ট্রফিতে অকল্যান্ডের পক্ষে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করেছিলেন। চূড়ান্ত খেলায় ১৯০ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা লাভে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। পরের মৌসুমে ওতাগো ভোল্টসের পক্ষে খেলেন। এখানেও সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ফলশ্রুতিতে, নিউজিল্যান্ড দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন।
২০০৩-০৪ মৌসুমে ইডেন পার্কে বেশ ভালো খেলেন। নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস নাইটসের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেট জুটিতে আরন বার্নসের সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৩৪৭ রান তুলেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৫টি টেস্ট ও ৫০টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল ম্যাট হর্নের। অভিষেকের অল্প কিছুদিন বাদেই সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐ সেঞ্চুরিটি করেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি আরও তিনটি সেঞ্চুরির সন্ধান পান। তন্মধ্যে দুইটি ছিলজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। অন্যটি করেন ১৯৯৯ সালে লর্ডসে স্বাগতিক ইংরেজ দলের বিপক্ষে। এরফলে তার দল বিদেশের মাটিতে দূর্লভ সিরিজ বিজয়ের কৃতিত্বে গড়ে।
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। অকল্যান্ডে টেস্টে নাথান অ্যাশলেকে সাথে নিয়ে ৪র্থ উইকেট জুটিতে ২৪৩ রান তুলেছিলেন। এ সংগ্রহটি অদ্যাপি ঐ উইকেটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ হিসেবে টিকে রয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে পরবর্তী নয় টেস্টে কোন অর্ধ-শতকের ইনিংস উপহার দিতে পারেননি ম্যাট হর্ন। ফলশ্রুতিতে, দলের বাইরের অবস্থান করতে হয় তাকে। এরপর থেকেই মাঝে-মধ্যে দলে খেলার সুযোগ পেতেন।
কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল ব্রোঞ্জপদক লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
সমগ্র টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ছন্দবিহীন অবস্থায় সময় পার করেছেন। আক্রমণাত্মক মেজাজে হেলমেটবিহীন অবস্থায় ডানহাতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন ম্যাট হর্ন। অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যাট বেশ উঁচুতে রেখে পিছনের পায়ে ভর রেখে খেলতেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে উপযুক্ত কাউকেই তার সময়কালে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। ৫০টি ওডিআইয়ে অংশ নিলেও কোনটিকে তিন অঙ্কের কোটায় নিয়ে যেতে পারেননি। তবে, পাঁচটি অর্ধ-শতকের সন্ধান পেয়েছিলেন।
মে, ২০০৬ সালে সকল স্তরের প্রতিযোগিতামূলক খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। অবসর নেয়ার পর স্কটল্যান্ডের লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে অকল্যান্ডভিত্তিক ক্রিকেটে হাই পারফরমেন্স কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।[৪]
জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ফিল হর্ন নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।